১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, কলকাতা: ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় রাজ্য সঙ্গীতের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছিলেন। বাংলার রাজ্য সঙ্গীত হবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এই গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাঙালি’ শব্দটির বদলে ‘বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কেউ বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পরিবর্তন করা অনুচিত। সেই বিতর্কের নিরসন করে সোমবার ১৭ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কোন স্তবকটি গাওয়া হবে।

গানটির প্রতিটি শব্দ অক্ষুন্ন রেখেই গাওয়া হবে অর্থাৎ ‘বাংলা’ শব্দের বদলে ‘বাঙালি’। এক মিনিট সময়ের মধ্যে সেটি গাওয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এছাড়া আরো বলা হয়েছে যে, রাজ্য সঙ্গীত চলাকালীন উঠে দাড়ালে ভাল। মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হবে, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল- পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন— এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান।’