১৯ মার্চ, ২০২৫, শিলিগুড়ি: পাঁচ বছর ধরে বাংলাপক্ষ’র নিরন্তর স্মারকলিপি প্রদান ও আন্দোলনের ফলে শিলিগুড়ি পৌরনিগম শিলিগুড়ি শহরের সর্বত্র বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড লেখার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হল। গত ১৬ই মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌরনিগম ঘোষণা করে, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের অন্তর্গত সর্বত্র জনসাধারণ ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সবরকম পরিচয় ফলক অর্থাৎ সাইনবোর্ড, বিজ্ঞপ্তিলট বা হোর্ডিং এবং চিহ্ন বা সাইন এজ অন্য যে কোন ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক। এই নির্দেশনামা সকল বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, দোকান, কোম্পানি, শপিংমল, অফিস, রেস্তোঁরা, হোটেল, হাসপাতাল এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে প্রযোজ্য হবে বলে নিগম জানায়। শিলিগুড়ি পৌর নিগম জানিয়েছে সকল নগরবাসীদের কাছে বাংলা ভাষার ঐতিহ্য বহাল রাখা এবং সকলের অন্তর্ভূক্তির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। বাংলাপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাপক্ষ জানিয়েছে এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটাই দেখার বিষয়।
“গত ১১ বছরে বাংলায় রেলের বরাদ্দ ১৭% থেকে কমিয়ে সাড়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে” রাজ্যসভায় ঋতব্রত
১৯ মার্চ, কলকাতা: গত ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলায় রেলের বাৎসরিক বরাদ্দ প্রায় ১৭ শতাংশ, থেকে কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ শতাংশের মতো।” এভাবেই বাংলার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের মোদী শাসিত বিজেপি সরকার দেশের অবিজেপি শাসিত রাজ্যগূলোকে রেলের বরাদ্দ অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দিয়েছে। বাংলায় ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়ে বিজেপি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “আমরা বুলেট ট্রেনের বিরোধী নই। কিন্তু যেভাবে গোটা দেশে বাণিজ্য বিস্তারের জন্য ডেডিকেটেড রেল ফ্রেট করিডোর তৈরির কাজ পেছনে ফেলে রেখে বুলেট ট্রেনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তার বিরোধী আমরা। বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় 200 কোটি টাকা। অথচ ডেডিকেটেড রেল ট্রেড করিডোর তৈরির জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ মাত্র ২৫ কোটি টাকা। কেন ফ্রেট করিডোর তৈরিতে তাহলে অগ্রাধিকার দেবে না রেল মন্ত্রক?”
রেল মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেন “আমরা জানতে চাই রাজ্য সরকারের তরফে যাবতীয় জমি অধিগ্রহণ সমস্যা মিটিয়ে জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া সত্ত্বেও কেন বিহারের শোননগর থেকে বাংলার ডানকুনি পর্যন্ত ফ্রেট করিডরের কাজ গত ১২ বছর ধরে আটকে পড়ে রয়েছে? কেন এই কাজ শুরু করা গেল না? এই ফ্রেট করিডোর তৈরি হলে সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা তাদের পণ্য সহজে পরিবহন করতে পারতেন এবং তার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরো কমানো সম্ভব হত।”