২৪ জুলাই, ২০২৫ কলকাতা : বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থার শিকার বাংলার ৭ জন শ্রমিক। হরিয়ানার গুরগাঁও এলাকায় নির্মাণকাজে নিযুক্ত মালদার সাতজন পরিযায়ী শ্রমিককে গতকাল রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃত শ্রমিকরা হলেন – আজমল হোসেন, লোকমান আলী, উসমান আলী, মানিরুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম, পসেন দাস ও অভিজিৎ দাস। সকলেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রাঙ্গাইপুরের ঠাকুরটোলা গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ, যথাযথ ভোটার, আধার ও অন্যান্য বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সেখানকার পুলিশ তাঁদের মারধর করছে, ঠিক মতো খাবার দিচ্ছে না, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
এই ঘটনায় তাঁদের পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মায়েরা। প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা গ্রাম। এলাকায় বিক্ষোভও দেখা গেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্যই তাঁদের এই হেনস্থা—যা একেবারেই অমানবিক ও অসাংবিধানিক। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মন্ত্রীর গড়ে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওরা ভারতীয়, শুধু বাংলায় কথা বলার জন্য এভাবে দোষী বানানো যায় না। এই অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।”
পরিবারগুলির একটাই দাবি—নিঃশর্ত মুক্তি ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। আর রাজনীতির বাইরে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—”বাংলা ভাষায় কথা বলা কি তাহলে অপরাধ?”
এদিকে বিজেপি বলছে, অনুপ্রবেশ রোধের জন্য কড়া পদক্ষেপ জরুরি। কিন্তু অনুপ্রবেশ রোধ করে বিএসএফ। যা কেন্দ্র সরকারের অধীনে। এত অনুপ্রবেশ হলে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের উচ্চস্তরীয় বৈঠকে বসছে না কেন? পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে হেনস্থা করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য? অন্য কোনও রাজ্য হলে নিজের জাতির মানুষের জন্য রাজনীতি ত্যাগ করে এক হয়ে যেত। বাংলার বিজেপি নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
বাংলার সাত পরিযায়ী শ্রমিক হরিয়ানায় বাংলাদেশি সন্দেহে ডিটেনশন ক্যাম্পে
