শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক

Share the News

০১ এপ্রিল, ২০২৫, কলকাতা: গত ৩০ মার্চ শিয়ালদহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরোনোর পথে এক ব্যক্তি এক বা একাধিক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বঙ্গপ্রহরী আপডেট্‌স নামক মিডিয়া চ্যানেলের এডিটর-ইন-চিফ বিক্রমাদিত্য রায়চৌধুরী ও তার চিত্র সাংবাদিক বোধিস্বত্ত্ব বোস ক্যানিং–শিয়ালদা লোক্যাল ট্রেনে ৫.৩০ মিনিটে স্টেশনে নেমে বের হওয়ার পথে ব্যাপারটি লক্ষ করেন এবং ঘটনাটি ভিডিয়ো করেন। শুধু তাই নয় এই নিয়ে তারা প্রতিবাদ করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও শ্লীলতাহানির শিকার মহিলাটিকে নিয়ে তারা আর পি এফ এর কাছে নিয়ে যান। একজন মহিলা আরপিএফ বিষয়টি সামাল দিতে তার সহকর্মী রজনীশ কুমারকে ডাকে। রজনীশ কুমার ঘটনাটি সঠিক পর্যবেক্ষণ না করেই শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা ও উপস্থিত জনতার ভিড়কে সরিয়ে দিতে উদ্যত হন এবং চেঁচাতে থাকেন। ফলত, শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা ও ভয় পেয়ে ভিড়ের সাথে চলে যান। এরপর রজনীশ কুমার তাদের আর.পি.এফ অফিসে নিয়ে যান। যাওয়ার পথে তিনি বিক্রমাদিত্য এবং তার সহকর্মীর সাথে ক্রমাগত খারাপ আচরণ ও বচসা করতে থাকেন। অফিসে পৌঁছানোর পর বিক্রমাদিত্য যখন ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলতে চায়, তখন অফিসারটি কথা না শুনে তাদের ধমক দেন ও অশালীন শব্দ ব্যবহার করেন। এরপর তিনি বিক্রমাদিত্যের উপর আক্রমণ করেন এবং তার চিত্র সাংবাদিকের মোবাইল ফোনটি ফেলে দেন। চিত্রসংবাদিক বোধিস্বত্ত্ব বোস আত্মরক্ষার জন্য আরপিএফের আচরণ ক্যামেরা বন্দী করছিল। বিক্রমাদিত্যকে সজোরে আঘাত করার ফলে রক্তক্ষরণ হয় এবং আঘাত প্রাপ্ত হন।
বিক্রমাদিত্য রায়চৌধুরী এই বিষয়ে শিয়ালদা জিআরপির কাছে অভিযোগ করেন। নিজের কর্তব্য করতে গিয়ে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উলটে প্রতিবাদকারীকেই হেনস্থা হতে হচ্ছে। বাংলার স্টেশনে হিন্দিভাষী আরপিএফের এহেন আচরণ একবার নয়, বারবার চোখে পড়ছে। অথচ প্রশাসন নীরব। যদি এই ঘটনার বিহিত না হয়, বাংলাপক্ষ পথে নামার হুমকি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *