‘হিন্দি দিবস’ এ হিন্দি আগ্রাসন প্রতিরোধের ডাক দিয়ে “কালো দিন” পালন বাংলা পক্ষর এবং কলকাতায় মিছিল

কলকাতা,১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫: আজ অর্থাৎ ১৪ ই সেপ্টেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ‘হিন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে। ১৯৪৯ সালে আজকের দিনেই হিন্দিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের সব অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ‍্যতামূলক ভাবে এইদিনটি পালন করতে হয়। হিন্দি প্রসারের উদ্দেশ‍্যে কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান গুলোয় হিন্দি পক্ষ পালন করে হিন্দিতে কথাবার্তা ও অফিসের কাজ করতে উৎসাহিত করা হয়। ভারতের মত একটি বহুভাষিক যুক্তরাষ্ট্রে একটি ভাষার প্রসারে এইভাবে সরকারি উদ‍্যোগ আসলেই অহিন্দি ভাষাভাষি মানুষের উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল।এই হিন্দি দিবসকে ‘কালো দিন’ ঘোষণা করে, হিন্দি চাপানোর বিরুদ্ধে তামিল, কণ্ণড়, মারাঠি, তেলেগুর মত বহু অহিন্দি জাতিই দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। বাংলা পক্ষ স‌ংগঠন বাংলার মাটিতে এই দিন বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদী সভা, মিছিল, পোস্টারিং করছে বিগত বছরগুলোতে। আজ কলকাতার যাদবপুর থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত প্রতিবাদী মিছিল আয়োজন করা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শরৎ চন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মত বাঙালি জাতির জাতীয়তাবাদী চেতনার পথপ্রদর্শকদের মত তামিল আন্নাদুরাই, কণ্ণড় কোভেম্পুর মত ভারতের অহিন্দি নায়কদের ছবি নিয়েই মিছিলে হাঁটেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। মিছিল থেকে হিন্দি সাম্রাজ‍্যবাদের বিরুদ্ধে সকল অহিন্দি জাতির ঐক‍্যের ডাক দেওয়া হয়। বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন “তামিল, কন্নড় সহ বিভিন্ন জাতির জাতীয়তাবাদী সংগঠন বাংলা পক্ষর আজকের কর্মসূচীকে সংহতি জানিয়েছে। অহিন্দি জাতিসমূহের সর্বভারতীয় সংস্থা থেকেও সংহতি বার্তা এসেছে। হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগামীদিনে সারা ভারতের সকল অহিন্দি জাতিই এখন একে অন‍্যের পাশে দাঁড়াচ্ছে। হিন্দি সাম্রাজ‍্যবাদ ধ্বংস হবেই। বাঙালির রক্তে স্বাধীন ভারতে বাঙালির সমানাধিকার প্রতিষ্ঠাই বাংলা পক্ষর লক্ষ্য। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ মুক্ত ভারত গড়বো আমরা। হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপি যেভাবে ভারতে হিন্দিকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তা আমরা ব্যর্থ করবোই।” সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বাংলার শাসক দলকে একদিকে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও অন‍্যদিকে হিন্দি-উর্দু তোষণের দ্বিচারিতা ছেড়ে বাঙালি পক্ষে থাকার কথা বলেন। তিনি বলেন “WBCS এ হিন্দি-উর্দু পুনরায় ঢুকিয়ে, স্কুলে বাংলা বাধ‍্যতামূলক না করে, চাকরিতে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ না করে, শুধু মুখেই বাঙালি জাতিসত্তার কথা বলে আর বাঙালির ভোট পাওয়া যাবে না। এরা বা‌ংলার সরকার সত‍্যি করেই বাঙালির জন‍্য কিছু করে দেখাক। অন্যদিকে বিজেপি ভারতে হিন্দির আধিপত্য কায়েম করতে চায়। তা আমরা কোনো ভাবেই হতে দেব না।”এই মিছিলে সংগঠনের শীর্ষ পরিষদ সদস‍্য অরিন্দম চ‍্যাটার্জী, মনোজিৎ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, সৌম‍্য কান্তি ঘোড়ই, মহ: সাহিন সহ বিভিন্ন জেলার সম্পাদক সহ অন‍্যান‍্য নেতৃত্ব অংশ নেন।

Read More

রাজ্যের এস এস সি পরীক্ষায় চোখে পড়ার মত সংখ্যায় বহিরাগত

কলকাতাঃ ৭ সেপ্টেম্বরঃ ৯ বছর পর রাজ্যে আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। মোট ৩৫৭২৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। পরীক্ষা হবে দুই ধাপে। আজ রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম দফার নবম-দশম বিভাগের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,১৯,৯১৯ জন। তার পরের সপ্তাহে, ১৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ধাপের একাদশ-দ্বাদশ বিভাগের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২,৪৬,০০০ জন। প্রথম ধাপের পরীক্ষা হচ্ছে ৬৩৬টি কেন্দ্রে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ৪৭৮ট কেন্দ্রে।কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি হবে। মহিলা প্রার্থীদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে যেখানে মহিলা কর্মীরা তল্লাশি চালাবেন। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন করা যাবে না। শুধু স্বচ্ছ ফাইলের মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড, পরিচয়পত্র, কলম এবং স্বচ্ছ জলের বোতল নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।প্রশ্নপত্র সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সিল করা খামে কেন্দ্রে পৌঁছবে এবং ঠিক দুপুর ১২টায় তা খোলা হবে। এরপর পরীক্ষা শুরু হলে আর কোনও প্রার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ওএমআর শিটের ১ থেকে ৫ নম্বর স্থানে সঠিকভাবে পূরণ না করলে উত্তরপত্রে বাতিল হয়ে যাবে। তবে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের কার্বন কপি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, পাশাপাশি বসা দুই প্রার্থীর প্রশ্নপত্র এক হবে না।পরীক্ষা শুরুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পরীক্ষার প্রটোকল সংক্রান্ত একাধিক গাইডলাইন ঘোষণা করেছেন। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক নিয়োগ রদ করে দেয়। এরপর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন।এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গা বিশেষত আসানসোল, দুর্গাপুর ও কলকাতা থেকে অভিযোগ বহিরাগত রাজ্যের পরীক্ষার্থী প্রায় ৪০ শতাংশ। বাংলাপক্ষ’র দাবি একজনও যেন ভূমিপুত্র চাকরি থেকে বঞ্চিত না হয়। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? যে রাজ্যে রাজ্যের সরকারি ভাষা তেরোটি সেই রাজ্যে অন্যরাজ্য থেকে ব্যাপক হারে পরীক্ষার্থী ঢুকবে স্বাভাবিক। ভূমিপুত্র সংরক্ষণ ছাড়া এই অনুপ্রবেশ আটকানো সম্ভব নয়। ভারত একটি বড় দেশ। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরীক্ষার্থী আসবে এবং এ রাজ্য থেকে পরীক্ষার্থী যাবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ৮৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বললেও এখানে বাংলা বাধ্যতামূলক নয়। ফলে অন্যরাজ্যের তুলনায় বাংলার রাজ্য সরকারের পরীক্ষায় বহিরাগতদের সংখ্যা চোখে পড়ার মত।বাংলাপক্ষ দাবি করেছে, এই রাজ্যের একজনও চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক এবং বাংলার তরুণ-তরুণীরা যেন শিক্ষকতার চাকরি থেকে বহিরাগতদের দ্বারা বঞ্চিত না হয়। এই মর্মে তারা রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে মেল করেছে।রাজ্যে সুষ্ঠু ভাবে দুর্নীতিমুক্ত ভাবে স্কুল সার্ভিস পরীক্ষা সফল হোক এটাই সকলের কাম্য। বিরোধীরা ভুলবার্তা ও গুজব ছড়িয়ে এই পরীক্ষাকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। তাকে সাধারণ মানুষ ব্যর্থ করবে।

Read More

প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তরে হিন্দিভাষী গুণ্ডাদের হাতে আক্রান্ত গর্গ চট্টোপাধ্যায়: প্রতিবাদে পথে বাংলা পক্ষ

কলকাতা, ৩০ আগস্টঃ গতকাল ২৯ আগস্ট প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সদর দপ্তর বিধান ভবনে তাণ্ডব চালায় বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী। এই নক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শ্রী শুভঙ্কর সরকারকে সংহতি জানাতে গতকাল বিধান ভবনে যান বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি। সন্ধ্যা ৬টা ১০ এ সেখানে প্রদেশ সভাপতির সাথে গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের কথা চলাকালীন হঠাৎ কংগ্রেস সেবাদলের সভাপতি রাহুল পান্ডে, প্রমোদ পান্ডে এবং কংগ্রেস কাউন্সিলার সন্তোষ পাঠকসহ আরও একাধিক হিন্দিভাষী গুণ্ডা আক্রমণ করে গর্গ চট্টোপাধ্যায়। গর্গ চট্টোপাধ্যায় এসএসকেএম এ চিকিৎসা করান এবং ডাক্তারি পরামর্শ মত ভোর ৩’৩০ টার সময় বাড়ি ফেরেন।বাংলার রাজধানীতে বরেণ্য বাঙালি রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্মৃতিধন্য প্রদেশ সদর দপ্তরে এই ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কংগ্রেস দলটা এখন পরিচালনা করছে এইসব বহিরাগত ক্রিমিনালরা, এখানে বাঙালির কোন গুরুত্ব নেই। গতকাল প্রদেশ সভাপতি সহ একাধিক বাঙালি নেতৃত্ব এই গুণ্ডাদের থামাতে পারেনি, এতেই স্পষ্ট যে বাঙালি নেতারা আজ গুরুত্বহীন, নেহাতই আলঙ্কারিক পদে আছেন তাঁরা। অথচ বাংলায় কংগ্রেসের একমাত্র সাংসদ মালদা জেলায়, যেখানে ভোটার সকলেই বাঙালি। কংগ্রেসের এখনো যেটুকু ভোট আছে, তা বাঙালির জন্য। অথচ সেই দলের রাজ্য দপ্তর আজ বহিরাগত ক্রিমিনালদের দখলে।বাংলা পক্ষর স্পষ্ট দাবি প্রদেশ সদর দপ্তরে সভাপতির উপস্থিতিতে ঘটা এই ঘটনার দায় রাজ্য কংগ্রেসকে নিতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।অন্যথায় বাঙালির প্রতিবাদ আন্দোলন তীব্র হবে, কংগ্রেসের বাঙালি ভোটাররাও মুখ ফেরাবে। মুর্শিদাবাদ, মালদার বাঙালিও ক্ষুব্ধ গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণের ঘটনায়, এই ঘটনার প্রভাব ভোটে পড়বে।আজ এই ঘটনার বিরুদ্ধে বিকেল ৫:০০ টায় বাংলা পক্ষ সংগঠন বিধান ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এবং তারপর এন্টালি থানায় ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে সকল প্রমাণ সহ অভিযোগ জানানো হয়। বাংলাপক্ষের তরফ থেকে হাজারো বাঙালি উপস্থিত ছিল। উপস্থিত ছিল বাংলাপক্ষ’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জি,আব্দুল লতিফ, মনন মন্ডল, মহম্মদ সাহিন প্রমুখ। কৌশিক মাইতি বলেন, ‘আমরা রাহুল গান্ধী বিজেপির বিরুদ্ধে যে আদর্শিক লড়াই করছে সেই লড়াই এ আমরা সমর্থন জানাই, কিন্তু বাংলার কংগ্রেস বহিরাগতদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। রাহুল গান্ধী ফেডেরাল গঠনের কথা বলেন, ভাষার অধিকারের কথা বলেন, কিন্তু বাংলার কংগ্রেস তাকে পাত্তা দেয় না’।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভংকর সরকার গতকাল এই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আজ শুভঙ্কর সরকার মিথ্যে আরোপ করেন। এখানেই প্রমাণ হয় বাংলার কংগ্রেসের মেরুদন্ড বহিরাগদের কাছে বিকিয়ে গেছে। অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে জাতির প্রশ্নে সমস্ত দল এক হয়ে দাঁড়ায়। বাংলায় জাতির প্রশ্নে বাঙালি রাজনৈতিক দলে বিভাজিত। বাঙালি আর কবে এক হবে?

Read More

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে বাংলাদেশি দাগিয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধে আসানসোলে বাংলা পক্ষর বিরাট মিছিল

আসানসোল, ২৪ আগস্ট,২০২৫: ভারতের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ‍্যে বাংলায় কথা বলায় হিন্দু- মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালিদের উপর “বাংলাদেশী” তকমা দিয়ে নির্যাতনের ঘটনা নিয়মিত ঘটে চলেছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে চলছে অকথ্য অত্যাচার। বিজেপি শাসিত রাজ‍্যগুলোয় প্রশাসন সরাসরি হিন্দু- মুসলিম সকল বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত‍্যাচার করছে, ডিটেনশন ক‍্যাম্পে বন্দি করছে। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালি কাজ হারিয়ে, মার খেয়ে রাজ‍্যে ফিরছে। অথচ আসানসোল শিল্পাঞ্চল সহ সমগ্র বাংলা জুড়ে সব কাজ বহিরাগতদের দখলে। বাংলায় সমস্ত শিল্পাঞ্চল ও শহরাঞ্চলের কোটি কোটি কাজ বহিরাগতদের দখলে। আসানসোল, বারাবনী, জামুড়িয়া, কুলটি, রানীগঞ্জ সহ বাংলার সব শহর দখল হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। বাঙালির রক্তে স্বাধীন ভারতে বাঙালির উপর এই অত‍্যাচারের বিরুদ্ধে আজ অর্থাৎ ২৪শে আগস্ট আসানসোলে মিছিল করল বাংলা পক্ষ। মিছিল চলে আসানসোল বাসস্ট্যান্ড থেকে আশ্রম মোড় পর্যন্ত। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন, ” হিন্দি সাম্রাজ‍্যবাদী বাঙালি বিদ্বেষী বিজেপি বাঙালির মুখের ভাষা থেকে নাগরিকত্ব সব কিছুই কাড়তে চায়। বিজেপি চায় বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে। কিন্তু বাংলা পক্ষ তা হতে দেবে না, বাঙালি জেগে উঠেছে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ঝড় ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা ভারতের মাটিতে প্রথম সারির নাগরিক হয়ে মাথা উঁচু করেই বাঁচব।” তিনি বা‌ংলার সরকারের কাছে দাবি করেন, “অবিলম্বে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন করে, ভিন রাজ‍্য থেকে ফিরে আসা বাঙালিদের কাজের ব‍্যবস্থা করার। বাঙালি কাজ হারিয়ে ঘরে বসে থাকবে আর বাংলায় দু কোটি বহিরাগত কাজ করবে এটা চলতে পারেনা, বলেই তিনি উল্লেখ করেন।” সাংগঠনিক সম্পাদক তথা শীর্ষ পরিষদ সদস‍্য কৌশিক মাইতি বলেন ” মুসলমান অনুপ্রেবশকারী, রোহিঙ্গা তাড়ানোর নাম করে বিজেপি বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। বিজেপি শাসিত রাজ‍্যগুলোয় হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালি আক্রান্ত। আক্রমণের কারণ ধর্ম নয়, মাতৃভাষা। কারণ বাবাই সর্দার থেকে বুদ্ধদেব বারিকের মতো হাজার হাজার হিন্দু বাঙালিকে অত্যাচার করা হয়েছে ডিটেনশন ক্যম্পে ঢুকিয়ে। আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে আক্রান্ত, তাই প্রতিরোধ গড়তে হবে বাঙালি হিসেবেই।” পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,” আমাদের ছেলেরা বাইরের রাজ্যে বাঙালি বলে মার খাচ্ছে, আর ইউপি বিহার ঝাড়খণ্ড থেকে ২ কোটি বহিরাগত আমাদের রাজ্যে এসে চাকরি দখল করছে, ফুটপাত দখল করছে, কলকারখানা, টোটো-অটো সব কাজ দখল করছে, এমনকি রাজনীতিও নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকের এই মিছিল, এই শিল্পাঞ্চলে সমস্ত ফ্যাক্টরি, ফুটপাত, চাকরি, ব্যবসা যা কিছু বাঙালীর দখল হয়ে গেছে তা সব পুনর্দখলের করার ডাক দেওয়া হলো এই মিছিল থেকে। এদিনের মিছিলে অংশ নেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য সম্রাট কর ও শীর্ষ পরিষদ সদস্যা করবী রায়। উপস্থিত ছিলেন নানা জেলা নেতৃত্ব ও বিধানসভা সম্পাদক সহ হাজার হাজার সাধারণ সহযোদ্ধারা। মিছিলে বাঙালির উপর অত্যাচার বন্ধের দাবি ওঠে এবং দাবি ওঠে বাংলায় ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করে বাঙালিকে চাকরি- কাজ দেওয়ার৷ বাংলা পক্ষর মিছিল ঘিরে বাঙালির উৎসাহ তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

Read More

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে বাংলাদেশি দাগিয়ে অত্যাচারের বিরুদ্ধ রাখি পূর্ণিমার পুণ্য লগ্নে কলকাতার রাজপথে বিরাট মিছিল বাংলা পক্ষ

৯ আগস্ট, শনিবার, কলকাতাঃ ভারতের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ‍্যে বাংলায় কথা বলায় হিন্দু- মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালিদের উপর “বাংলাদেশী” তকমা দিয়ে নির্যাতনের ঘটনা নিয়মিত ঘটে চলেছে। ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে চলছে অকথ্য অত্যাচার। বিজেপি শাসিত রাজ‍্যগুলোয় প্রশাসন সরাসরি হিন্দু- মুসলিম সকল বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত‍্যাচার করছে, ডিটেনশন ক‍্যাম্পে বন্দি করছে। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালি কাজ হারিয়ে, মার খেয়ে রাজ‍্যে ফিরছে। অথচ এখানকার কাজ সব বহিরাগতদের দখলে। বাংলায় সমস্ত শিল্পাঞ্চল ও শহরাঞ্চলের কোটি কোটি কাজ বহিরাগতদের দখলে। কলকাতা সহ সব শহর দখল হয়ে গেছে। বাঙালির রক্তে স্বাধীন ভারতে বাঙালির উপর এই অত‍্যাচারের বিরুদ্ধে আজ রাখি পূর্ণিমার দিন কলকাতায় মিছিল করল বাংলা পক্ষ। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রাখি বন্ধন উৎসব চালু করেছিলেন কবিগুরু রবি ঠাকুর৷ তাই এই ঐতিহাসিক রাখি বন্ধনের দিনই কলেজ স্ট্রীট থেকে শুরু হয়ে এই মিছিল শেষ হয় শ‍্যামবাজারে বীর সুভাষের মূর্তির পাদদেশে। রাখি বন্ধনের মাধ‍্যমে বাঙালির ঐক‍্যের যে বার্তা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণ করে রাখি বন্ধনের মাধ‍্যমেই বাঙালির ঐক‍্যবদ্ধ প্রতিরোধের ডাক দিল বাংলা পক্ষ।সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন ” হিন্দি সাম্রাজ‍্যবাদী বাঙালি বিদ্বেষী বিজেপি বাঙালির মুখের ভাষা থেকে নাগরিকত্ব সব কিছুই কাড়তে চায়। বিজেপি চায় বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে। কিন্তু বাংলা পক্ষ তা হতে দেবে না, বাঙালি জেগে উঠেছে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের ঝড় ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা ভারতের মাটিতে প্রথম সারির নাগরিক হয়ে মাথা উঁচু করেই বাঁচব।” তিনি বা‌ংলার সরকারের কাছে দাবি করেন, “অবিলম্বে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ আইন করে, ভিন রাজ‍্য থেকে ফিরে আসা বাঙালিদের কাজের ব‍্যবস্থা করার। বাঙালি কাজ হারিয়ে ঘরে বসে থাকবে আর বাংলায় দু কোটি বহিরাগত কাজ করবে এটা চলতে পারেনা, বলেই তিনি উল্লেখ করেন।”সাংগঠনিক সম্পাদক তথা শীর্ষ পরিষদ সদস‍্য কৌশিক মাইতি বলেন ” মুসলমান অনুপ্রেবশকারী, রোহিঙ্গা তাড়ানোর নাম করে বিজেপি বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। বিজেপি শাসিত রাজ‍্যগুলোয় হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালি আক্রান্ত। আক্রমণের কারণ ধর্ম নয়, মাতৃভাষা। কারণ বাবাই সর্দার থেকে বুদ্ধদেব বারিকের মতো হাজার হাজার হিন্দু বাঙালিকে অত্যাচার করা হয়েছে ডিটেনশন ক্যম্পে ঢুকিয়ে। আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে আক্রান্ত, তাই প্রতিরোধ গড়তে হবে বাঙালি হিসেবেই।” এদিনের মিছিলে বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদের অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, আব্দুল লতিফ, সম্রাট কর, মহ সাহীন, সৌম্য কান্তি ঘোড়ই ও বিভিন্ন জেলা সম্পাদক সহ জেলা নেতৃত্ব অংশ নেন। হাজার হাজার বাঙালি এই মিছিলে হাঁটে। মিছিলে বাঙালির উপর অত্যাচার বন্ধের দাবি ওঠে এবং দাবি ওঠে বাংলায় ভূমিপুত্র সংরক্ষণ করে বাঙালিকে চাকরি- কাজ দেওয়ার৷ বাংলা পক্ষর মিছিল ঘিরে বাঙালির উৎসাহ তাক লাগিয়ে দেবে৷

Read More

বাংলার সাত পরিযায়ী শ্রমিক হরিয়ানায় বাংলাদেশি সন্দেহে ডিটেনশন ক্যাম্পে

২৪ জুলাই, ২০২৫ কলকাতা : বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থার শিকার বাংলার ৭ জন শ্রমিক। হরিয়ানার গুরগাঁও এলাকায় নির্মাণকাজে নিযুক্ত মালদার সাতজন পরিযায়ী শ্রমিককে গতকাল রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃত শ্রমিকরা হলেন – আজমল হোসেন, লোকমান আলী, উসমান আলী, মানিরুল ইসলাম, সাদিকুল ইসলাম, পসেন দাস ও অভিজিৎ দাস। সকলেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রাঙ্গাইপুরের ঠাকুরটোলা গ্রামের বাসিন্দা।অভিযোগ, যথাযথ ভোটার, আধার ও অন্যান্য বৈধ নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সেখানকার পুলিশ তাঁদের মারধর করছে, ঠিক মতো খাবার দিচ্ছে না, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।এই ঘটনায় তাঁদের পরিবারের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মায়েরা। প্রতিবাদে সরব হয়েছে গোটা গ্রাম। এলাকায় বিক্ষোভও দেখা গেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্যই তাঁদের এই হেনস্থা—যা একেবারেই অমানবিক ও অসাংবিধানিক। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মন্ত্রীর গড়ে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ওরা ভারতীয়, শুধু বাংলায় কথা বলার জন্য এভাবে দোষী বানানো যায় না। এই অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না।”পরিবারগুলির একটাই দাবি—নিঃশর্ত মুক্তি ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। আর রাজনীতির বাইরে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন—”বাংলা ভাষায় কথা বলা কি তাহলে অপরাধ?”এদিকে বিজেপি বলছে, অনুপ্রবেশ রোধের জন্য কড়া পদক্ষেপ জরুরি। কিন্তু অনুপ্রবেশ রোধ করে বিএসএফ। যা কেন্দ্র সরকারের অধীনে। এত অনুপ্রবেশ হলে ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের উচ্চস্তরীয় বৈঠকে বসছে না কেন? পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে হেনস্থা করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য? অন্য কোনও রাজ্য হলে নিজের জাতির মানুষের জন্য রাজনীতি ত্যাগ করে এক হয়ে যেত। বাংলার বিজেপি নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।

Read More

বিপি সংবাদের খবরের জের, হিন্দির বদলে বাংলা

৯ জুলাই, ২০২৫, কলকাতাঃ বিপি সংবাদের খবরের জের ও বাংলাপক্ষ’র প্রতিবাদে রাতারাতি বদলে গেল বিজ্ঞপ্তি। গত ৩ জুলাই কলকাতা তথা বাংলার খ্যাতনামা এস এস কে এম বা পিজি হাসপাতালের অধীন ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ কেন্দ্রে একটি প্রজেক্টে ‘প্রজেক্ট টেকনিক্যাল সাপোর্ট-II’ পদে একজন লোক নেওয়া হবে বলে একটি বিজ্ঞাপন বেরোয়। সেখানে হিন্দি বাধ্যতামূলক জানতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের ৮৬ শতাংশ মানুষ বাংলায় কথা বলে। বাংলা ভাষার ভিত্তিতে সৃষ্টি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। এখানে বাংলাভাষী কেন নেওয়া হবে না? তামিলনাড়ুতে একই বিজ্ঞপতিতে তামিল জানা বাধ্যতামূলক হলে এখানে নয় কেন? বিজ্ঞাপন ৮ জুলাই সামনে আসা মাত্র প্রতিবাদে গর্জে ওঠে বাংলাপক্ষ। বিপি সংবাদ খবর করে। বাংলাপক্ষ ১০ই জুলাই ডেপুটেশন দেওয়া ও বিক্ষোভ মিছিলের জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি করে। সামাজিক মাধ্যমে সাধারণ বাঙালি গর্জে ওঠে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বিজ্ঞাপন তুলে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে বাংলা বলতে জানা আবশ্যিক করা হয়। বিজ্ঞাপন বদলালেও প্রশ্ন থেকে যায়, বাংলাতে বাঙালির বিরুদ্ধে কারা এই ষড়যন্ত্র করছে? কারা বাংলার সমস্ত পোস্টগুলোকে দখল করতে চাইছে? বাংলাপক্ষ এর বিরুদ্ধে ক্রমাগত আন্দোলন চালাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাপক্ষ’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।

Read More

WBCS এ বাংলা বাধ্যতামূলক করেও সরকার পিছু হটল কেন? দাবিতে বাংলাপক্ষ’র মহামিছিল

২৯ জুন, ২০২৫ কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক করেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন পিছু হটল? কেন হিন্দি-উর্দুকে সরিয়ে দিয়ে দিয়ে আবার ঢোকানো হল? কোন শক্তির চাপে? প্রতি রাজ্যের সিভিল সার্ভিসসহ রাজ্য সরকারি পরীক্ষায় সেই রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম কেন? এই দাবি নিয়ে আজ বাংলাপক্ষ’র মহামিছিল হয় কলকাতার রবীন্দ্র সদনের নিকটবর্তী একুশে উদ্যান থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত। বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাপক্ষ’র সহযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের আগমন ঘটে এই মিছিলে। সাধারণ বাঙালি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে এই মিছিলে যোগ দেয়। বেলা চারটেয় মিছিল শুরু হয়। বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলাপক্ষ’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য রজত ভট্টাচার্য, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,সম্রাট কর,মহম্মদ সাহিন, মনন মন্ডল, সৌম্যকান্তি ঘড়ুই, মনোজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ আব্দুল লতিফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাপক্ষ’র বিভিন্ন জেলার জেলা সম্পাদক, সদস্য ও সহযোদ্ধাগণ। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে বাংলায় সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত চাকরির পরীক্ষায় সাধারণ বাঙালির সমর্থন আছে। অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন-‘ প্রতি রাজ্যে যা সত্য তা বাংলায় নয় কেন? বাংলা সরকার WBCS এ বাংলা বাধ্যতামূলক করার গেজেট প্রকাশ করেও কেন পিছু হটল?’ তিনি আরও বলেন-‘ বাংলার বিরোধী দলগুলি এই বিষয়ে চুপ কেন? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন উর্দু সংযুক্তির জন্য সওয়াল করেন? তাদের বাংলার প্রতি কি কোন দায়বদ্ধতা নেই।’ সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন-‘ ভোটের সময় বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, আর ভোট ফুরোলে বাংলার মেয়ে হিন্দি-উর্দু কেন চায়? এই সমস্যার সমাধান না হলে এই ইস্যুতে পরবর্তীতে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Read More

হাড়োয়ার হামাদামা বাজারে বাংলা পক্ষের সভা: ভূমিপুত্র সংরক্ষণ ও বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি

হাড়োয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, ১১ মে: ১১ই মে সন্ধ্যেবেলা উত্তর চব্বিশ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার অন্তর্গত হামাদামা বাজারে বাংলা পক্ষ আয়োজিত একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য মহম্মদ সাহীন, জেলা সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার,সহ সম্পাদক বিরাজ সর্দার সহ একাধিক স্থানীয় কর্মী ও সমর্থক। সভায় মূলত তিনটি দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়—হামাদামার তেলের খনিতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের চাকরির অধিকার নিশ্চিত করা, রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করা এবং বাংলার সব বিদ্যালয় ও সরকারি চাকরিতে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা। গর্গ চ্যাটার্জি বলেন, “বাংলার মাটিতে, বাংলার সম্পদে, আগে বাংলার ছেলেমেয়েরা কাজ পাবে—এই ন্যায্য দাবি আমরা জানাচ্ছি। তেলের খনিতে বহিরাগতদের নয়, স্থানীয় যুবকদেরই অগ্রাধিকার দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই বাংলার প্রতিটি স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হোক। বাংলা ভাষার প্রতি অবহেলা আমরা আর সহ্য করব না।” কৌশিক মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যেভাবে আক্রমণ চলছে, তাতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার নির্বিকার। আমরা চাই এর অবিলম্বে অবসান হোক এবং পরিযায়ী বাঙালিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।” স্থানীয় মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং জোরালো স্লোগানে সভা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বাংলা পক্ষ জানিয়েছে, এই দাবিগুলি পূরণের জন্য আগামী দিনে জেলাজুড়ে আরও কর্মসূচি নেওয়া হবে।

Read More

বিজেপি শাসিত নানা রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের আক্রমণের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের সালারে বাংলা পক্ষর সভা

মুর্শিদাবাদ, ০১-০৫-২০২৫ : দাঙ্গা কবলিত মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঙ্গাবিরোধী বার্তা দিতে এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যে (ওড়িষ্যা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ইত্যাদি রাজ্যে) বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা করার প্রতিবাদ জানিয়ে মুর্শিদাবাদের সালারে সভা করলো বাংলা পক্ষ। বাংলার নানা জেলার শ্রমিকরা বিজেপি শাসিত নানা রাজ্যে আক্রান্ত হচ্ছে। মার খেয়ে বাড়ি ফেরত আসছে। অথচ বাংলায় পর্যাপ্ত কাজ আছে। বাংলায় বাঙালিকে কাজ ও চাকরিতে নেওয়া হয় না। বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। বিহার দিবসের অনুষ্ঠানে আসানসোলে বসে বিহারের মধুবনীর বিজেপির সাংসদ বলেছে, বাংলায় ২ কোটি বিহারের লোক কাজ করছে। বাংলার শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক বিধানসভায় বলেছেন যে বাংলার ২১ লাখ শ্রমিক বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গেছে এবং বাইরের রাজ্য থেকে বাংলায় দেড় কোটি মানুষ কাজ করতে এসেছে। বাংলায় কাজ থাকলেও বাঙালি অন্য রাজ্যে গিয়ে মার খাচ্ছে। এর সমাধান হল চাকরি ও কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ৷ বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিতে লড়াই করছে। বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী। বিজেপি যেখানেই ক্ষমতায় সেখানে বাঙালি শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছে। দিল্লিতে বাঙালির মাছের দোকানও আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর৷ ওড়িষ্যাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই বাঙালিকে মারধোর শুরু হয়েছে। ওড়িষ্যা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের আক্রমণের বিরুদ্ধে ভরতপুর বিধানসভার সালারে গর্জে উঠলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার বলেন, “বাঙালি শ্রমিকরা বাইরের রাজ্যে মার খাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন? সরকার কি ব্যবস্থা করছে। অন্য রাজ্যের লোকজন বাংলায় লুটেপুটে খাচ্ছে৷ অথচ রাজ্য সরকার ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু করছে না কেন?” তিনি আরও বলেন, “হিন্দু হোক বা মুসলমান, দাঙ্গা করলেই ডাণ্ডা দিন। বাংলায় কোনো দাঙ্গা চলবেনা। হিন্দু- মুসলিম এক হয়ে বাঙালি হিসাবে লড়তে হবে।” সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বাংলার শিল্পাঞ্চল গুলোয় বাঙালির কর্ম সংস্থানের দাবি করেন। তিনি বলেন, “শিল্প হয় কোনো এলাকার কর্ম সংস্থানের জন্য। বাইরের রাজ্যের লোককে খাওয়াতে না। “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়” স্লোগানে সাড়া দিয়ে বাঙালি ভোট দিয়েছিল নিজের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের স্বার্থে। সরকার বিহার- ইউপি- ঝাড়খন্ড- ওড়িষ্যার ছেলেমেয়েদের বাংলায় কাজ দিচ্ছে এবং বাঙালি বাধ্য হয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে মার খাচ্ছে।” এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডাঃ আব্দুল লতিফ ও নুরুল হাসান। জেলা সম্পাদক অরিন্দম চন্দ্র জানান যে বাংলা পক্ষ দ্রুত মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করবে এবং কলকাতায় বড় সভা হবে।

Read More