দলে আবারও শক্তিশালী হচ্ছে অভিষেক ব্যানার্জী, মেয়র পদ থাকবে ফিরহাদ হাকিমের ?

১৫ মার্চ,কলকাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সাংসদ ও বিধায়ক সহ তৃণমূলের মূল সংগঠন ও শাখা সংগঠন গুলির ব্লক, জেলা ও রাজ্যে স্তরের পদাধিকারীদের সাথে সাংগঠনিক মিটিং করলেন। মিটিং এর মূল বিষয় ছিল ভুতুড়ে ভোটার। এছাড়াও নানা সাংগঠনিক রদবদলের বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷বিজেপি বাংলায় বিধানসভা ভোট জিততে ভিন রাজ্য থেকে ভোটার আমদানি করছে। গত কয়েকদিন এই বিষয়ে বারবার আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি কমিটিও গড়ে দেন যাতে করে বুথে বুথে ভোটার লিস্ট স্ক্রুটিনি করা যায়৷ এই বিষয়ে গত কয়েকদিন আগেই মিটিং করেছিল ববি হাকিম, সুব্রত বক্সী সহ প্রবীন নেতারা৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মিটিং এ গড় হাজির ছিলেন। নবীন বনাম প্রবীন লড়াইয়ে দলে নানা ঘটনা ঘটে চলেছে। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই নিজে ভার্চুয়ালি সাংগঠনিক মিটিং করলেন।বি পি সংবাদ তৃণমূলের নানা তরুণ মুখের সাথে যোগাযোগ করেছিল। ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ তরুণ প্রায় সকলেই। তারা নেতৃত্বে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই বার্তাই স্পষ্টত উঠে এসেছে বারবার। সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেও এটা দেখা যায়৷আজ মিটিং এর পর কয়েকটা প্রশ্ন উঠছে, তার উত্তর এখনও অজানা।১. বিহার, ইউপি ও ঝাড়খন্ডের প্রচুর মানুষ কর্মসূত্রে বাংলায় আছে যাদের দুই রাজ্যের ভোটার কার্ড আছে। এদের বিরুদ্ধে তৃণমূল দল বা রাজ্য প্রশাসন কি আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেবে?২. বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যেভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে তাতে বিজেপির লাভ বলেই মনে করছে তৃণমূলের অধিকাংশ কর্মী-সমর্থক। হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যে বারবার অস্বস্তিতে পড়ছে দল৷ তারপরও দল তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে সাহস দেখাচ্ছে না?৩. ফিরহাদ হাকিম বারবার এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যাতে হিন্দুরা ক্ষুব্ধ হয়। বিজেপি ব্যাপক লাভবান হয়েছে এই সব মন্তব্যে, মত বিশেষজ্ঞদের। এরপরও কি ফিরহাদ হাকিমকে দল কড়া বার্তা দেবে না? সাংগঠনিক রদবদলের পরও কি তিনিই কলকাতার মেয়র থাকবেন? প্রশ্ন তুলছে অনেকে৷৪. সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দলের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলেছেন এবং হিন্দি আগ্রাসনকে ভালো বলেছেন- তাতে এই প্রবীন সাংসদের বিরুদ্ধে দল কি ব্যবস্থা নেবে?৫. উত্তরের জেলাগুলোয় গত কয়েকটা ভোটেই খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। উত্তরের জেলাগুলোয় বিধানসভা ভোটে কি স্ট্র‍্যাটেজি নেবেন সেনাপতি অভিষেক? আদৌ কি তিনি উত্তরের চার-পাঁচটি জেলাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন?৬. গোটা ভারতের রাজনীতি ডিলিমিটেশন ইস্যুতে তোলপাড়৷ বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা দক্ষিণ ভারত৷ এই পরিস্থিতিতে ডিলিমিটেশন ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান কি হবে?

Read More

ভুয়ো ভোটার বাদ গেলে বিজেপির সমস‍্যা কেন ?

২ মার্চ, কলকাতা:সম্প্রতি বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় বাংলার ভোটার তালিকায় বিহার, হরিয়ানা, পাঞ্জাব প্রভৃতি রাজ‍্য থেকে প্রচুর ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি তাঁর দলীয় কর্মীদের বুথ পর্যায়ে ভোটার লিস্ট পরীক্ষা ও সংশোধনের কাজ শুরু করতে বলেছেন। তাঁর অভিযোগ বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে এই ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে।তাঁর এই অভিযোগের সত‍্যতা যে আছে, সেটা এখানকার বিজেপি নেতাদের বক্তব‍্যে পরিষ্কার হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজ‍্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথা শুনে মনে হচ্ছে “ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি”! ভোটার তালিকা অবৈধ ভোটার মুক্ত হওয়া তো গণতন্ত্রে অত‍্যন্ত জরুরী, এতে বিজেপির এত সমস‍্যা কেন? বিজেপিকেই বলতে শোনা যায় অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গরা এখানে এসে ভোটার হয়ে যাচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধন হলে তো এরাও বাদ যাবে। নাকি বিজেপির আসল খেলাটা বাংলাদেশী, রোহিঙ্গার কথা বলে ভিন রাজ‍্য থেকে ভুয়ো ভোটার ঢোকানো? মৌচাকে ঢিল পড়ার আশঙ্কায় তাদের সমস‍্যা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে এসব প্রশ্ন উঠছে।বাংলার ভোটার তালিকায় বহিরাগতরা ঢুকছে, অনেকের ডুয়াল কার্ড আছে এই অভিযোগ বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন করছে। বাংলা পক্ষর সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন ” আমরা বাংলার ভোটার তালিকা সংশোধন দাবি করছি। বিহার, হরিয়ানা থেকে অথবা বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা যেই অবৈধ ভাবে তালিকায় থাকুক, তাকে চিহ্নিত করে বাদ দিতে হবে। ” কৌশিক মাইতি বলেন অনেকের বিহার, ইউপির সাথে এখানেও ভোটার তালিকায় নাম আছে, এদের চিহ্নিত করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ তো দিতেই হবে, সেই সঙ্গে শাস্তিমূলক ব‍্যবস্থাও নিতে হবে।

Read More

বহিরাগত দুর্বৃত্তদের শিকার বাঙালি তরুণী

২৪ ফেব্রুয়ারি, আসানসোল: ছাব্বিশ বছরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় ছিলেন চন্দননগরের বাসিন্দা। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজে রবিবার রাতে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন। মধ্যরাতে পানাগড়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় সড়কের পাশে কাঁকসা থানা এলাকার একটি রাস্তায় কয়েক জন মত্ত যুবক গাড়ি নিয়ে তরুণীর গাড়ির পিছু নেন। তরুণীর গাড়িতে বার বার ধাক্কা দেন তাঁরা। ‘ইভটিজ়ার’দের হাত থেকে বাঁচতেই দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে উল্টে যায় তরুণীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। তাঁর দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তরুণীর গাড়িতে থাকা তাঁর দুই সহকর্মীকেও। তরুণীর সঙ্গে থাকা এক সহকর্মী সোমবার সকালে দাবি করেন, বুদবুদ থানায় এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের গা়ড়িটি। তেল ভরার পর তাঁরা কাঁকসার দিকে যাওয়ার সময়েই কয়েক জন যুবক গাড়ি নিয়ে তাঁদের পিছু নেন। পিছন দিক থেকে বার বার তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা দিতে থাকেন। যার জেরেই তরুণীর গাড়িটি উল্টে গিয়েছিল।অভিযুক্তদের সাদা গাড়িটি আটক করে পুলিশ। গাড়ির নম্বর ‘ডব্লিউবি ৪০ এটি১৯৭৪’। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গাড়িটি জনৈক বাবলু যাদবের নামে রয়েছে। গাড়ির মালিকের পরিচয় জানার পরেও কেন কাউকেই ধরা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। ঘটনার পর ১৮ ঘণ্টা পার হলেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা গেল না? এ নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মৃতার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।আসানসোল-দুর্গাপুরের সিপি সুনীল চৌধুরীর দাবি একেবারে ভিন্ন। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ইভটিজিংয়ের ঘটনাই ঘটেনি। বরং তরুণীর গাড়িই নাকি ওই যুবকদের গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি করছিল। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। তাহলে প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার সঙ্গীর দাবি স্বত্বেও পুলিশের ভিন্নমত কেন? বহিরাগত দুষ্কৃতিদের বাঁচানোর প্রচেষ্টা নয়তো? প্রশ্ন অনেক।

Read More

সিপিএম এর নতুনরা কি বাংলামুখী ? উর্দুভাষী সেলিমের চাপেই কি কোণঠাসা ?

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, কলকাতা: সিপিএমের যুবনেতা সায়ন ব্যানার্জি শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতাদের বিধানসভার বাইরে মাথায় গেরুয়া পাগড়ি পরে প্রতিবাদের ছবিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন-“মাথার পাগড়ি দেখে বোঝা মুশকিল এটা বাংলার বিধানসভা নাকি এটা কোনা হিন্দিভাষী রাজ্যের বিধানসভা, এত বাঙালি বিদ্বেষী কেন? কিসের জন্য? এই শুভেন্দু বাবুইতো পূর্ব মেদিনীপুরের বুকে রাজনীতি করতে গিয়ে বারংবার সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারার আবেগে শান দিয়ে ভাষন দেন, সেই শুভেন্দু অধিকারির নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কদের দেখলে বাঙালির নিজস্বতা খুজে পাওয়া মুশকিল।। ২০১৪ থেকে বিজেপি বাংলার সংসদীয় রাজনীতিতে আসন জিতছে ২০২১ সালে বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসালো কিন্তু বাস্তবতা দেখে বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি আজও বাঙালিয়ানা কে আপন করে নিতে পারে নি, গো বলয়ের রাজ্যের সংস্কৃতির প্রয়োগ বাঙালি আগেও মানেনি আর ভবিষ্যতেএ মানবে না।” আবার সিপিএমের যুবনেত্রী দিপ্সীতা ধর গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ফেসবুক পোস্ট করেছেন- কলকাতায় নেমে ট্যাক্সি খুঁজতে চাইলে, ৯০% সময় ওপারের ড্রাইভারটি হিন্দিতে জবাব দেবেন, আপনি বাংলা তে বললেও ওপার থেকে জবাব আসবে হিন্দিতে, ব্যাপারটা এমন যেন আপনিই পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি না বলে অপরাধ করে ফেলেছেন। এবং এ রোগ শুধু হিন্দিভাষী তেই সীমাবদ্ধ নেই, এয়ারপোর্টের লাইনে দাঁড়িয়ে একটি ধোপদুরস্ত মেয়ে ডিজিযাত্রা বোঝাচ্ছেন হিন্দি তে, আমি সচেতন ভাবেই তাকে বাংলায় প্রশ্ন করি, মেয়েটি হিন্দিতে জবাব দেয়। “তুমি বাংলা জানোনা?” প্রশ্ন করায় স্পষ্ট বাংলায় সে জানায় সে বাঙালি। তবে হিন্দি তে বলছে কেন? আসলে মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে “হিন্দি ভারতের রাষ্ট্র ভাষা”, ভারতের ইউনিভার্সাল ভাষা, কাজের ভাষা। অথচ আমাদের মতো বহুভাষী দেশে কোনো ভাষার আরোপিত সমসত্বতা আসলে আগামীর সাংস্কৃতিক, ধার্মিক এবং অবশ্যই রাজনৈতিক সমসত্বতার প্রাথমিক সোপান। এবং এই নির্মাণে আদতে লাভ কার হয় আমরা সকলেই তা জানি।আর কিছুদিন পরেই ২১ শে ফেব্রুয়ারী, বাংলা ভাষা নিয়ে উদ্বেল হওয়ার দিন। কবিতায়, ছবিতে বাঙালি তার গৌরব মনে করবে, খালি ভুল করেও মনে করবে না, কাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বাংলা মিডিয়াম স্কুল গুলো বন্ধের মুখে, কেন বাঙালী শ্রমিক পরিযায়ী হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লী ব্যাঙ্গালোর এর বস্তি তে, বাংলাদেশি তকমায় কোন বাঙালি আক্রান্ত হচ্ছে, জেল খাটছে, খুন হয়ে যাচ্ছে হরিয়ানা, রাজস্থানে? ২১ শে ফেব্রুয়ারীর মাটি প্রশ্ন করতে চাইবে না, কেন ঢাকার মাটিতে ২০২৫ এ লেগে থাকে আদিবাসী মেয়ের চাপ চাপ রক্ত?আসলে বাংলা ভাষার এটাও একটা মজা, বাঙালি মেরেও জয় বাংলা বলে যাওয়া যায়। তাহলে কি সিপিএমের তরুণ প্রজন্ম বাংলামুখী? বাংলা জাতীয়তাবাদী? উর্দুভাষী মহঃ সেলিমের চাপেই কি দলের মধ্যে উন্মুক্ত বাক্য প্রকাশে কোণঠাসা? নাকি ভোটের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদকেই তারা অস্ত্র হিসেবে বেছে নিচ্ছে? প্রশ্ন অনেক। সামনে এখনও অনেক পথ চলা।

Read More

রাজ্য সঙ্গীতে ‘বাংলা’ ফিরে এল ‘বাঙালি’ তে

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, কলকাতা: ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় রাজ্য সঙ্গীতের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছিলেন। বাংলার রাজ্য সঙ্গীত হবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এই গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাঙালি’ শব্দটির বদলে ‘বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কেউ বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পরিবর্তন করা অনুচিত। সেই বিতর্কের নিরসন করে সোমবার ১৭ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কোন স্তবকটি গাওয়া হবে। গানটির প্রতিটি শব্দ অক্ষুন্ন রেখেই গাওয়া হবে অর্থাৎ ‘বাংলা’ শব্দের বদলে ‘বাঙালি’। এক মিনিট সময়ের মধ্যে সেটি গাওয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এছাড়া আরো বলা হয়েছে যে, রাজ্য সঙ্গীত চলাকালীন উঠে দাড়ালে ভাল। মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হবে, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল- পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন— এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান।’

Read More

বাংলার ভোটার লিস্টে ঢুকছে বিহারি ভোটার, বাংলা পক্ষর দাবিকে সমর্থন মুখ‍্যমন্ত্রীর

১৩ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: গতকাল বাজেট অধিবেশনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে অনলাইনে ভোটার লিস্টের নাম তোলার মাধ‍্যমে বিপুল সংখ‍্যক বিহার থেকে বহিরাগত ভোটার ঢোকানো হচ্ছে। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার লিস্টে এত সংখ‍্যক ভোটার বিশেষ রাজ‍্য থেকে ঢোকানো বিজেপির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই তিনি মনে করেন।প্রশ্ন উঠছে মুখ‍্যমন্ত্রী কি বাংলা পক্ষর দাবিতেই শিলমোহর দিলেন ?বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছে পার্শ্ববর্তী বিহার, ঝাড়খণ্ড, ইউপির অনেকের এরাজ‍্যেও ভোটার কার্ড আছে। এরাই বাংলার ভোটের সময় বিজেপির পক্ষে এরাজ‍্যে ভোট দেয় আবার এই ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড ব‍্যবহার করে রাজ‍্য সরকারের স্বাস্থ‍্যসাথী, গতিধারা,কন‍্যাশ্রীর মত প্রকল্পে ভাগ বসায়। এভাবেই এরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পায়, সবুজসাথীর সাইকেল পায় আবার আধাসেনায় রাজ‍্য কোটায় চাকরিও পায়। বাংলা পক্ষ দ্বৈত ভোটারকার্ডধারীদের চিহ্নিত করে বাংলার ভোটার কার্ড বাতিলের দাবি করছে দীর্ঘদিন।ভোটার সংখ‍্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা বিজেপির লাভ হচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে, সেটা সদ‍্য সমাপ্ত দিল্লী বিধানসভা বা মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রতিফলিত। দিল্লীতে শেষ পাঁচ মাসে চার লক্ষ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছিল যা দিল্লীর মোট ভোটার সংখ‍্যার প্রায় ৪ শতাংশ, দিল্লীতে বিজেপির থেকে আপের ভোট শতাংশের পার্থক‍্য দুই শতাংশ মাত্র। এই তথ‍্যেই পরিষ্কার কোথায় কারচুপি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে এই বৃদ্ধির সংখ‍্যা ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ।বাংলাতেও এই একই পদ্ধতিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে দিল্লীর শাসক, বলে মনে করছেন মুখ‍্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন বাংলা স্বাধীনতার মাটি, এখানে এসব করা যাবে না, প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

Read More

বড় বাজারে হাজির ১৫ কেজি ওজনের বিশাল কাতলা

৯ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: কলকাতায় বড়বাজারের প্রবেশ মুখ গিরিশ পার্কে ‘মাছ-ভাত’ উৎসব পালন করল বাংলা পক্ষ। রাস্তায় বসেই বিশাল ১৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ কাটা হয় । শুধু একটি মাছ নয়,আরো প্রচুর মাছ রাস্তাতেই কাটা হয়। শুটকি মাছও রান্না হয় বাংলা পক্ষর তরফে। বাংলা পক্ষর আয়োজনে মাছ-ভাত খেলো হাজারও বাঙালি। বাংলা পক্ষর ‘মাছ-ভাত’ উৎসব থেকে তীব্র আক্রমণ শানানো হয় বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে । সম্প্রতি বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত কলকাতা পুরসভায় খোলা বাজারে মাছ মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। যুক্তি দিয়েছিলেন মাছের গন্ধে গা ঘিনঘিন করে। মাছ মাংস থেকে পরিবেশ দূষণ ছড়ায়। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সারা ভারতে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করার ডাক দেন। এরই প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ এদিন ‘মাছ-ভাত’ উৎসবের ডাক দেয়। বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান,”আজ গিরিশ পার্কে মাছ-ভাত উৎসব পালন করল বাংলা পক্ষ, আগামী দিনে সারা বড় বাজার জুড়ে মাছ-ভাত উৎসব পালন হবে। বাঙালি আজ গুজরাটে গিয়ে, মধ্যপ্রদেশে গিয়ে, রাজস্থানে গিয়ে বলতে পারবে ওরা ওখানে কি খাবে ? তা নিয়ে মতামত দিতে পারবে ? তাই বাঙালিও বহিরাগতদের কথায় মাছ খাওয়া এবং বিক্রি বন্ধ করবে না। কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের সমস্যা হলে তিনি তার নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে পারেন।”বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি হুংকার দিয়ে বলেছেন, “কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত বা আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বাংলার সংস্কৃতির বিরোধী মন্তব্য করেছেন। সেটার পালটা হিসেবেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে।” এদিনের বাংলা পক্ষর ‘মাছ-ভাত’ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনন মন্ডল, সম্রাট কর, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, আব্দুল লতিফ, সৌম্য কান্তি ঘোরই এবং মহম্মদ সাহিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায় , বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য কুমার নাথ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল,নদিয়ার জেলা সম্পাদক মধুসূদন ঘোষ, পুরুলিয়ার জেলা সম্পাদক আজিম শেখ ও বাংলা পক্ষর আরো অনেক সদস্য।

Read More

জৌলুসহীন বইমেলা ! খাবারের স্টলে ভিড় বেশি ,বইয়ের স্টল ফাঁকা।

কলকাতা : জানুয়ারি 31, 2025: ২৮ শে জানুয়ারি থেকে সল্টলেক করুণাময়ী বইমেলা প্রাঙ্গনে শুরু হয়েছে ৪৮ তম কলকাতা আন্তরাষ্ট্রীয় বইমেলা। প্রতিবছর বইমেলা নিয়ে বাঙালি বইপ্রেমিকদের তুমুল আগ্রহ উদ্দীপনা থাকে। কিন্তু এবছর ছবি অন্য। বিগত বছর গুলির মতো এবছর তেমন সাড়া জাগানো ভিড় চোখে পড়ছেনা স্টল গুলিতে। বড় স্টল গুলিও ভিড় টানতে ব্যর্থ। প্রশ্ন উঠছে বই প্রেমিক বাঙালি কি বই বিমুখ হয়ে পড়েছে ? অন্যদিকে ফুড স্টল গুলিতে প্রায় সবসময় ভিড় লেগেই আছে। অনেকে কটাক্ষের সুরে বলছে এটা বইমেলা না খাদ্য মেলা মাঝে মাঝে বোঝাই যাচ্ছে না। প্রশ্ন উঠছে গিল্ডের ভূমিকা নিয়েও। প্রকাশকরা চাতক পাখির মতো তাকিয়ে আছে সপ্তাহান্তের দিকে। আগামী শনি ও রবিবার বই প্রেমিকরা ভিড় করবে বইয়ের স্টলে এটাই তাদের আশা।

Read More

ব্যাপক বিক্রি, বইমেলায় বাংলা পক্ষ প্রকাশিত এই বইটি ‘বেস্ট সেলার’? কী আছে বইটিতে ?

কলকাতা : জানুয়ারি 30, 2025: বইমেলায় প্রতিবার অসংখ্য নতুন বই প্রকাশিত হয় । এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এবছর প্রচুর নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা দ্বারা । তবে সেই বইগুলির মধ্য়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে বাংলা পক্ষ প্রকাশিত একটি বই,”স্বাধীন ভারতে বাঙালির সংকট ও সমাধান”।  বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক ডঃ গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি “বাঙালির সমস্যা, হিন্দি সাম্রাজ্যবাদ ও বাঙালির লড়াই নিয়ে এত বিস্তারিত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ সংকলন আগে কোথাও বেরোয়নি। বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা, তবে ক্রেতারা অবশ্যই ক্রয়ের ক্ষেত্রে ছাড় পাবেন। এবার কলকাতা আন্তঃরাষ্ট্রীয় বইমেলায় বেস্ট সেলার হবে এটি। দেখা যাক। অবশ্যই সংগ্রহ করুন বাংলা পক্ষর স্টল নং-১০১এ থেকে। পূর্ত ভবন বা বিকাশ ভবনের ঠিক বিপরীতে গেট নম্বর ১ দিয়ে ঢুকে প্রথম স্টল।”

Read More

জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে আমডাঙার সন্তোষপুরে পথ অবরোধ ভূমিহারা জমি মালিকদের

বারাসাত : জানুয়ারি 29, 2025: কলকাতা-শিলিগুড়ি সংযোগকারী ১২ নম্বর রাষ্ট্রীয় সড়ক সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাম আমলে ২০০৯ সালে ঘোষিত হলেও আজ ২০২৫ সালে এসেও তা সম্পূর্ণ হয়নি । উত্তর ২৪ পরগনার রাজবেরিয়া থেকে সন্তোষপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার অংশে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ এখনো শুরু করা যায়নি। কারণ জমি জট। ভূমিহারা জমি মালিকদের দাবি তাদের অধিগৃহীত জমির ন্যায্য ক্ষতিপূরণ তারা পায়নি। এনিয়ে তারা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছে। গত ২৯ তারিখ বিক্ষুদ্ধ জমি মালিকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসক। অন্যদিকে ভূমিহারা জমির মালিকরা আমডাঙার সন্তোষপুরে পথ অবরোধ করে। জেলা শাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভূমিহারা জমির মালিকরা জানান,” ডিএম সাহেব আমাদের জানিয়েছেন পুরোনো সমস্যা নিয়ে সময় নষ্ট করবো না, আগামীতে অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ সমস্যার সমাধান কিভাবে দ্রুত সম্ভব হবে সেটি বিবেচনা করা হবে।” স্থানীয় জনগণের দাবি,”প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে,রোজ ছোট বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় পথচারীরা। সরকারের উচিত দ্রুত ভূমিহারা জমি মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে জমি জটিলতা মিটিয়ে নিয়ে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ দ্রুত শেষ করা।”

Read More