কলকাতা ফুটবল লীগে (CFL) প্রতিটা দলে ৫ জন নয়, কমপক্ষে ৯ জন ভূমিপুত্র ফুটবলারের দাবিতে IFA এর সামনে বাংলা পক্ষর বিক্ষোভ

২২ মে,কলকাতা : সম্প্রতি The Indian Football Association (W.B.) নিয়ম করেছে যে ক্যালকাটা ফুটবল লীগে প্রতিটা দলে ৫ জন বাংলার ফুটবলার খেলাতে হবে।বাংলা পক্ষর দাবি – কলকাতা ফুটবল লীগে (CFL) প্রতিটা দলে ৫ জন নয়, কমপক্ষে ৯ জন বাংলার ভূমিপুত্র ফুটবলার চাই। বরং বলা ভালো ২ জনের বেশি বহিরাগত খেলানো যাবে না।এছাড়া অনেকে ভিন রাজ্যের ফুটবলার ঠিকানা জালিয়াতি করে বা আধার কার্ড জালিয়াতি করে বাংলার ভূমিপুত্র ফুটবলার হিসাবে খেলে।আধার কার্ড জালিয়াতি করলে সেই ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সেই ক্লাবকে ব্যান করতে হবে। এই দাবি নিয়েই আজ IFA অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী করলো ও ডেপুটেশন দিল বাংলা পক্ষ। নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়৷ সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাইরের রাজ্যের ফুটবলার খেলালে এখানকার ফুটবলাররা ভালো খেলা শিখবে। এগুলো হাস্যকর যুক্তি। গত ৩০ বছর ধরে একই যুক্তি শুনছি এবং এভাবেই বাইরের ফুটবলার খেলানো হচ্ছে। এতে বাঙালির ফুটবলের উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হচ্ছে। বাঙালি ফুটবলাররা চান্স পাচ্ছে না৷ যখন শুধুমাত্র বাংলার ফুটবলাররাই খেলতো তখন বাংলা প্রায় প্রতিবার সন্তোষ ট্রফি জিততো এবং ভারতীয় টিমে কমপক্ষে ৭-৮ জন বাঙালি ফুটবলার খেলতো৷ বর্তমানে ISL এ বাঙালি বঞ্চিত, কলকাতা ডার্বিতে বাঙালি নেই। এরপর কি CFL এও বাঙালি থাকবে না? বাঙালি ফুটবলাররা চান্স না পেলে খেলবে কেন? বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে এবং বাঙালি তথা ভূমিপুত্র ফুটবলার তুলে আনতে IFA কে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।” সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, “ক্রীড়াক্ষেত্রে ডোমিসাইল দুর্নীতি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা ক্রিকেট হোক বা ফুটবল- সর্বত্রই এক সমস্যা। আধার কার্ড জালিয়াতি করে বা ঠিকানা জালিয়াতি করে বাংলার ফুটবলার হিসাবে খেলছে ভিন রাজ্যের ছেলেরা। IFA কর্তাদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ফুটবলারদের স্কুল সার্টিফিকেট যাচাই করতে হবে এবং SDO দের ইস্যু করা ডোমিসাইল সার্টিফিকেট চাই। বাংলার ছেলেমেয়েদের জায়গায় ঠিকানা জালিয়াতি করে বাইরের ছেলেমেয়েদের খেলা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। বাংলার ক্রিকেটেও এই সমস্যা চূড়ান্ত। সেখানেও আমরা গত ৭ বছর লড়ছি।” শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী বলেন, “আমরা জানি কলকাতা ময়দান দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে গেছে। বাইরের প্লেয়ার নিয়ে আসে যাতে চুক্তি ভ্যালুর থেকে কম টাকা প্লেয়ারদের দিয়ে সেই টাকা দুর্নীতি করা যায়। একটা চক্র কাজ করছে যারা টাকা নিয়ে বাইরের রাজ্যের বা বাইরের রাষ্ট্রের ফুটবলার খেলাচ্ছে টাকার বিনিময়ে। বাংলার ফুটবলের স্বার্থে বাঙালি, সাঁওতাল, লেপচা সহ ভূমিপুত্র ফুটবলার খেলাতে হবে।

Read More

বাংলা গান গাইলেন না: আক্ষেপ চিরঞ্জিতের

২৪ মার্চ, ২০২৫,কলকাতা : বলিউড এবং বিসিসিআই হিন্দি আগ্রাসনের পুরোধা, একথা আবারও প্রমাণ হল। ২২ মার্চ আইপিএল এর উদ্বোধন হল কলকাতায়। উদ্বোধনী গান গাইলেন বাঙালি বলিউডি গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। অনুষ্ঠানে শ্রেয়ার গানের তালিকায় ছিল ‘যুবা’, ‘মা তুঝে সালাম’, ‘রং দে বাসন্তী’, ‘ঘুমার’, ‘ঢোল বাজে’র মতো একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি গান। তেলেগু গানেরও ছোঁয়া পাওয়া গেল। বাংলার রাজধানী কলকাতায় উদ্বোধন হল, বাঙালি গায়িকা গান গাইলেন অথচ বাংলা গান হল না। বাংলাপক্ষ বারবার অভিযোগ করে বলিউড ও ক্রিকেট হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের পথিকৃৎ তা আবারও প্রমাণিত হল। এবার শুধু বাংলাপক্ষই নয় আপামর সাধারণ বাঙালির পক্ষ থেকেও উঠে এলো বিতর্ক। বাংলার বলিষ্ঠ অভিনেতা চিরঞ্জিত আক্ষেপ করে বললেন ‘ বাংলায় উদ্বোধন হল, গায়িকা নিজেও বাঙালি, একটা বাংলা গান গাইলেন না।’শ্রেয়া ঘোষাল একজন গায়িকা মাত্র। তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে গান করেন। সুতরাং কর্তৃপক্ষের কাছ যা আদেশ হয়েছে উনি তাই গেয়েছেন। এতে উনি দোষী নন। আসলে ভারতে হিন্দিকে অলিখিত ভাবে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার পুরানো পন্থা।

Read More

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ স্কোয়াড থেকে বাদ জসপ্রিত বুমরাহ

১২ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সম্ভাবনা একটি বড় ধাক্কা খেল। ভারতের নাম্বার ওয়ান পেস বলার জাসপ্রিত বুমরাহ মঙ্গলবার টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছেন। গত মাসে সিডনিতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ টেস্টের সময় বুমরাহ পিঠের নিচের অংশে চোট পেয়েছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। নির্বাচকরা ১৫ সদস্যের দলে তার বদলি হিসেবে পেসার হর্ষিত রানাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হলেও ভারতের খেলা হবে দুবাইয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ, ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান এবং ৩ মার্চ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা।

Read More

সন্তোষ ট্রফি জিতে ঘরে ফিরলো বাংলা দল

আজ রাতে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দল নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে বাইরে সন্ধ‍্যা থেকেই ছিলো উৎসাহী জনতার ভিড়। জয় বাংলা ধ্বনি ও ঢাকের আওয়াজে বিমানবন্দর চত্বর ছিলো সরগরম।রাত ন’টা নাগাদ ফুটবলাররা বেরিয়ে আসতেই সেই আওয়াজ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। রাজ‍্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পুষ্পস্তবক তুলে দেন সকল ফুটবলার, কোচ ও অফিসিয়ালদের হাতে। বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তা সমর্থকদের সাথে দেখা গেল বাংলা পক্ষ সংগঠনের সদস‍্যদেরও। উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি।কোচ সঞ্জয় সেন ও টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা রবি হাঁসদাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিলো লাগাম ছাড়া।সঞ্জয় সেন বিমান বন্দরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঙালি ফুটবলার ও কোচদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হন। রাজ‍্য সরকারের কাছে ফুটবলারদের দ্রুত চাকরি দেওয়ার আবেদন করেন তিনি। সব মিলিয়ে নতুন বছরের প্রথম রাত হয়ে উঠলো ফুটবলময়। তিন বড়দলের বাইরে রাজ‍্যদলকে নিয়ে এই আবেগের বিস্ফোরণ নজির বিহীন বলেই মত কলকাতা ময়দানের অভিজ্ঞ ব‍্যক্তিদের।

Read More
Bumrah

রোহিত-বিরাট দুজনেই আলাদা, আমি আমার মত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব: বুমরা

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Indian Cricket Team)। এরপরই হাইভোল্টেজ মহারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বৈরথ। তার ওপর আবার প্রথম টেস্টেই নেতৃত্বের চাপ কাঁধে। তবে এই সব নিয়ে আলাদা করে ভাবতে চাইছেন না জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। পারথ রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন ডানহাতি তারকা পেসার। সিরিজ শুরুর আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বুমরা জানিয়ে দিলেন যে দল আলাদা কোনও চাপ নিতে চাইছে না কিউয়ি সিরিজের হারের পর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নতুনভাবে শুরু করতে চাইছেন তাঁরা, জানিয়ে দিলেন পারথ টেস্টের ভারত অধিনায়ক। নিজের ক্যাপ্টেন্সি ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে বুমরা বলেন, ”আমি অত্যন্ত সম্মানিত ভারতের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়ে। তাও আবার এমন হাইভোল্টেজ মহারণে। আমি আমার মত করে দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করব। বিরাট আলাদা, রোহিত আলাদা। আমি আমার মত করে কাজ করব। আমি এটাকে আলাদা কিছু মনে করছি না। দায়িত্ব নিতে বরাবরই ভালবাসি। রোহিতের সঙ্গে আগেই কথা বলেছিলাম। কিন্তু এখানে আসার পর নিজের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে নেতৃত্বভার সামলেছি। তবে আমি এখানে একটা ম্য়াচের দায়িত্ব নিয়েই ভাবছি।” কপিল দেব পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক হয়ে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে সেভাবে পেস বোলার অধিনায়ক দেখা যায়নি। বুমরা বলছেন, ”আমি পেসারকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছি সবসময়ই। প্যাট দুর্দান্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছে। এর আগেও অতীতে এমন অনেক উদাহরণ দেখা গিয়েছে। কপিল দেব ও আরও অনেককেই দেখেছি নেতৃত্বভার সামলাতে বিশ্বজুড়ে যাঁরা পেস বোলার। আশা করি, নতুন ট্র্যাডিশন আবার শুরু হোক।” এদিকে, মহম্মদ শামি কি ভারতীয় দলের জার্সিতে পরের চারটি টেস্টে খেলতে নামবেন? ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে শামিকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি। চোট, অস্ত্রোপ্রচার ফের চোট, সবমিলিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তন পিছিয়েই চলেছে। ভারতীয় সমর্থকরা অজ়িভূমে শামির প্রত্যাবর্তনের আশায় থাকলেও, তা হয়নি। তবে সদ্যই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন শামি। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে মাঠে নেমেই ম্যাচে মোট সাতটি উইকেট নিয়েছেন তারকা ফাস্ট বোলার। এরপর থেকেই শামির দলে যোগ দেওয়ার জল্পনা শোনা যাচ্ছে। বুমরা জানিয়ে দিলেন যে অভিজ্ঞ ডানহাতি পেসারকেও আগামী ম্য়াচগুলোতে দেখা যেতে পারে ভারতের জার্সিতে।

Read More

পারথ টেস্টের আগেই বড় খবর! শামিকে নিয়েই ঘোষিত দল, পেলেন সাত উইকেটের পুরস্কার

প্রায় দীর্ঘ এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেই ছাপ রেখেছেন জাতীয় দলের মেগাস্টার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে, বাংলা-মধ্যপ্রদেশ রঞ্জি ম্যাচের হাত ধরে শামি, ৩৬০ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। শামি দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছিলেন সাত উইকেটও। শামি না থাকলে হয়তো বাংলা ওই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরেও যেতে পারত। প্রত্যাবর্তনের পুরস্কার পেলেন শামি। তাঁকে নিয়েই বাংলার ২২ সদস্যের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির স্কোয়াড  (Syed Mushtaq Ali Trophy)। লাল বলের পর এবার সাদা বলেও শামি তাঁর ফিটনেস ঝালিয়ে নিতে পারবেন। তাঁর উপর চোখ থাকবে বিসিসিআই-এরও। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাগশিপ ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে চলেছে ভারত। ২২ নভেম্বর থেকে পারথে শুরু ইন্দো-অজি মহাযুদ্ধ। ১৯৯১-৯২ সালের পর এই প্রথম বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। শুরুতে খেলতে না পারলেও শামিকে দল পরের দিকের টেস্টের সূচিতে ভাবতেই পারে।   অস্ট্রেলিয়ায় শামির ইতিহাস দুর্দান্ত। ২০২৮-১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের অন্য়তম কাণ্ডারী তিনি। শামির প্রত্যাবর্তন ভারতের পেস আক্রমণ ভাগে বাড়তি অক্সিজেন দেবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বুমরা-সিরাজের সঙ্গে তিনি জুড়ে গেলে অনেক খেলাই ঘুরে যাবে। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে সুদীপ ঘরামির নেতৃত্বে খেলবে বাংলা। আগামী শনিবার রাজকোটে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সুদীপবাহিনীর প্রথম ম্যাচ। এরপর প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ, মেঘালয়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, বিহার ও রাজস্থান। ফাইনাল ১৫ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলার স্কোয়াড: সুদীপ ঘরামি (অধিনায়ক), অভিষেক পোড়েল (উইকেটকিপার), সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজ আহমেদ, করণ লাল, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক রায়চৌধুরি, শাকিব হাবিব গান্ধী, রণজ্যোত সিংহ খাইরা, প্রয়াস রায় বর্মন, অগ্নিভ পান, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, সাক্ষম চৌধুরি, মহম্মদ শামি, ঈশান পোড়েল, মহম্মদ কাইফ, সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, সায়ন ঘোষ, কণিষ্ক শেঠ এবং সৌম্যদীপ মণ্ডল।

Read More
sanju samson-tilak varma

জো’বার্গে জোড়া ফলায় ফালাফালা সব রেকর্ড! রইল মাথা ঘোরানো পরপর পরিসংখ্যান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) টিম ইন্ডিয়া। গত শুক্রবার জোহানেসবার্গে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি-২০ আই ভারত ১৩৫ রানে জিতেছে। সঞ্জু স্য়ামসন (Sanju Samson), তিলক ভার্মার (Tilak Varma) সৌজন্য়ে। ভারত প্রথমে ব্য়াট করে, এক উইকেটে ২৮৩ রান তুলেছিল। জবাবে আইদেন মারক্রমরা ১৪৮ রানেই গুটিয়ে যান। সঞ্জু ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন। ওদিকে তিলক অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ১২০ রান করে। ম্য়াচের সেরাও হয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) স্টার তিলক। জো’বার্গে জোড়া ফলায় ফালাফালা সব রেকর্ড! রইল মাথা ঘোরানো পরপর পরিসংখ্যান: সঞ্জু স্যামসন, এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন। রোহিত শর্মা, কলিন মুনরো, রিলি রোসো, ফিল সল্ট এবং সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে ১০ ব্যাটার এক বছরে ২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। সঞ্জু প্রথম ক্রিকেটার যিনি বছরে তিনটি টি-২০ আই সেঞ্চুরি করলেন!   চলতি বছর অক্টোবরে হায়দরাবাদে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৯৭ রান করেছিল ভারত। যা ভারতের টি-২০ আই-তে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রান। এবার ২৮৩ রান উঠল। ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি রান এটাই। এই সংস্করণে বিদেশের মাটিতে যদিও ২৮৩ রানই সর্বাধিক। আইসিসি-র পূর্ণ-সদস্য দল হিসেবে ভারতই ইতিহাস লিখল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি পেলেন এই প্রথম! সঞ্জু-তিলক, ভারতের প্রথম ও দ্বিতীয় ব্য়াটার হিসেবে এক টি-২০ আই সিরিজে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক ৫ রানের ইনিংসে, ভারতের নাম থাকল ৩ এবং ৫ নম্বরে। ভারত জো’বার্গে ২৩ ছক্কা হাঁকিয়েছে। টি-টোয়েন্টি আই ইনিংসে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এর আগে ভারত হায়দরাবাদে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২২টি ছয় মেরেছিল তিলক ভারতের হয়ে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ড গড়লেন। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ১৩ ছক্কা ছিল এর আগে। সঞ্জুও কোহলিকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। এই সিরিজে ১৯ টি ছয় মেরেছেন তিনি।  তিলক ভারতের হয়ে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাক-টু-ব্যাক শতরান করা প্রথম ভারতীয় হলেন। সঞ্জু-তিলক মিলে টি-টোয়েন্টি আই ক্রিকেটে দ্বিতীয় উইকেট সর্বাধিক রানের জুটি গড়েছেন। ভারতের হয়ে যে কোনও উইকেটেই এটি টি-টোয়েন্টি আই ক্রিকেটে সর্বাধিক। ২৮৩ রানের ভিতর সঞ্জু-তিলক মিলেই ২১০ রান যোগ করেছিলেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে নেদারল্য়ান্ডসের সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট এবং মাইকেল লেভিটের করা ১৯৩ রানকে টপকে গেলেন সঞ্জু-তিলক! তিলক টি-টোয়েন্টি আই-তে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিকারী ভারতীয় হলেন। তাঁর তিন অঙ্কের রান স্পর্শ করতে ৪১ বল লেগেছে। তালিকায় একে রোহিত শর্মা। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর স্যামসন আছেন তালিকায়। তিনি ৪০ বলে ১০০ করেছিলেন। টি-টোয়েন্টি আই-তে ভারতীয়দের মধ্য়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর এখন তিলকের। তাঁর আগে রয়েছেন শুভমন গিল। ১২৬ রান করেছিলেন তিনি নিউ জিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালে ভারত ২৫ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই ২০০ বা তার বেশি রান করেছে। সাধে কী আর ভুবনজয়ী টিম!

Read More