২২ মার্চ, ২০২৫, কলকাতা: আজ বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে রাজারহাটে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের সদর দপ্তরে বাংলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মূলত বিজেপি দাবি করে আসছে বাংলায় বিপুল পরিমাণে অবৈধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে, মুসলমান বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা এই বাংলায় প্রচুর পরিমাণে প্রবেশ করে জনবিন্যাসের বদল ঘটাচ্ছে, ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়ছে। তাহলে কি বিজেপির মতে বিএসএফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যর্থ? এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতেই ও অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে আজ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের দপ্তরে অভিযান করে বাংলা পক্ষ। গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন ” সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে বিএস এফ, যা আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। এই বিপুল পরিমাণে নিয়মিত অনুপ্রবেশের দায় বিএসএফ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড়াতে পারেনা।”

বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক তথা শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বিএসএফের ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। ডেপুটেশনের পর কৌশিক মাইতি বলেন ” ডিআইজি জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে বর্ডারে নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে সুনিশ্চিত। অন্তত এই বছর কোন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নেই সে অর্থে এবং এবছর একটাও রোহিঙ্গা প্রবেশ করেনি এবং তিনি এটাও বলেছেন যে বিগত কয়েক বছরেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা অত্যন্তই নগণ্য। সংবাদ মাধ্যমের হাতে সঠিক তথ্য তিনি তুলে দিতে পারবেন বলেই আমাদের জানিয়েছেন।”
গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ভারতীয় আধাসেনাকে কে সম্মান করি, তাই তাদের তথ্যকে বিশ্বাস করছি। এটা বলতেই হয় বিজেপি তাহলে মিথ্যাচার করছে।” কৌশিক মাইতি বলেন দিনের শেষে বাংলার সীমান্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতেই হবে। বাংলা পক্ষর স্পষ্ট দাবি, বাংলার সীমান্তে কোনরকম বেআইনি অনুপ্রবেশ যেন না হয়। আমরা চাই বাংলার সীমান্ত সুরক্ষিত থাকুক সেটা বাংলাদেশ সীমান্ত হোক বা নেপাল সীমান্ত।
এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, অভিজিৎ দে, হুমায়ুন মোল্লা সহ বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা।
