Intern

sanju samson-tilak varma

জো’বার্গে জোড়া ফলায় ফালাফালা সব রেকর্ড! রইল মাথা ঘোরানো পরপর পরিসংখ্যান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে সূর্যকুমার যাদবের (Suryakumar Yadav) টিম ইন্ডিয়া। গত শুক্রবার জোহানেসবার্গে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি-২০ আই ভারত ১৩৫ রানে জিতেছে। সঞ্জু স্য়ামসন (Sanju Samson), তিলক ভার্মার (Tilak Varma) সৌজন্য়ে। ভারত প্রথমে ব্য়াট করে, এক উইকেটে ২৮৩ রান তুলেছিল। জবাবে আইদেন মারক্রমরা ১৪৮ রানেই গুটিয়ে যান। সঞ্জু ৫৬ বলে অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন। ওদিকে তিলক অপরাজিত ছিলেন ৪৭ বলে ১২০ রান করে। ম্য়াচের সেরাও হয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) স্টার তিলক। জো’বার্গে জোড়া ফলায় ফালাফালা সব রেকর্ড! রইল মাথা ঘোরানো পরপর পরিসংখ্যান: সঞ্জু স্যামসন, এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন। রোহিত শর্মা, কলিন মুনরো, রিলি রোসো, ফিল সল্ট এবং সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে ১০ ব্যাটার এক বছরে ২টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। সঞ্জু প্রথম ক্রিকেটার যিনি বছরে তিনটি টি-২০ আই সেঞ্চুরি করলেন!   চলতি বছর অক্টোবরে হায়দরাবাদে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৯৭ রান করেছিল ভারত। যা ভারতের টি-২০ আই-তে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রান। এবার ২৮৩ রান উঠল। ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি রান এটাই। এই সংস্করণে বিদেশের মাটিতে যদিও ২৮৩ রানই সর্বাধিক। আইসিসি-র পূর্ণ-সদস্য দল হিসেবে ভারতই ইতিহাস লিখল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইনিংসে দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি পেলেন এই প্রথম! সঞ্জু-তিলক, ভারতের প্রথম ও দ্বিতীয় ব্য়াটার হিসেবে এক টি-২০ আই সিরিজে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন! আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাধিক ৫ রানের ইনিংসে, ভারতের নাম থাকল ৩ এবং ৫ নম্বরে। ভারত জো’বার্গে ২৩ ছক্কা হাঁকিয়েছে। টি-টোয়েন্টি আই ইনিংসে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। এর আগে ভারত হায়দরাবাদে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২২টি ছয় মেরেছিল তিলক ভারতের হয়ে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ড গড়লেন। ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির ১৩ ছক্কা ছিল এর আগে। সঞ্জুও কোহলিকে ছাপিয়ে গিয়েছেন। এই সিরিজে ১৯ টি ছয় মেরেছেন তিনি।  তিলক ভারতের হয়ে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাক-টু-ব্যাক শতরান করা প্রথম ভারতীয় হলেন। সঞ্জু-তিলক মিলে টি-টোয়েন্টি আই ক্রিকেটে দ্বিতীয় উইকেট সর্বাধিক রানের জুটি গড়েছেন। ভারতের হয়ে যে কোনও উইকেটেই এটি টি-টোয়েন্টি আই ক্রিকেটে সর্বাধিক। ২৮৩ রানের ভিতর সঞ্জু-তিলক মিলেই ২১০ রান যোগ করেছিলেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে নেদারল্য়ান্ডসের সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট এবং মাইকেল লেভিটের করা ১৯৩ রানকে টপকে গেলেন সঞ্জু-তিলক! তিলক টি-টোয়েন্টি আই-তে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিকারী ভারতীয় হলেন। তাঁর তিন অঙ্কের রান স্পর্শ করতে ৪১ বল লেগেছে। তালিকায় একে রোহিত শর্মা। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর স্যামসন আছেন তালিকায়। তিনি ৪০ বলে ১০০ করেছিলেন। টি-টোয়েন্টি আই-তে ভারতীয়দের মধ্য়ে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্কোর এখন তিলকের। তাঁর আগে রয়েছেন শুভমন গিল। ১২৬ রান করেছিলেন তিনি নিউ জিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালে ভারত ২৫ ম্যাচের মধ্যে ১০টিতেই ২০০ বা তার বেশি রান করেছে। সাধে কী আর ভুবনজয়ী টিম!

Read More
Durga in Pather Panchali

বৃষ্টিভিজে নয়, দুরারোগ্য অসুখেই প্রয়াত পথের পাঁচালির ‘দুর্গা’ উমা দাশগুপ্ত…

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গার মৃত্যু ঘটেছিল আকস্মিক, বৃষ্টিতে ভিজে, অতি অল্প বয়সে। কালজয়ী ও ক্লাসিক এই উপন্যাসের চলচ্চিত্ররূপেও তাই দেখানে হয়েছিল। গল্পের কিশোরী মেয়েটিকে ওই ছবিতে যিনি জীবন্ত করে তুলেছিলেন– রসিকজনের কাছে যিনি নাম-চরিত্রের মতো ‘দুর্গা’ নামেই পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন– প্রয়াত হলেন তিনি, যথেষ্ট বৃদ্ধা বয়সে, দুরারোগ্য রোগে ভুগে। তিনি উমা দাশগুপ্ত। সোমবার, ১৮ নভেম্বর সকাল ৮.১৫ নাগাদ প্রয়াত হন উমা। সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’র ‘দুর্গা’ উমা দাশগুপ্তের জীবনাবসানে শোকের ছায়া শিল্প-সংস্কৃতি মহলে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’র দুর্গা ঠিক যেন পাশের বাড়ির মেয়ে। কী আশ্চর্য সহজ-সরল ও সাধারণ! আর ওই অলৌকিক সাধারণত্বই তার অসাধারণত্ব। সেই অপূর্ব অসাধারণত্বকে যিনি ছোট ছোট শিল্পকাজের মধ্যে দিয়ে অবলীলায় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন, অনায়াসে হয়ে উঠেছিলেন অপুর দিদি, তিনি উমা দাশগুপ্ত। জীবনে এই একটি ছাড়া দ্বিতীয় ছবি করেননি। কেন করেননি, সেটা একটা প্রশ্ন। কিন্তু সেই রহস্য কেউ ভেদ করেননি, তিনি নিজেও না। শুধু জানা যায়, থিয়েটার আঁকড়েই বাঁচতে চেয়েছিলেন উমা। ছোট থেকেই থিয়েটার করতেনও। যে-স্কুলে পড়তেন তার প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে সখ্য ছিল সত্যজিৎ রায়ের। সেই শিক্ষকের সাহায্যেই তাঁর ‘দুর্গা’কে খুঁজে পান সত্যজিৎ। পরিবার প্রথমে রাজি না হলেও, পরে সত্যজিৎ অনুমতি  আদায় করে নেন। তার পর তো ইতিহাস তৈরি হয়ে যায়! যে আবাসনে উমা দাশগুপ্ত থাকতেন, সেই একই আবাসনে থাকেন অভিনেতা-পরিচালক-বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনিই প্রাথমিক ভাবে উমাদেবীর প্রয়াণের খবর নিশ্চিত করেন। তিনি শোকও প্রকাশ করেন উমাদেবীর প্রয়াণে। সাদা-কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে অপু-দুর্গার সেই চরিত্রচিত্রণ আজও সকলের মনে সজীব স্মৃতি হয়ে আছে। সত্যজিতের সিনেমা-উত্তর বাঙালি আজও বিভূতিভূষণের ‘পথের পাঁচালী’ পড়তে গেলে মানসচক্ষে যেন সিনেমার দুর্গাকেই দেখে। দীর্ঘদিন অন্তরালে থাকলেও বাঙালির স্মৃতি-সত্তায় তাই তাঁর কালজয়ী উপস্থিতি।

Read More