Intern

আদানি গ্রুপের স্টকে দৌড়, পতন কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াল বাজার; ১৮০০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স

 গ্রুপের স্টকগুলিতে (Adani Stocks) একেবারে নিম্নস্তর থেকে বিপুল কেনাকাটা, আইটি স্টকে উত্থান এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারে ব্যাপক তেজিভাবের কারণে আজকের বাজারে সেনসেক্স বিগত দিনের পতন কাটিয়ে সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং (Sensex Today) দিনে এক লাফে ১৮০০ পয়েন্ট বেড়ে গেল। ভারতের শেয়ার বাজারে আবার দৌড় শুরু হল। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্স এখন ৭৮,৭৬৬ পয়েন্টে ট্রেড করছে। ৭৭ হাজারের স্তরে নেমে এসে আবার আজ ৭৮ হাজারের সীমা ছাড়াল সেনসেক্স। অন্যদিকে নিফটি ৫০ সূচকও ৪৭২ পয়েন্ট লাফ (Stock Market Today) দিয়ে পৌঁছে গিয়েছে ২৩,৮২৯-এর স্তরে। সেনসেক্সের ৩০টি স্টকের মধ্যে ২৮টি স্টকেই তেজিভাব আজকের বাজারে সেনসেক্সের ৩০টি স্টকের মধ্যে ২৮টি স্টকেই এসেছে তেজিভাব। এর মধ্যে মাত্র ২টি স্টকে পতন এসেছে। নিফটির ৫০টি স্টকের মধ্যে ৪৮টি স্টকেই এসেছে বড় উত্থান। দাম বেড়েছে যে সমস্ত শেয়ারের তার মধ্যে রয়েছে এসবিআই ৪.২৭ শতাংশ, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট ২.৬৭ শতাংশ, বাজাজ ফিনান্স ২.৬৫ শতাংশ, টাইটান ২.৪৫ শতাংশ, এইচসিএল টেক ২.৪০ শতাংশ, ভারতী এয়ারটেল ২.২৩ শতাংশ, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের শেয়ার ০.২৫ শতাংশ পতনে, এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারে পতন এসেছে ০.২০ শতাংশ। আদানি স্টকে ব্যাপক উত্থান গতকাল আদানির ঘুষ কান্ডের জেরে ব্যাপক পতন দেখা গিয়েছিল বাজারে। ২০ শতাংশ এমনকী ২৪ শতাংশ পর্যন্ত পতন এসেছিল একদিনে কোনো কোনো স্টকে। সেখান থেকে আবার বাউন্স ব্যাক করেছে এই স্টকগুলি। এসিসির স্টক এখন ৩.৮১ শতাংশ বেড়েছে, আদানি এন্টারপ্রাইজের স্টকে এসেছে ২.৪০ শতাংশের উত্থান। এছাড়া আদানি পোর্টস, অম্বুজা সিমেন্টের স্টকের দাম যথাক্রমে ২.৫৪ শতাংশ, ৩.৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তি বাড়ল ৫.৫ লক্ষ কোটি টাকা স্টক মার্কেটে বিপুল উত্থানের জেরে আজ বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত শেয়ারগুলির বাজার মূলধন ৪২৫.০৮ লক্ষ কোটি থেকে আজ পৌঁছেছে ৪৩০.৯৮ লক্ষ কোটি টাকায়। অর্থাৎ আজকের সেশনে ৫.৬০ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। কোন সেক্টরে কী হাল আজকের শেয়ার বাজারে ব্যাঙ্কিং, আইটি, অটো, ফার্মা, মেটাল, রিয়েল এস্টেট, এনার্জি, ইনফ্রা, কনজিউমার ডিউরেবলস, হেলথকেয়ার এবং অয়েল ও গ্যাসের স্টকগুলিতে উত্থান দেখা গিয়েছে। মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ স্টকেও আজ দারুণ তেজিভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। ( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)

Read More
train

আপাতত পদ্মাপার থেকে কোনো রেক ফেরত না আসায় বাতিল ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা! রেক ফিরলেই

 বাংলাদেশ। অশান্তি। সংঘর্ষ। পালাবদল। তবে তারপরে ধাপে ধাপে ফিরছে স্থিতি। কিন্তু ১১৭ দিন ধরে বেনজির ভাবে ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন চলাচল বন্ধ। ১৯ জুলাই থেকে ১২ নভেম্বর!  ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাস পরিষেবা কিছুদিন বন্ধ থাকার পর তা-ও সচল হয়েছে। কলকাতা বা দিল্লির সঙ্গে আকাশপথে পুনর্বহাল গিয়েছে ঢাকা বিমানবন্দরের যোগযোগ। এমনকি মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার পুজোর আগে ইলিশও পাঠিয়েছে ভারতে। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে দু’দেশের রেল যোগাযোগ পরিষেবা এখনও স্তব্ধ! তবে সুখবর আছে। জানা গিয়েছে, আর দৈনিক বাতিল নয় ট্রেন। তবে আপাতত বাংলাদেশ থেকে কোনো রেক ফেরত না আসায় বাতিল ভারত বাংলাদেশ ট্রেন পরিষেবা। পূর্ব রেলের চিফ পাবলিক রিলেশনস অফিসারের তরফে আজ, ২১ নভেম্বর একটি নোটিস দিয়ে সংশ্লিষ্ট রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেক পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় পরবর্তী কোনও নোটিস না আসা পর্যন্ত সাময়িক বাতিল থাকবে ১৩১০৭ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১০৯ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১১০ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস, ১৩১২৯ কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস এবং ১৩১৩০ খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেস। ১৯ জুলাই থেকে বন্ধ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। ২০ জুলাই থেকে বন্ধ কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ রেলওয়েজের অনুরোধে জুলাই মাসে এই দুটি রুটে ট্রেন বন্ধ হয়েছিল। অসুবিধায় পড়েছেন দুই দেশের সাধারণ নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত মানুষ, যাঁদের চাইলেই বিমানে সফর করার সঙ্গতি নেই, এদিকে বাসযাত্রা রোগীদের ক্ষেত্রে কষ্টকর। নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেও এ বিষয়ে গতকাল পর্যন্ত কোনও আপডেট ছিল না। তবে আজ, ২১ নভেম্বরে এসে গেল এই নতুন বিজ্ঞপ্তি। যাতে জানা গেল, রেক ফিরলেই চলবে ট্রেন। প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মানুষ ট্রেনে কলকাতায় আসতেন এই শহরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে। সমান্তরাল এক ‘মেডিক্যাল ট্যুরিজম’ তৈরি হয়ে উঠেছিল ইস্টার্ন বাইপাস-লাগোয়া একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল জুড়ে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ হল রেলের আর্থিক ক্ষতি। কলকাতা টার্মিনালে ইমিগ্রেশন কাউন্টার স্ক্যানার-সহ সমস্ত পরিকাঠামো মাসের পর মাস পড়ে রয়েছে। অথচ বন্ধন এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস খাতে ট্রেন পিছু ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় লক্ষ টাকার টিকিটের দাম প্রতিদিন ফেরত দিয়ে চলেছে রেল। শুধু ট্রেনের সংখ্যা গুনলে এখনও পর্যন্ত ১০০-র উপর ট্রেনের সমস্ত যাত্রীর টিকিটের টাকা ফেরত দিয়েছে পূর্ব রেল। কলকাতা স্টেশন থেকে দুটি ট্রেনের অপারেটিং ইনচার্জ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র আগে জানিয়েছিলেন, একা ভারতীয় রেল বোর্ড ইচ্ছা করলেই ট্রেন দুটি চালাতে পারে না। কারণ, প্রথমত, ট্রেন দুটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে। দ্বিতীয়ত, ট্রেনের রেক দুটি ভারতীয় রেলের সম্পত্তি হলেও খুলনা বা ঢাকা থেকে ট্রেন যখন সীমান্ত পর্যন্ত আসে, তখন তাতে ডিউটি করেন বাংলাদেশ রেলওয়েজের কর্মীরাই। ফলে যৌথ সম্মতি ছাড়া এই ট্রেনের অপারেশন সম্ভব নয়। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেও সমঝোতা এক্সপ্রেস চালানো হয়েছে একাধিকবার। অনেকবার সেই পরিষেবা দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনে বন্ধ হয়েছে বা আবার চালুও হয়েছে। কিন্তু প্রতিবার চালু হওয়া বা বন্ধ হওয়ার আগাম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল। কিন্তু বন্ধন এবং মৈত্রীর বিষয়টা ব্যতিক্রম। আনুষ্ঠানিক ভাবে, অর্থাৎ, সরকারি খাতায়-কলমে ট্রেন দুটি এখনও চালু আছে। ফলে প্রতিদিন বাংলাদেশ রেলের পাঠানো বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশের উপর নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে। তারপর ওপার থেকে বলে দেওয়া হচ্ছে, অমুক তারিখের পরিষেবা বন্ধ ঘোষণা হোক। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র আরও জানিয়েছিলেন, কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৫ দিন পরিষেবা দেয়; সোম, মঙ্গল, বুধ, শুক্র এবং শনি। কলকাতা-খুলনা বন্ধন সপ্তাহে ২ দিন পরিষেবা দেয়; রবি এবং বৃহস্পতি।

Read More

মাত্র ৫ মিনিটের শরীরচর্চাতেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে উচ্চ রক্তচাপ, ভাল থাকবে হার্ট, দাবি নতুন গবেষণায়

নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তার প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে। কিন্তু, নানা ব্যস্ততার মাঝে এই রুটিন মেনে ব্যায়াম করা সম্ভব হয় না অনেক সময়েই। অথচ প্রতি দিনে যদি মাত্র ৫ মিনিট সময়ও শরীরচর্চার জন্য রাখা যায়,তা হলে নাকি অনেক রকম অসুখবিসুখ দূরে থাকে, এমনটাই দাবি করেছেন সিডনি ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা। নিয়ম করে রোজ ৫ মিনিট ব্যায়াম করার সুফল কতটা, সেই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষাও তাঁরা প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে গবেষকেরা লিখেছিলেন, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ভারতে প্রতি বছর ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় আক্রান্ত হন। আর এই সমস্যা দূর করতে হলে শুধু ওষুধ খেলে হবে না, সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও করতে হবে।  . কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে হৃদযন্ত্রে চাপ পড়ে বুকে ব্যথা হয়। 

Read More
Bumrah

রোহিত-বিরাট দুজনেই আলাদা, আমি আমার মত দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব: বুমরা

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া (Indian Cricket Team)। এরপরই হাইভোল্টেজ মহারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বৈরথ। তার ওপর আবার প্রথম টেস্টেই নেতৃত্বের চাপ কাঁধে। তবে এই সব নিয়ে আলাদা করে ভাবতে চাইছেন না জসপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)। পারথ রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) অনুপস্থিতিতে অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন ডানহাতি তারকা পেসার। সিরিজ শুরুর আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসে বুমরা জানিয়ে দিলেন যে দল আলাদা কোনও চাপ নিতে চাইছে না কিউয়ি সিরিজের হারের পর। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নতুনভাবে শুরু করতে চাইছেন তাঁরা, জানিয়ে দিলেন পারথ টেস্টের ভারত অধিনায়ক। নিজের ক্যাপ্টেন্সি ইস্যুতে প্রশ্ন করা হলে বুমরা বলেন, ”আমি অত্যন্ত সম্মানিত ভারতের অধিনায়কত্ব করার সুযোগ পেয়ে। তাও আবার এমন হাইভোল্টেজ মহারণে। আমি আমার মত করে দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করব। বিরাট আলাদা, রোহিত আলাদা। আমি আমার মত করে কাজ করব। আমি এটাকে আলাদা কিছু মনে করছি না। দায়িত্ব নিতে বরাবরই ভালবাসি। রোহিতের সঙ্গে আগেই কথা বলেছিলাম। কিন্তু এখানে আসার পর নিজের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা হয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে নেতৃত্বভার সামলেছি। তবে আমি এখানে একটা ম্য়াচের দায়িত্ব নিয়েই ভাবছি।” কপিল দেব পেসার অলরাউন্ডার হিসেবে দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক হয়ে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে সেভাবে পেস বোলার অধিনায়ক দেখা যায়নি। বুমরা বলছেন, ”আমি পেসারকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চেয়েছি সবসময়ই। প্যাট দুর্দান্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছে। এর আগেও অতীতে এমন অনেক উদাহরণ দেখা গিয়েছে। কপিল দেব ও আরও অনেককেই দেখেছি নেতৃত্বভার সামলাতে বিশ্বজুড়ে যাঁরা পেস বোলার। আশা করি, নতুন ট্র্যাডিশন আবার শুরু হোক।” এদিকে, মহম্মদ শামি কি ভারতীয় দলের জার্সিতে পরের চারটি টেস্টে খেলতে নামবেন? ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে শামিকে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়নি। চোট, অস্ত্রোপ্রচার ফের চোট, সবমিলিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তন পিছিয়েই চলেছে। ভারতীয় সমর্থকরা অজ়িভূমে শামির প্রত্যাবর্তনের আশায় থাকলেও, তা হয়নি। তবে সদ্যই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন শামি। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে মাঠে নেমেই ম্যাচে মোট সাতটি উইকেট নিয়েছেন তারকা ফাস্ট বোলার। এরপর থেকেই শামির দলে যোগ দেওয়ার জল্পনা শোনা যাচ্ছে। বুমরা জানিয়ে দিলেন যে অভিজ্ঞ ডানহাতি পেসারকেও আগামী ম্য়াচগুলোতে দেখা যেতে পারে ভারতের জার্সিতে।

Read More
pen

ট্যাব প্রতারণা কাণ্ডে মালদার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের জালে আরও ১

মালদায় ট্যাব-প্রতারণা কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও একজন। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে মনোজিৎ বর্মন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে মালদার সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাইস্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা। তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি পোর্টাল হ্যাক করে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনে হাত রয়েছে মনোজিতের, এমনটাই মনে করছে পুলিশ। মালদায় ট্যাব-প্রতারণাকাণ্ডে শুক্রবার বৈষ্ণবনগর থেকে সেরাজুল মিঞা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ২ হাজার টাকায় অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিল পেশায় কৃষক সেরাজুল। এর পাশাপাশি, হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাইস্কুলের ৯১ জন। পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা প্রতারণার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। গত কয়েকদিন ধরে ট্যাবের টাকা নিয়ে জালিয়াতির জাল ছড়ানোর খবর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছিল। কেলেঙ্কারির নেপথ্যে কি সেই উত্তর দিনাজপুর-যোগ? তরুণের স্বপ্ন চুরি করে উত্তর দিনাজপুরই কি হয়ে উঠছে ‘বাংলার মিনি জামতাড়া’? তেমনই অনুমান তদন্তকারীদের। কালিম্পং-এর গরুবাথান থানার পুলিশে সূত্রে খবর, জেলার কিছু পড়ুয়ার ট্য়াবের টাকা অ্য়াকাউন্টে ঢোকার অভিযোগে ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। ধৃত মহম্মদ আলম মুস্তাকিন ইসলামপুর থানার অলিগঞ্জের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি, ট্যাব-জালিয়াতির তদন্তে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ টাকা ঢুকেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুর এবং বিহারের কিষাণগঞ্জের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। দক্ষিণবঙ্গের এডিজি  সুপ্রতিম সরকার বলেন, চোপড়া ও মালদা থেকে প্রচুর এই ধরনের কাজ হচ্ছে। সেটা আমরা দেখেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, মালদায় ট্যাব জালিয়াতির অভিযোগে মালদা থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে। এদিকে, বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”ট্যাব কেলেঙ্কারির অপরাধীদের এ রাজ্যেই ধরপাকড় করা হয়েছে। এমন কেলেঙ্কারি তো অন্য রাজ্যেও হয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যই শুধুমাত্র অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পেরেছে।” ২ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার সময় বিমান ধরার আগে ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলের প্রশ্ন, যাদের ট্যাবের টাকা গায়েব হয়েছে, যারা ট্যাবের টাকা পাননি, তারা কি আর টাকা পাবে ? মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিলেন । তিনি বললেন, ”আমরাই একমাত্র এই গ্রুপের ৬ জনকে ধরতে পেরেছি। আমাদের প্রশাসন যথেষ্ট স্ট্রং। রাফ অ্যান্ড টাফ। ৬ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি যা করার ওরা করবে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”যারা ট্যাবের টাকা পায়নি, তাদের টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

Read More
cyclone

ফের বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়, কবে-কোথায় আছড়ে পড়তে পারে Fengal ? বঙ্গে কি প্রভাব পড়বে

রাজ্যে থাবা বসাতে শুরু করেছে শীত। দেশজুড়েই শীতের আমেজ। একাধিক রাজ্যে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মরসুমেই আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিল IMD। উত্তর-পূর্ব মৌসুমির মরসুম চলাকালীন সক্রিয় হয়ে ওঠে ভারত মহাসাগর। নভেম্বর মাস নাগাদ ঝোড়ো-কার্যকলাপ বাড়তে থাকে। যদিও এ বছর এখনও পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে শান্ত রয়েছে পরিস্থিতি। এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রকোপই দেখা গেছে। কিন্তু, এবার এল নতুন ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা। ঘূর্ণিঝড় Fengal – বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে নতুন ঘূর্ণিঝড় । এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে IMD। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে আন্দামান সমুদ্রে নতুন একটি সাইক্লোন আসতে পারে। নভেম্বরের ২১ তারিখেই এর উৎপত্তি। তবে, এর তীব্রতা বাড়বে ২২ ও ২৩ নভেম্বর। যদি এটি ঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে এটি মরসুমের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে। সদস্য দেশগুলির এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পরিপ্রেক্ষিতে, এর নাম হতে চলেছে ‘ফিনজল’ বা মতান্তরে ‘ফিঞ্জল’ (Fengal)। এর নামকরণ প্রস্তাব করেছে সৌদি আরব। ধ্বংসলীলা চলতে পারে শ্রীলঙ্কায় IMD-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকেও। পরবর্তীকালে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই মুহূর্তের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে উত্তর শ্রীলঙ্কায়। যদিও IMD বলছে এখনই এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হবে না। কতটা তীব্র হতে পারে তাও এখনও স্পষ্ট নয়। আগামী দিনে আবহাওয়ার গতি-প্রকৃতি কোন দিকে এগোচ্ছে তার উপর সবকিছু নির্ভর করছে। তখনই বোঝা যাবে, এটি পূর্ণাঙ্গ ঝড়ে পরিণত হতে চলেছে কি না। প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাস নাগাদ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তার প্রভাব পড়ে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে । এই পথে মাঝেমধ্যে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সম্প্রতি আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। নাম তার ‘দানা’। যার অর্থ মূল্য়বান মুক্ত। কিন্তু কাজের দিক থেকে সে ক্ষতিকারক! ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে জেলার পর জেলায় চাষের ব্য়াপক ক্ষতি হয়েছে। কার্যত বিপর্যয় নেমে এসেছে চাষিদের উপর। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব বাংলায় তেমনভাবে না পড়লেও বিদ্যুতের তার আর রাস্তায় জমা জলে মরণ-ফাঁদ তৈরি হয়।

Read More
SRK

একদিন বাথরুমে ঢুকে কেঁদেছিলেন গোপনে, ঘৃণাও করতেন নিজেকে ! কেন এমন স্মৃতিচারণা শাহরুখ খানের

সুখের সময় খুব কম। তাই সেটা মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বলিউডে পা দিয়েই, এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন সদ্য ১৯ এ পা দেওয়া আলিয়া ভাট। সুপারস্টারদের জীবন সবসময়ই রঙিন নয়, একথা তাঁরা নিজেরাই অকপটে শিকার করে নেন। তবে বক্সঅফিসে একের পর এক ছবি যখন মুখ থুবড়ে পড়ে, ডিপ্রেশনের কালো মেঘ ধরা দেয় বইকি ! ঋত্ত্বিক রোশন, শাহিদ কাপুর, পরিণীতি চোপড়া, দীপিকা পাডুকোন থেকে হানি সিং-ডিপ্রেশন থেকে কেউ যাননি বাদ। এবার কথা হচ্ছে, কে কত দ্রুত সেটাকে মেনে নিয়ে এগোতে পেরেছেন, সেটাই হচ্ছে জীবনের পরীক্ষা। এবার আসা যাক মূল বিষয়ে, বলিউডে যিনি নিজেকে বহুকষ্টে গড়েছেন। রোমান্টিজমের শীর্ষে রাখা হয় যাকে, সেই শাহরুখ খানও, যাননি বাদ। জীবনের এই ওঠাপড়া থেকে। নিজেই জানিয়েছেন, ‘যখন জীবনে ব্যর্থতা এসে ঘিরে ধরেছে, বাথরুমে ঢুকে প্রচুর কেঁদেছি।’ দুবাইয়ের গ্লোবাল ফ্রেট সামিট উপস্থিত হয়েই মুখ খোলেন কিং খান। তিনি বলেন, ‘এমন অনেক দিন গিয়েছে বাথরুমে ঢুকে কেঁদেছি শুধু। আমি যে আছি, ভাবতেই যেনও ঘেন্না করত ! ঘৃণা জন্মাত মনে। তবে আমি সেটা কখনই কাউকে বাইরে থেকে বুঝতে দিই না। যখন আপনার ফিল্ম ব্যর্থ হয়েছে, তা মানে এই নয় যে কেউ আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে ! এই মাটি এই পৃথিবী কেউই আপনার বিরুদ্ধে নয়। হয়তো কোনওভাবে ভুল হয়ে গিয়েছে। কোনওভাবে খারাপ পারফর্মেন্স হয়ে গিয়েছে। এই অনুভূতি নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ অনেকক্ষেত্রেই জীবন থেকে উঠে আসে চিত্রনাট্যের প্লট। কেউ চিৎকার করে তা বার করতে চায়। কেউবা ঘরের কোণায়। বাথরুমে জল চালিয়ে গোঙানির মুহূর্তও ভারতীয় ছবিতে ভুরিভুরি। জয় গোস্বামীর ‘গোঁসাই বাগান’ হোক কিংবা অপর্ণা সেনের ‘ইতি মৃণালীনি’ কিংবা অনুরাগ বসুর ‘লাইফ ইন অ্যা মেট্রো’- প্রায় এক ডজন ছবি দেড়শো কোটির আবেগ বহন করে চলেছে। দিনের শেষে মোদ্দা কথা এটাই, সেলেব হোক কিংবা সাধারণ,  জীবনে চড়াই-উতারাই আসবেই। এবং তা পেরোতে হবে।

Read More
jio

একদম ফ্রি-তে ১০০ জিবি ক্লাউড স্টোরেজ, ইউজারদের দারুণ সুযোগ দিচ্ছে জিও

রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) গ্রাহকদের জন্য এনেছে দারুণ সুখবর। ইতিমধ্যেই রোল আউট শুরু হয়েছে জিও এআই ক্লাউড ওয়েলকাম অফারের (Jio Welcome Offer)। এর মাধ্যমে ইউজাররা ১০০ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ (100 GB Cloud Storage) পাবেন একদম বিনামূল্যে। আর এই স্টোরেজ হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) যুক্ত ক্লাউড স্টোরেজ। তবে নির্দিষ্ট ইউজারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এই অফার। ইউজাররা যাতে অ্যাডভান্স এআই ব্যবহার করতে পারেন এবং তা৬দের অভিজ্ঞতা খুব ভাল হয়, সেই কারণেই এই অফার চালু করেছে রিলায়েন্স জিও কর্তৃপক্ষ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি সংস্থার ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ বৈঠক অর্থাৎ অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিং যা এবছর অগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে এই অফারের ঘোষণা করেছিলে। জিও- র লক্ষ্য হল ‘AI Everywhere for Everyone’, অর্থাৎ সর্বত্র সকলে যেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সুবিধা উপভোগ করতে পারেন, সেদিকে নজর রাখা। এই বৈঠকেই মুকেশ অম্বানি ঘোষণা করেছিলেন জিও ব্রেন প্ল্যাটফর্মের। এই মাধ্যমে রয়েছে এআই- এর উন্নততম বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যা একাধিক শিল্পক্ষেত্র এবং ব্যক্তিগত পরিসরকেও (বিভিন্ন মানুষকে) উন্নত করবে। কী কী সুবিধা পাবেন ইউজাররা  জিও- র এই ওয়েলকাম অফারের মধ্যে ইউজাররা (যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে) নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবেন ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট এবং অন্যান্য ডিজিটাল কনটেন্ট। আর এগুলি স্টোর করার জন্য ১০০ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ পাওয়া যাবে বিনামূল্যে। এই ক্লাউড স্টোরেজ পেতে হলে কোনও খরচ করতে হবে না। যাঁদের এর থেকেই বেশি পরিমাণ স্টোরেজ প্রয়োজন, তাঁরা অতিরিক্ত স্টোরেজও পাবেন মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে দামে, সেকথাও জানিয়েছে জিও কর্তৃপক্ষ। এবছর দীপাবলির সময় থেকেই জিও- র এই অফারের রোল আউট শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জিও- র তরফে নির্দিষ্ট ইউজারদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে মেসেজ। সেখানে ইউজারদের জন্য বার্তা দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেন নতুন জিও ক্লাউড মাধ্যমের পরিষেবা খুঁটিয়ে দেখে নেন। ১০০ জিবি ফ্রি ক্লাউড স্টোরেজের সঙ্গে এআই মেমোরি, এআই স্ক্যানার, ডিজি লকার- এইসব ফিচারের সুবিধাও পাওয়া যাবে। এআই ক্লাউড স্টোরেজের পাশাপাশি রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রি বিনোদনের দুনিয়াতেও চালু করতে চলেছে নতুন কিছু। শোনা গিয়েছে, Viacom18 Media Private Limited এবং The Walt Disney Company- এই দুইয়ের সঙ্গে একত্রিত হয়ে জিও স্টার নামের একটি প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করতে চলেছে রিলায়েন্স জিও কর্তৃপক্ষ।

Read More

আট দিন পরে ‘ভয়াবহ’ বায়ুদূষণ থেকে দিল্লিবাসীর মুক্তি, তবে এখনও ‘খুব খারাপ’ রাজধানীর বাতাস

টানা ৩ দিন ঘন ধোঁয়াশায় ঢুবে রয়েছে রাজধানী। ইতিমধ্য়েই স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রাজধানীতে ঢোকার ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা এআইকিউ গিয়ে দাঁড়াল ৪৮৮। কিন্তু রাজধানীর এই ভয়ংকর দুষণের কারণ কী? প্রায়শই শোনা যায় দিল্লি দূষণের মূল কারণ পঞ্জাব ও হরিয়ানার চাষিদের খড় পোড়ানো। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে অন্য কারণ।   সেন্টার ফর রিসার্চ অ্য়ান্ড ক্লিন এয়ার বা সিআরইএ-র সমীক্ষা অনুযায়ী দিল্লি এনসিআর এলাকায় তাপ বিদ্যুত্  কেন্দ্রগুলি যে দূষণ ছড়ায় তা চাষিদের খড় পোড়ানোর থেকে ১৬ গুন বেশি। চাষিদের ৮৯০ লাখ টন খড় পোড়ানোর ফলে ১৭.৮ কিলোটন দূষণ ছড়ায়। ২০২২ সালের জুন মাস থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত দিল্লি এনসিআরের তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলি ২৮১ কিলোটন সালফার ডাই অক্সাইড তৈরি করেছে। দিল্লি দূষণের মূল কারণ সালফার ডাই অক্সাইড। আর তাতে বেশি অবদান রয়েছে তাপ বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলির। শীতে বাতাস ঠান্ডা হয়েছে। আর বাতাসের প্রবাহও কম। এতেই দূষিত বাতাস সরে যাওয়ার সুযোগ অনেকটাই কম করে দিয়েছে। অর্থাত্ শহরের মধ্যেই আটকে থাকছে দূষিত বাতাস। এদিকে, শহরের পরিস্থিতি বিচার করে একাধিক পদক্ষেপ করেছে দিল্লি সরকার।  দূষণ আটকানোর জন্য শহরে ট্রাক ঢোক নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পাশাপাশি সব বেসরকারি নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার যেসব ব্যবস্থা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গুরুত্বপূর্ণ নয় দিল্লির বাইরের এমন হালকা গাড়ি শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে সিএনজি ও বিএস ৬ ডিজেল গাড়িকে। বেসরকারি সব নির্মাণ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রাখতে হবে হাইওয়ে, রাস্তা, ফ্লাইওভার, বিদ্য়ুত লাইন, জলের লাইন বসানোর কাজ। সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ হাজিরা রেখে বাকীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে। সোমবার থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি ছাড়া বাকী স্কুল পড়ুয়াদের ক্লাস বাতিল করতে স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে।

Read More

পারথ টেস্টের আগেই বড় খবর! শামিকে নিয়েই ঘোষিত দল, পেলেন সাত উইকেটের পুরস্কার

প্রায় দীর্ঘ এক বছর পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেই ছাপ রেখেছেন জাতীয় দলের মেগাস্টার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। বাংলার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে, বাংলা-মধ্যপ্রদেশ রঞ্জি ম্যাচের হাত ধরে শামি, ৩৬০ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন তিনি। শামি দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছিলেন সাত উইকেটও। শামি না থাকলে হয়তো বাংলা ওই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরেও যেতে পারত। প্রত্যাবর্তনের পুরস্কার পেলেন শামি। তাঁকে নিয়েই বাংলার ২২ সদস্যের সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির স্কোয়াড  (Syed Mushtaq Ali Trophy)। লাল বলের পর এবার সাদা বলেও শামি তাঁর ফিটনেস ঝালিয়ে নিতে পারবেন। তাঁর উপর চোখ থাকবে বিসিসিআই-এরও। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাগশিপ ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে চলেছে ভারত। ২২ নভেম্বর থেকে পারথে শুরু ইন্দো-অজি মহাযুদ্ধ। ১৯৯১-৯২ সালের পর এই প্রথম বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ। শুরুতে খেলতে না পারলেও শামিকে দল পরের দিকের টেস্টের সূচিতে ভাবতেই পারে।   অস্ট্রেলিয়ায় শামির ইতিহাস দুর্দান্ত। ২০২৮-১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের অন্য়তম কাণ্ডারী তিনি। শামির প্রত্যাবর্তন ভারতের পেস আক্রমণ ভাগে বাড়তি অক্সিজেন দেবে, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বুমরা-সিরাজের সঙ্গে তিনি জুড়ে গেলে অনেক খেলাই ঘুরে যাবে। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে সুদীপ ঘরামির নেতৃত্বে খেলবে বাংলা। আগামী শনিবার রাজকোটে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে সুদীপবাহিনীর প্রথম ম্যাচ। এরপর প্রতিপক্ষ হায়দরাবাদ, মেঘালয়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, বিহার ও রাজস্থান। ফাইনাল ১৫ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরুতে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলার স্কোয়াড: সুদীপ ঘরামি (অধিনায়ক), অভিষেক পোড়েল (উইকেটকিপার), সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শাহবাজ আহমেদ, করণ লাল, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক রায়চৌধুরি, শাকিব হাবিব গান্ধী, রণজ্যোত সিংহ খাইরা, প্রয়াস রায় বর্মন, অগ্নিভ পান, প্রদীপ্ত প্রামাণিক, সাক্ষম চৌধুরি, মহম্মদ শামি, ঈশান পোড়েল, মহম্মদ কাইফ, সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, সায়ন ঘোষ, কণিষ্ক শেঠ এবং সৌম্যদীপ মণ্ডল।

Read More