নিজস্ব সংবাদদাতা

দলে আবারও শক্তিশালী হচ্ছে অভিষেক ব্যানার্জী, মেয়র পদ থাকবে ফিরহাদ হাকিমের ?

১৫ মার্চ,কলকাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজ সাংসদ ও বিধায়ক সহ তৃণমূলের মূল সংগঠন ও শাখা সংগঠন গুলির ব্লক, জেলা ও রাজ্যে স্তরের পদাধিকারীদের সাথে সাংগঠনিক মিটিং করলেন। মিটিং এর মূল বিষয় ছিল ভুতুড়ে ভোটার। এছাড়াও নানা সাংগঠনিক রদবদলের বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷বিজেপি বাংলায় বিধানসভা ভোট জিততে ভিন রাজ্য থেকে ভোটার আমদানি করছে। গত কয়েকদিন এই বিষয়ে বারবার আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি কমিটিও গড়ে দেন যাতে করে বুথে বুথে ভোটার লিস্ট স্ক্রুটিনি করা যায়৷ এই বিষয়ে গত কয়েকদিন আগেই মিটিং করেছিল ববি হাকিম, সুব্রত বক্সী সহ প্রবীন নেতারা৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মিটিং এ গড় হাজির ছিলেন। নবীন বনাম প্রবীন লড়াইয়ে দলে নানা ঘটনা ঘটে চলেছে। আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাই নিজে ভার্চুয়ালি সাংগঠনিক মিটিং করলেন।বি পি সংবাদ তৃণমূলের নানা তরুণ মুখের সাথে যোগাযোগ করেছিল। ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ তরুণ প্রায় সকলেই। তারা নেতৃত্বে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই বার্তাই স্পষ্টত উঠে এসেছে বারবার। সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেও এটা দেখা যায়৷আজ মিটিং এর পর কয়েকটা প্রশ্ন উঠছে, তার উত্তর এখনও অজানা।১. বিহার, ইউপি ও ঝাড়খন্ডের প্রচুর মানুষ কর্মসূত্রে বাংলায় আছে যাদের দুই রাজ্যের ভোটার কার্ড আছে। এদের বিরুদ্ধে তৃণমূল দল বা রাজ্য প্রশাসন কি আদৌ কোনো ব্যবস্থা নেবে?২. বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যেভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে তাতে বিজেপির লাভ বলেই মনে করছে তৃণমূলের অধিকাংশ কর্মী-সমর্থক। হুমায়ুন কবীরের মন্তব্যে বারবার অস্বস্তিতে পড়ছে দল৷ তারপরও দল তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিতে সাহস দেখাচ্ছে না?৩. ফিরহাদ হাকিম বারবার এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যাতে হিন্দুরা ক্ষুব্ধ হয়। বিজেপি ব্যাপক লাভবান হয়েছে এই সব মন্তব্যে, মত বিশেষজ্ঞদের। এরপরও কি ফিরহাদ হাকিমকে দল কড়া বার্তা দেবে না? সাংগঠনিক রদবদলের পরও কি তিনিই কলকাতার মেয়র থাকবেন? প্রশ্ন তুলছে অনেকে৷৪. সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দলের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলেছেন এবং হিন্দি আগ্রাসনকে ভালো বলেছেন- তাতে এই প্রবীন সাংসদের বিরুদ্ধে দল কি ব্যবস্থা নেবে?৫. উত্তরের জেলাগুলোয় গত কয়েকটা ভোটেই খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। উত্তরের জেলাগুলোয় বিধানসভা ভোটে কি স্ট্র‍্যাটেজি নেবেন সেনাপতি অভিষেক? আদৌ কি তিনি উত্তরের চার-পাঁচটি জেলাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন?৬. গোটা ভারতের রাজনীতি ডিলিমিটেশন ইস্যুতে তোলপাড়৷ বিজেপির বিরুদ্ধে এককাট্টা দক্ষিণ ভারত৷ এই পরিস্থিতিতে ডিলিমিটেশন ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান কি হবে?

Read More

‘ডিলিমিটেশন, অহিন্দি রাজ্যের উপর তলোয়ার’- স্ট্যালিনের চিঠি মমতা সহ সাত মুখ্যমন্ত্রীকে

১৫ মার্চ, কলকাতা: তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন ডিলিমিটেশন বিষয়ে সাতটি অহিন্দি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটিতে(JAC) যোগ দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি, এমনকি ওড়িশার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মোহন চন্দ্র মাঝিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এম কে স্ট্যালিন আগামি ২২ মার্চ JAC তে যোগ দেওয়ার জন্য।স্ট্যালিন বলেছেন, “এই মুহূর্তটি নেতৃত্ব এবং সহযোগিতার দাবি করে – রাজনৈতিক পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর কল্যাণের জন্য দাঁড়ানো,” তিনি আরও লিখেছেন, “রাজ্যগুলির ন্যায্য সম্পদ সুরক্ষিত করার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উপর গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলিকে প্রভাবিত করার এবং রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকারগুলিকে যথাযথ মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের একসাথে দাঁড়াতে হবে – পৃথক রাজনৈতিক সত্তা হিসাবে নয়, বরং আমাদের জনগণের ভবিষ্যতের রক্ষক হিসাবে।”সিদ্দারামাইয়াকে লেখা তিন পৃষ্ঠার চিঠিতে স্ট্যালিন সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ২০২৬ সালের পরে, পরবর্তী আদমশুমারির ভিত্তিতে আসন পুনর্বণ্টন করা হলে রাজনৈতিক দৃশ্যপট নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। “যেসব রাজ্য তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং উচ্চতর শাসন সূচক অর্জন করেছে, তাদের রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণের মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব হ্রাসের শাস্তি দেওয়া হবে।”সিদ্দারামাইয়া এই বিষয়টির তাৎপর্য স্বীকার করেছেন, বিশেষ করে নতুন জনসংখ্যার মানদণ্ডের ভিত্তিতে সংসদীয় ও বিধানসভা নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে। তিনি আলোচনায় অংশ নিতে তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তিনি জানিয়েছেন,”যদিও আমি সভায় অংশগ্রহণ করতে চাই, আমার সময়সূচীর কারণে, আমি তা করতে পারছি না। তাই, আমি উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারকে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।” কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে সিদ্দারামাইয়া আরো বলেন “ডিলিমিটেশন গণতন্ত্রকে দুর্বল করে এবং সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি লঙ্ঘন করে….কর্ণাটক তার অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে – আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে সমর্থন করব।”কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দক্ষিণ রাজ্যগুলিকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের এই পরিণতি সম্পর্কে ভয় পাওয়ার দরকার নেই, ডিলিমিটেশনের ফলে আসন সংখ্যা আনুপাতিক হারে হ্রাস পাবে না এবং এর ফলে একটিও দক্ষিনী রাজ্য প্রভাবিত হবে না। কিন্তু এই বক্তব্য যে অর্ধসত্য তা সকলেই জানে। অহিন্দি রাজ্যের আসন না কমলেও হিন্দি বলয়ের আসন এত সংখ্যা বাড়বে যে ভারতে অহিন্দি রাজ্য অধিকারের অলিন্দ থেকে সরে যাবে। স্ট্যালিন বলেছেন- ডিলিমিটেশনের তলোয়ার ঝুলছে দক্ষিনী রাজ্যগুলির উপর, একে ভোঁতা করতে হবে। ডিলিমিটেশনের সমস্যা কী ? ডিলিমিটেশন হল লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভার আসন সংখ্যা নির্ধারণ এবং নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রক্রিয়া। এটি তফসিলি জাতি (SC) এবং তফসিলি উপজাতি (ST) এর জন্য কতগুলি আসন সংরক্ষিত তাও নির্ধারণ করে। এই অনুশীলনটি ১৯৫১, ১৯৬১ এবং ১৯৭১ সালের আদমশুমারির পরে পরিচালিত হয়েছিল। ৭১ সালে দেখা গেল অহিন্দি বলয়ের জনসংখ্যা স্বাভাবিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। কিন্তু হিন্দি বলয়ে জনসংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েছে। সুতরাং আসন পুনর্বিন্যাস করতে গেলে ভারতের অহিন্দি রাজ্য বঞ্চিত হবে এবং ভারতের ফেডেরাল কাঠামো ভেঙে পড়বে। তখন এই বিন্যাস ২০০০ সাল পর্যন্ত স্থগিত করে দেয় ইন্দিরা সরকার। এবং হিন্দি বলয়ের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়া হয়। ২০০১ সালে অটল সরকারও বিপদ উপলব্ধি করে ২০২৬ পর্যন্ত স্থগিত করেন। সামনে ২০২৬ । ডিলিমিটেশনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার। জনসংখ্যার বৈষম্য অব্যাহত থাকায় ডিলিমিটেশন আগামী ত্রিশ বছর পর্যন্ত স্থগিতকরণ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছেন স্ট্যালিন।যদি ২০২৬ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে আসন পুনর্বণ্টন করা হয়, তাহলে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি আরও বেশি আসন পাবে, অন্যদিকে দক্ষিণ এবং ছোট উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি রাজনৈতিক প্রভাব হারাতে পারে।মোট আসন ৫৪৩টি রাখা হবে কিনা, কিন্তু রাজ্যগুলির মধ্যে পুনর্বণ্টন করা হবে কিনা, নাকি মোট আসন ৮৪৮-এ উন্নীত করা হবে, যাতে সমস্ত রাজ্য আরও বেশি আসন পাবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।উভয় ক্ষেত্রেই, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি,পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো ছোট উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলি এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির আসন সংখ্যা রাষ্ট্রীয় গড় বৃদ্ধির তুলনায় কম শতাংশ হরে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এটির ন্যায়সঙ্গতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে অহিন্দি রাজ্যের অধিবাসীরা, কারণ যেসব রাজ্য তাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে তাদের প্রতিনিধিত্ব কমে যাবে সংসদে। এটি ১৯৭১ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে আসন নির্ধারিত করার মূল ধারণারও পরিপন্থী।যদি ৫৪৩ আসন রাখা হয় বাংলা সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলি আসন হারাবে। যদি ৮৪৮ আসন করা হয় উত্তরের রাজ্যগুলির আসন এত বৃদ্ধি পাবে অহিন্দি রাজ্যগুলি সংসদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে বর্তমানে আসন সংখ্যার ২৪% ভাগ রয়েছে, সেখানে আসন সংখ্যা ৫% কমে যাবে। একটি পরিসংখ্যান দেওয়া হল।আসন সংখ্যা ৫৪৩ থাকলে- আসন সংখ্যা জনসংখ্যা অনুসারে বেড়ে ৮৪৮ হলে- সূত্রঃ Vaishnab et al, Carnegie Endowment রাজ্য থেকে যে পরিমাণ কর কেন্দ্রে যায় তার কত শতাংশ কোন রাজ্য পায়, সেদিকে তাকালে দেখা যাবে তামিলনাড়ু ১ টাকায় ফেরত পায় ২৯ পয়সা, কর্নাটক পায় ১৫ পয়সা সেখানে বিহার ১ টাকায় পায় ৭ টাকা, উত্তরপ্রদেশ পায় ২ টাকার বেশি। অহিন্দি জাতির টাকায় উত্তরের রাজ্যগুলি প্রতিপালিত হয়। অথচ দক্ষিণের রাজ্যগুলি, পাঞ্জাব বাংলা ওড়িশা কার্যত হিন্দির উপনিবেশে পরিণত হবে। হিন্দি ভাষা বিতর্কে ভারতের শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সংসদে বলেছেন-“সস্তা রাজনীতির জন্য আপনারা তামিলনাড়ুর ছাত্র সমাজের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছেন। আপনারা অসৎ, অসভ্য। ব্রিটিশ ঔপনিবেশকতা সরিয়ে হিন্দির উপনিবেশ হতে আপনাদের এত আপত্তি কীসের।”  অর্থাৎ হিন্দি বলয়ের মানসিকতা স্পষ্ট।  এখন দেখার বিষয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে সাড়া দেন।

Read More

ভুয়ো ভোটার বাদ গেলে বিজেপির সমস‍্যা কেন ?

২ মার্চ, কলকাতা:সম্প্রতি বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় বাংলার ভোটার তালিকায় বিহার, হরিয়ানা, পাঞ্জাব প্রভৃতি রাজ‍্য থেকে প্রচুর ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি তাঁর দলীয় কর্মীদের বুথ পর্যায়ে ভোটার লিস্ট পরীক্ষা ও সংশোধনের কাজ শুরু করতে বলেছেন। তাঁর অভিযোগ বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে এই ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে।তাঁর এই অভিযোগের সত‍্যতা যে আছে, সেটা এখানকার বিজেপি নেতাদের বক্তব‍্যে পরিষ্কার হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজ‍্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথা শুনে মনে হচ্ছে “ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি”! ভোটার তালিকা অবৈধ ভোটার মুক্ত হওয়া তো গণতন্ত্রে অত‍্যন্ত জরুরী, এতে বিজেপির এত সমস‍্যা কেন? বিজেপিকেই বলতে শোনা যায় অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গরা এখানে এসে ভোটার হয়ে যাচ্ছে। ভোটার তালিকা সংশোধন হলে তো এরাও বাদ যাবে। নাকি বিজেপির আসল খেলাটা বাংলাদেশী, রোহিঙ্গার কথা বলে ভিন রাজ‍্য থেকে ভুয়ো ভোটার ঢোকানো? মৌচাকে ঢিল পড়ার আশঙ্কায় তাদের সমস‍্যা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে এসব প্রশ্ন উঠছে।বাংলার ভোটার তালিকায় বহিরাগতরা ঢুকছে, অনেকের ডুয়াল কার্ড আছে এই অভিযোগ বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন করছে। বাংলা পক্ষর সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন ” আমরা বাংলার ভোটার তালিকা সংশোধন দাবি করছি। বিহার, হরিয়ানা থেকে অথবা বাংলাদেশী, রোহিঙ্গা যেই অবৈধ ভাবে তালিকায় থাকুক, তাকে চিহ্নিত করে বাদ দিতে হবে। ” কৌশিক মাইতি বলেন অনেকের বিহার, ইউপির সাথে এখানেও ভোটার তালিকায় নাম আছে, এদের চিহ্নিত করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ তো দিতেই হবে, সেই সঙ্গে শাস্তিমূলক ব‍্যবস্থাও নিতে হবে।

Read More

কলকাতার এন কে রিয়াল্টরস (NK Realtors) কোম্পানিতে ব্রাত্য বাঙালি

২৮ ফেব্রুয়ারি, কলকাতা: ‘হিন্দি এবং ইংরেজি জানা অবাঙালি মাড়োয়ারি বা জৈন ধর্মের দক্ষ ও অভিজ্ঞ সিনিয়র প্রোডাক্ট স্পেশালিস্ট চায় কলকাতার আবাসিক প্রকল্পের সেল্‌স চালনা করার জন্য’ – কলকাতার এন কে রিয়াল্টরস কোম্পানির প্রথম বিজ্ঞাপনটা ছিল এরকম। এবং এই বিজ্ঞাপনটা করানো হয়েছিল কোম্পানির জনৈক বাঙালি কর্মচারি অনির্বাণ চ্যাটার্জিকে দিয়ে। কোম্পানির মালিক স্বাভাবিকভাবেই পবন আগরওয়াল ও রাম নরেশ আগরওয়াল। এটা অন্য কোনও রাজ্যে সম্ভব নয়। প্রত্যেক রাজ্যেই সেই রাজ্যের লোক নিতে বাধ্য। অথচ বাংলার রাজধানী কলকাতায় একের পর এক এরকম ধৃষ্টতা ঘটেই চলেছে। কদিন আগেই আরেকটা প্রোমোটিং কোম্পানি মারলিন এরকম কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল এবং বলেছিল বাঙালি নেব না। অর্থাৎ এই মারোয়ারি প্রোমোটার কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাঙালির না নেবার একটি ঘৃণামূলক আচরণ ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। এই কোম্পানিতে যে বাঙালির নেই তা নয়। সেই কটা বাঙালি আছে, যে কটা না নিলেই নয়। এই পোস্ট করার পরে বাংলা পক্ষর দ্বারা জাগ্রত বাঙালির প্রতিবাদে ধর্ম ও জাতির বিষয়টা ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুরানো পোস্টটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। কতদিন বাঙালির এই বঞ্চনা চলবে? বাংলা পক্ষ বার বার বলে ‘বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই’ এই কথা সর্বৈব সত্য প্রমাণ করে চলেছে এই কোম্পানিগুলো। সাধারণ বাঙালি নির্লিপ্ত দাসত্ব বহন করে চলেছে। বাংলাপক্ষ’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাঙালির শত্রুদের বিরুদ্ধে বাংলা ও বাঙালি ভবিষ্যতে আরও সোচ্চার হবে এবং বাঙালির সাংবিধানিক অধিকার নিয়েই ছাড়বে।

Read More

বহিরাগত দুর্বৃত্তদের শিকার বাঙালি তরুণী

২৪ ফেব্রুয়ারি, আসানসোল: ছাব্বিশ বছরের সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় ছিলেন চন্দননগরের বাসিন্দা। তিনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজে রবিবার রাতে বিহারের গয়ায় যাচ্ছিলেন। মধ্যরাতে পানাগড়ের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রীয় সড়কের পাশে কাঁকসা থানা এলাকার একটি রাস্তায় কয়েক জন মত্ত যুবক গাড়ি নিয়ে তরুণীর গাড়ির পিছু নেন। তরুণীর গাড়িতে বার বার ধাক্কা দেন তাঁরা। ‘ইভটিজ়ার’দের হাত থেকে বাঁচতেই দ্রুত গতিতে চালাতে গিয়ে উল্টে যায় তরুণীর গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রার। তাঁর দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তরুণীর গাড়িতে থাকা তাঁর দুই সহকর্মীকেও। তরুণীর সঙ্গে থাকা এক সহকর্মী সোমবার সকালে দাবি করেন, বুদবুদ থানায় এলাকায় একটি পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়েছিল তাঁদের গা়ড়িটি। তেল ভরার পর তাঁরা কাঁকসার দিকে যাওয়ার সময়েই কয়েক জন যুবক গাড়ি নিয়ে তাঁদের পিছু নেন। পিছন দিক থেকে বার বার তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা দিতে থাকেন। যার জেরেই তরুণীর গাড়িটি উল্টে গিয়েছিল।অভিযুক্তদের সাদা গাড়িটি আটক করে পুলিশ। গাড়ির নম্বর ‘ডব্লিউবি ৪০ এটি১৯৭৪’। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গাড়িটি জনৈক বাবলু যাদবের নামে রয়েছে। গাড়ির মালিকের পরিচয় জানার পরেও কেন কাউকেই ধরা গেল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। ঘটনার পর ১৮ ঘণ্টা পার হলেও কেন অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা গেল না? এ নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মৃতার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।আসানসোল-দুর্গাপুরের সিপি সুনীল চৌধুরীর দাবি একেবারে ভিন্ন। সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ইভটিজিংয়ের ঘটনাই ঘটেনি। বরং তরুণীর গাড়িই নাকি ওই যুবকদের গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি করছিল। তাতেই ঘটে দুর্ঘটনা। তাহলে প্রত্যক্ষদর্শী মৃতার সঙ্গীর দাবি স্বত্বেও পুলিশের ভিন্নমত কেন? বহিরাগত দুষ্কৃতিদের বাঁচানোর প্রচেষ্টা নয়তো? প্রশ্ন অনেক।

Read More

সিপিএম এর নতুনরা কি বাংলামুখী ? উর্দুভাষী সেলিমের চাপেই কি কোণঠাসা ?

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, কলকাতা: সিপিএমের যুবনেতা সায়ন ব্যানার্জি শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতাদের বিধানসভার বাইরে মাথায় গেরুয়া পাগড়ি পরে প্রতিবাদের ছবিকে ইঙ্গিত করে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন-“মাথার পাগড়ি দেখে বোঝা মুশকিল এটা বাংলার বিধানসভা নাকি এটা কোনা হিন্দিভাষী রাজ্যের বিধানসভা, এত বাঙালি বিদ্বেষী কেন? কিসের জন্য? এই শুভেন্দু বাবুইতো পূর্ব মেদিনীপুরের বুকে রাজনীতি করতে গিয়ে বারংবার সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারার আবেগে শান দিয়ে ভাষন দেন, সেই শুভেন্দু অধিকারির নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কদের দেখলে বাঙালির নিজস্বতা খুজে পাওয়া মুশকিল।। ২০১৪ থেকে বিজেপি বাংলার সংসদীয় রাজনীতিতে আসন জিতছে ২০২১ সালে বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসালো কিন্তু বাস্তবতা দেখে বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি আজও বাঙালিয়ানা কে আপন করে নিতে পারে নি, গো বলয়ের রাজ্যের সংস্কৃতির প্রয়োগ বাঙালি আগেও মানেনি আর ভবিষ্যতেএ মানবে না।” আবার সিপিএমের যুবনেত্রী দিপ্সীতা ধর গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ফেসবুক পোস্ট করেছেন- কলকাতায় নেমে ট্যাক্সি খুঁজতে চাইলে, ৯০% সময় ওপারের ড্রাইভারটি হিন্দিতে জবাব দেবেন, আপনি বাংলা তে বললেও ওপার থেকে জবাব আসবে হিন্দিতে, ব্যাপারটা এমন যেন আপনিই পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি না বলে অপরাধ করে ফেলেছেন। এবং এ রোগ শুধু হিন্দিভাষী তেই সীমাবদ্ধ নেই, এয়ারপোর্টের লাইনে দাঁড়িয়ে একটি ধোপদুরস্ত মেয়ে ডিজিযাত্রা বোঝাচ্ছেন হিন্দি তে, আমি সচেতন ভাবেই তাকে বাংলায় প্রশ্ন করি, মেয়েটি হিন্দিতে জবাব দেয়। “তুমি বাংলা জানোনা?” প্রশ্ন করায় স্পষ্ট বাংলায় সে জানায় সে বাঙালি। তবে হিন্দি তে বলছে কেন? আসলে মাথার মধ্যে ঢুকে গেছে “হিন্দি ভারতের রাষ্ট্র ভাষা”, ভারতের ইউনিভার্সাল ভাষা, কাজের ভাষা। অথচ আমাদের মতো বহুভাষী দেশে কোনো ভাষার আরোপিত সমসত্বতা আসলে আগামীর সাংস্কৃতিক, ধার্মিক এবং অবশ্যই রাজনৈতিক সমসত্বতার প্রাথমিক সোপান। এবং এই নির্মাণে আদতে লাভ কার হয় আমরা সকলেই তা জানি।আর কিছুদিন পরেই ২১ শে ফেব্রুয়ারী, বাংলা ভাষা নিয়ে উদ্বেল হওয়ার দিন। কবিতায়, ছবিতে বাঙালি তার গৌরব মনে করবে, খালি ভুল করেও মনে করবে না, কাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বাংলা মিডিয়াম স্কুল গুলো বন্ধের মুখে, কেন বাঙালী শ্রমিক পরিযায়ী হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লী ব্যাঙ্গালোর এর বস্তি তে, বাংলাদেশি তকমায় কোন বাঙালি আক্রান্ত হচ্ছে, জেল খাটছে, খুন হয়ে যাচ্ছে হরিয়ানা, রাজস্থানে? ২১ শে ফেব্রুয়ারীর মাটি প্রশ্ন করতে চাইবে না, কেন ঢাকার মাটিতে ২০২৫ এ লেগে থাকে আদিবাসী মেয়ের চাপ চাপ রক্ত?আসলে বাংলা ভাষার এটাও একটা মজা, বাঙালি মেরেও জয় বাংলা বলে যাওয়া যায়। তাহলে কি সিপিএমের তরুণ প্রজন্ম বাংলামুখী? বাংলা জাতীয়তাবাদী? উর্দুভাষী মহঃ সেলিমের চাপেই কি দলের মধ্যে উন্মুক্ত বাক্য প্রকাশে কোণঠাসা? নাকি ভোটের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদকেই তারা অস্ত্র হিসেবে বেছে নিচ্ছে? প্রশ্ন অনেক। সামনে এখনও অনেক পথ চলা।

Read More

রাজ্য সঙ্গীতে ‘বাংলা’ ফিরে এল ‘বাঙালি’ তে

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, কলকাতা: ২০২৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় রাজ্য সঙ্গীতের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নিয়েছিলেন। বাংলার রাজ্য সঙ্গীত হবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এই গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বাঙালি’ শব্দটির বদলে ‘বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কেউ বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা পরিবর্তন করা অনুচিত। সেই বিতর্কের নিরসন করে সোমবার ১৭ তারিখ রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানটির কোন স্তবকটি গাওয়া হবে। গানটির প্রতিটি শব্দ অক্ষুন্ন রেখেই গাওয়া হবে অর্থাৎ ‘বাংলা’ শব্দের বদলে ‘বাঙালি’। এক মিনিট সময়ের মধ্যে সেটি গাওয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। এছাড়া আরো বলা হয়েছে যে, রাজ্য সঙ্গীত চলাকালীন উঠে দাড়ালে ভাল। মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্য সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হবে, ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল- পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।। বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন— এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান।’

Read More

বাংলার ভোটার লিস্টে ঢুকছে বিহারি ভোটার, বাংলা পক্ষর দাবিকে সমর্থন মুখ‍্যমন্ত্রীর

১৩ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: গতকাল বাজেট অধিবেশনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে অনলাইনে ভোটার লিস্টের নাম তোলার মাধ‍্যমে বিপুল সংখ‍্যক বিহার থেকে বহিরাগত ভোটার ঢোকানো হচ্ছে। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার লিস্টে এত সংখ‍্যক ভোটার বিশেষ রাজ‍্য থেকে ঢোকানো বিজেপির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই তিনি মনে করেন।প্রশ্ন উঠছে মুখ‍্যমন্ত্রী কি বাংলা পক্ষর দাবিতেই শিলমোহর দিলেন ?বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছে পার্শ্ববর্তী বিহার, ঝাড়খণ্ড, ইউপির অনেকের এরাজ‍্যেও ভোটার কার্ড আছে। এরাই বাংলার ভোটের সময় বিজেপির পক্ষে এরাজ‍্যে ভোট দেয় আবার এই ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড ব‍্যবহার করে রাজ‍্য সরকারের স্বাস্থ‍্যসাথী, গতিধারা,কন‍্যাশ্রীর মত প্রকল্পে ভাগ বসায়। এভাবেই এরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পায়, সবুজসাথীর সাইকেল পায় আবার আধাসেনায় রাজ‍্য কোটায় চাকরিও পায়। বাংলা পক্ষ দ্বৈত ভোটারকার্ডধারীদের চিহ্নিত করে বাংলার ভোটার কার্ড বাতিলের দাবি করছে দীর্ঘদিন।ভোটার সংখ‍্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা বিজেপির লাভ হচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে, সেটা সদ‍্য সমাপ্ত দিল্লী বিধানসভা বা মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রতিফলিত। দিল্লীতে শেষ পাঁচ মাসে চার লক্ষ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছিল যা দিল্লীর মোট ভোটার সংখ‍্যার প্রায় ৪ শতাংশ, দিল্লীতে বিজেপির থেকে আপের ভোট শতাংশের পার্থক‍্য দুই শতাংশ মাত্র। এই তথ‍্যেই পরিষ্কার কোথায় কারচুপি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে এই বৃদ্ধির সংখ‍্যা ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ।বাংলাতেও এই একই পদ্ধতিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে দিল্লীর শাসক, বলে মনে করছেন মুখ‍্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন বাংলা স্বাধীনতার মাটি, এখানে এসব করা যাবে না, প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

Read More

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ স্কোয়াড থেকে বাদ জসপ্রিত বুমরাহ

১২ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সম্ভাবনা একটি বড় ধাক্কা খেল। ভারতের নাম্বার ওয়ান পেস বলার জাসপ্রিত বুমরাহ মঙ্গলবার টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছেন। গত মাসে সিডনিতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ টেস্টের সময় বুমরাহ পিঠের নিচের অংশে চোট পেয়েছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি মাঠের বাইরে ছিলেন। নির্বাচকরা ১৫ সদস্যের দলে তার বদলি হিসেবে পেসার হর্ষিত রানাকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হলেও ভারতের খেলা হবে দুবাইয়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ, ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান এবং ৩ মার্চ নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা।

Read More

বড় বাজারে হাজির ১৫ কেজি ওজনের বিশাল কাতলা

৯ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: কলকাতায় বড়বাজারের প্রবেশ মুখ গিরিশ পার্কে ‘মাছ-ভাত’ উৎসব পালন করল বাংলা পক্ষ। রাস্তায় বসেই বিশাল ১৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ কাটা হয় । শুধু একটি মাছ নয়,আরো প্রচুর মাছ রাস্তাতেই কাটা হয়। শুটকি মাছও রান্না হয় বাংলা পক্ষর তরফে। বাংলা পক্ষর আয়োজনে মাছ-ভাত খেলো হাজারও বাঙালি। বাংলা পক্ষর ‘মাছ-ভাত’ উৎসব থেকে তীব্র আক্রমণ শানানো হয় বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে । সম্প্রতি বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত কলকাতা পুরসভায় খোলা বাজারে মাছ মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। যুক্তি দিয়েছিলেন মাছের গন্ধে গা ঘিনঘিন করে। মাছ মাংস থেকে পরিবেশ দূষণ ছড়ায়। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সারা ভারতে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করার ডাক দেন। এরই প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ এদিন ‘মাছ-ভাত’ উৎসবের ডাক দেয়। বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান,”আজ গিরিশ পার্কে মাছ-ভাত উৎসব পালন করল বাংলা পক্ষ, আগামী দিনে সারা বড় বাজার জুড়ে মাছ-ভাত উৎসব পালন হবে। বাঙালি আজ গুজরাটে গিয়ে, মধ্যপ্রদেশে গিয়ে, রাজস্থানে গিয়ে বলতে পারবে ওরা ওখানে কি খাবে ? তা নিয়ে মতামত দিতে পারবে ? তাই বাঙালিও বহিরাগতদের কথায় মাছ খাওয়া এবং বিক্রি বন্ধ করবে না। কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের সমস্যা হলে তিনি তার নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে পারেন।”বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি হুংকার দিয়ে বলেছেন, “কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত বা আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বাংলার সংস্কৃতির বিরোধী মন্তব্য করেছেন। সেটার পালটা হিসেবেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে।” এদিনের বাংলা পক্ষর ‘মাছ-ভাত’ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনন মন্ডল, সম্রাট কর, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, আব্দুল লতিফ, সৌম্য কান্তি ঘোরই এবং মহম্মদ সাহিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায় , বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য কুমার নাথ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল,নদিয়ার জেলা সম্পাদক মধুসূদন ঘোষ, পুরুলিয়ার জেলা সম্পাদক আজিম শেখ ও বাংলা পক্ষর আরো অনেক সদস্য।

Read More