নিজস্ব সংবাদদাতা

WBCS এ বাংলা বাধ্যতামূলক করেও সরকার পিছু হটল কেন? দাবিতে বাংলাপক্ষ’র মহামিছিল

২৯ জুন, ২০২৫ কলকাতাঃ পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলা বাধ্যতামূলক করেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন পিছু হটল? কেন হিন্দি-উর্দুকে সরিয়ে দিয়ে দিয়ে আবার ঢোকানো হল? কোন শক্তির চাপে? প্রতি রাজ্যের সিভিল সার্ভিসসহ রাজ্য সরকারি পরীক্ষায় সেই রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম কেন? এই দাবি নিয়ে আজ বাংলাপক্ষ’র মহামিছিল হয় কলকাতার রবীন্দ্র সদনের নিকটবর্তী একুশে উদ্যান থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত। বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাপক্ষ’র সহযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের আগমন ঘটে এই মিছিলে। সাধারণ বাঙালি স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে এই মিছিলে যোগ দেয়। বেলা চারটেয় মিছিল শুরু হয়। বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন বাংলাপক্ষ’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য রজত ভট্টাচার্য, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,সম্রাট কর,মহম্মদ সাহিন, মনন মন্ডল, সৌম্যকান্তি ঘড়ুই, মনোজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ আব্দুল লতিফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাপক্ষ’র বিভিন্ন জেলার জেলা সম্পাদক, সদস্য ও সহযোদ্ধাগণ। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি প্রমাণ করে বাংলায় সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত চাকরির পরীক্ষায় সাধারণ বাঙালির সমর্থন আছে। অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন-‘ প্রতি রাজ্যে যা সত্য তা বাংলায় নয় কেন? বাংলা সরকার WBCS এ বাংলা বাধ্যতামূলক করার গেজেট প্রকাশ করেও কেন পিছু হটল?’ তিনি আরও বলেন-‘ বাংলার বিরোধী দলগুলি এই বিষয়ে চুপ কেন? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন উর্দু সংযুক্তির জন্য সওয়াল করেন? তাদের বাংলার প্রতি কি কোন দায়বদ্ধতা নেই।’ সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন-‘ ভোটের সময় বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, আর ভোট ফুরোলে বাংলার মেয়ে হিন্দি-উর্দু কেন চায়? এই সমস্যার সমাধান না হলে এই ইস্যুতে পরবর্তীতে আন্দোলন আরও জোরদার হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Read More

কলকাতা ফুটবল লীগে (CFL) প্রতিটা দলে ৫ জন নয়, কমপক্ষে ৯ জন ভূমিপুত্র ফুটবলারের দাবিতে IFA এর সামনে বাংলা পক্ষর বিক্ষোভ

২২ মে,কলকাতা : সম্প্রতি The Indian Football Association (W.B.) নিয়ম করেছে যে ক্যালকাটা ফুটবল লীগে প্রতিটা দলে ৫ জন বাংলার ফুটবলার খেলাতে হবে।বাংলা পক্ষর দাবি – কলকাতা ফুটবল লীগে (CFL) প্রতিটা দলে ৫ জন নয়, কমপক্ষে ৯ জন বাংলার ভূমিপুত্র ফুটবলার চাই। বরং বলা ভালো ২ জনের বেশি বহিরাগত খেলানো যাবে না।এছাড়া অনেকে ভিন রাজ্যের ফুটবলার ঠিকানা জালিয়াতি করে বা আধার কার্ড জালিয়াতি করে বাংলার ভূমিপুত্র ফুটবলার হিসাবে খেলে।আধার কার্ড জালিয়াতি করলে সেই ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সেই ক্লাবকে ব্যান করতে হবে। এই দাবি নিয়েই আজ IFA অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী করলো ও ডেপুটেশন দিল বাংলা পক্ষ। নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়৷ সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাইরের রাজ্যের ফুটবলার খেলালে এখানকার ফুটবলাররা ভালো খেলা শিখবে। এগুলো হাস্যকর যুক্তি। গত ৩০ বছর ধরে একই যুক্তি শুনছি এবং এভাবেই বাইরের ফুটবলার খেলানো হচ্ছে। এতে বাঙালির ফুটবলের উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হচ্ছে। বাঙালি ফুটবলাররা চান্স পাচ্ছে না৷ যখন শুধুমাত্র বাংলার ফুটবলাররাই খেলতো তখন বাংলা প্রায় প্রতিবার সন্তোষ ট্রফি জিততো এবং ভারতীয় টিমে কমপক্ষে ৭-৮ জন বাঙালি ফুটবলার খেলতো৷ বর্তমানে ISL এ বাঙালি বঞ্চিত, কলকাতা ডার্বিতে বাঙালি নেই। এরপর কি CFL এও বাঙালি থাকবে না? বাঙালি ফুটবলাররা চান্স না পেলে খেলবে কেন? বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে এবং বাঙালি তথা ভূমিপুত্র ফুটবলার তুলে আনতে IFA কে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।” সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, “ক্রীড়াক্ষেত্রে ডোমিসাইল দুর্নীতি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা ক্রিকেট হোক বা ফুটবল- সর্বত্রই এক সমস্যা। আধার কার্ড জালিয়াতি করে বা ঠিকানা জালিয়াতি করে বাংলার ফুটবলার হিসাবে খেলছে ভিন রাজ্যের ছেলেরা। IFA কর্তাদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ফুটবলারদের স্কুল সার্টিফিকেট যাচাই করতে হবে এবং SDO দের ইস্যু করা ডোমিসাইল সার্টিফিকেট চাই। বাংলার ছেলেমেয়েদের জায়গায় ঠিকানা জালিয়াতি করে বাইরের ছেলেমেয়েদের খেলা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। বাংলার ক্রিকেটেও এই সমস্যা চূড়ান্ত। সেখানেও আমরা গত ৭ বছর লড়ছি।” শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী বলেন, “আমরা জানি কলকাতা ময়দান দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে গেছে। বাইরের প্লেয়ার নিয়ে আসে যাতে চুক্তি ভ্যালুর থেকে কম টাকা প্লেয়ারদের দিয়ে সেই টাকা দুর্নীতি করা যায়। একটা চক্র কাজ করছে যারা টাকা নিয়ে বাইরের রাজ্যের বা বাইরের রাষ্ট্রের ফুটবলার খেলাচ্ছে টাকার বিনিময়ে। বাংলার ফুটবলের স্বার্থে বাঙালি, সাঁওতাল, লেপচা সহ ভূমিপুত্র ফুটবলার খেলাতে হবে।

Read More

হাড়োয়ার হামাদামা বাজারে বাংলা পক্ষের সভা: ভূমিপুত্র সংরক্ষণ ও বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি

হাড়োয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, ১১ মে: ১১ই মে সন্ধ্যেবেলা উত্তর চব্বিশ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভার অন্তর্গত হামাদামা বাজারে বাংলা পক্ষ আয়োজিত একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য মহম্মদ সাহীন, জেলা সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার,সহ সম্পাদক বিরাজ সর্দার সহ একাধিক স্থানীয় কর্মী ও সমর্থক। সভায় মূলত তিনটি দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়—হামাদামার তেলের খনিতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের চাকরির অধিকার নিশ্চিত করা, রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ভূমিপুত্র সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করা এবং বাংলার সব বিদ্যালয় ও সরকারি চাকরিতে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা। গর্গ চ্যাটার্জি বলেন, “বাংলার মাটিতে, বাংলার সম্পদে, আগে বাংলার ছেলেমেয়েরা কাজ পাবে—এই ন্যায্য দাবি আমরা জানাচ্ছি। তেলের খনিতে বহিরাগতদের নয়, স্থানীয় যুবকদেরই অগ্রাধিকার দিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই বাংলার প্রতিটি স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হোক। বাংলা ভাষার প্রতি অবহেলা আমরা আর সহ্য করব না।” কৌশিক মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলার বাইরে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যেভাবে আক্রমণ চলছে, তাতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার নির্বিকার। আমরা চাই এর অবিলম্বে অবসান হোক এবং পরিযায়ী বাঙালিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।” স্থানীয় মানুষদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং জোরালো স্লোগানে সভা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। বাংলা পক্ষ জানিয়েছে, এই দাবিগুলি পূরণের জন্য আগামী দিনে জেলাজুড়ে আরও কর্মসূচি নেওয়া হবে।

Read More

বিজেপি শাসিত নানা রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের আক্রমণের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের সালারে বাংলা পক্ষর সভা

মুর্শিদাবাদ, ০১-০৫-২০২৫ : দাঙ্গা কবলিত মুর্শিদাবাদের মাটিতে দাঙ্গাবিরোধী বার্তা দিতে এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যে (ওড়িষ্যা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ইত্যাদি রাজ্যে) বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থা করার প্রতিবাদ জানিয়ে মুর্শিদাবাদের সালারে সভা করলো বাংলা পক্ষ। বাংলার নানা জেলার শ্রমিকরা বিজেপি শাসিত নানা রাজ্যে আক্রান্ত হচ্ছে। মার খেয়ে বাড়ি ফেরত আসছে। অথচ বাংলায় পর্যাপ্ত কাজ আছে। বাংলায় বাঙালিকে কাজ ও চাকরিতে নেওয়া হয় না। বাংলায় কাজ আছে, বাঙালির কাজ নেই। বিহার দিবসের অনুষ্ঠানে আসানসোলে বসে বিহারের মধুবনীর বিজেপির সাংসদ বলেছে, বাংলায় ২ কোটি বিহারের লোক কাজ করছে। বাংলার শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক বিধানসভায় বলেছেন যে বাংলার ২১ লাখ শ্রমিক বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গেছে এবং বাইরের রাজ্য থেকে বাংলায় দেড় কোটি মানুষ কাজ করতে এসেছে। বাংলায় কাজ থাকলেও বাঙালি অন্য রাজ্যে গিয়ে মার খাচ্ছে। এর সমাধান হল চাকরি ও কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ৷ বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিতে লড়াই করছে। বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী। বিজেপি যেখানেই ক্ষমতায় সেখানে বাঙালি শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছে। দিল্লিতে বাঙালির মাছের দোকানও আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর৷ ওড়িষ্যাতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই বাঙালিকে মারধোর শুরু হয়েছে। ওড়িষ্যা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের আক্রমণের বিরুদ্ধে ভরতপুর বিধানসভার সালারে গর্জে উঠলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পরিষ্কার বলেন, “বাঙালি শ্রমিকরা বাইরের রাজ্যে মার খাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী চুপ কেন? সরকার কি ব্যবস্থা করছে। অন্য রাজ্যের লোকজন বাংলায় লুটেপুটে খাচ্ছে৷ অথচ রাজ্য সরকার ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু করছে না কেন?” তিনি আরও বলেন, “হিন্দু হোক বা মুসলমান, দাঙ্গা করলেই ডাণ্ডা দিন। বাংলায় কোনো দাঙ্গা চলবেনা। হিন্দু- মুসলিম এক হয়ে বাঙালি হিসাবে লড়তে হবে।” সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বাংলার শিল্পাঞ্চল গুলোয় বাঙালির কর্ম সংস্থানের দাবি করেন। তিনি বলেন, “শিল্প হয় কোনো এলাকার কর্ম সংস্থানের জন্য। বাইরের রাজ্যের লোককে খাওয়াতে না। “বাংলা নিজের মেয়েকে চায়” স্লোগানে সাড়া দিয়ে বাঙালি ভোট দিয়েছিল নিজের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের স্বার্থে। সরকার বিহার- ইউপি- ঝাড়খন্ড- ওড়িষ্যার ছেলেমেয়েদের বাংলায় কাজ দিচ্ছে এবং বাঙালি বাধ্য হয়ে অন্য রাজ্যে গিয়ে মার খাচ্ছে।” এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য ডাঃ আব্দুল লতিফ ও নুরুল হাসান। জেলা সম্পাদক অরিন্দম চন্দ্র জানান যে বাংলা পক্ষ দ্রুত মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করবে এবং কলকাতায় বড় সভা হবে।

Read More

শুভেন্দু-মমতার গোপন খেলা ? দিশাহারা বিজেপি কর্মীরা

কলকাতা,এপ্রিল ২০: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট যত কাছে আসছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির মঞ্চে যেন এক রহস্যময় নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। গোপন সূত্রে এমন কিছু খবর উঠে এসেছে, যা জানলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।সামনে যা দেখা যাচ্ছে, তার আড়ালে নাকি চলছে এক চমকপ্রদ গোপন চুক্তি। চব্বিশের লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর, নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে এক গোপন বৈঠক হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। রাজনৈতিকভাবে একে অপরের চরম বিরোধী বলেই পরিচিত এই দুই নেতা একান্তে আলোচনা করেছেন—এমনটাই দাবি নির্ভরযোগ্য সূত্রের।এই বৈঠকে কী ঠিক হয়েছে ? দুইটি বড় পরিকল্পনা :১. শুভেন্দু অধিকারী হয়তো ভবিষ্যতে একটি নতুন দল গড়বেন। ২.না হলে, বিজেপির ভেতর থেকেই তাকে দুর্বল করার কাজ করবেন।এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য কি ? রাজ্যে বিজেপির বৃদ্ধির পথ আটকে রাখা এবং তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করা।অভদ্র ভাষা—কৌশলের অংশ ?শুভেন্দু অধিকারী ভোটের ময়দানে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন, তাতে অনেকেই চোখ কুঁচকেছেন। শিক্ষিত, ভদ্র সমাজ শুভেন্দুর এই ভাষা শুনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু এটা কি সত্যিই মেজাজের বহিঃপ্রকাশ, না কি পরিকল্পনার অংশ?সূত্র বলছে—এটাই পরিকল্পনা! শুভেন্দুর আক্রমণের ভঙ্গি এমন রাখা হয়েছে, যাতে তিনি নিজেই সাধারণ মানুষের চোখে “নেগেটিভ” হয়ে পড়েন। ফলে যারা বিজেপির দিকে ঝুঁকছিলেন, তারাও আবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। মুসলিম ভোট—এককভাবে তৃণমূলের দিকে ঠেলার খেলা বাংলার প্রায় প্রতি তিন জন্যে এক জন মুসলিম ভোটার। তাদেরকে কেন্দ্র করেই নাকি আরেকটি বড় কৌশল সাজানো হয়েছে। শুভেন্দুর মুখ দিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘জিহাদী’, ‘দেশদ্রোহী’ বলা হচ্ছে—যাতে সংখ্যালঘু ভোটারদের মনে ভয় ঢুকে যায় এবং তারা একযোগে তৃণমূলকেই ‘সেইফ’ অপশন হিসেবে বেছে নেয়।এ যেন মেরুকরণেরও এক নতুন পাঠ! বিজেপিকে বাইরে থেকে নয়, ভিতর থেকে ধসানো বিজেপি যেন বাইরে থেকে নয়, নিজের ঘর থেকেই ভেঙে পড়ছে—এমন চিত্র তৈরি করতেই আরও একটি চতুর খেলা। শুভেন্দু অধিকারী সারা দিন মিডিয়ায় নানা রকম জ্বালাময়ী কথা বলছেন, কিন্তু সংগঠনের বাস্তব কাজ থেকে দূরে থাকছেন। এর ফলে বিজেপির মাঠের কর্মীরা দিশাহীন হয়ে পড়ছেন, নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে—এবং দলে ক্রমেই আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা। কেন এমন করছে শুভেন্দু ?শুভেন্দু অধিকারীর নামে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও অমিত শাহের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর ভর করে বিজেপিতে নিজের জায়গা করেছিল একুশ এর নির্বাচনের পর। ২০২৪ এ লোকসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচন থেকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর লোকসভায় বিজেপির ফল ভালো না হওয়ায় শুভেন্দুর ওপর ক্ষুদ্ধ আরএসএস। আরএসএসের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই কি বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একঘরে শুভেন্দু ? আর সেই জন্যই কি তার সম্বন্ধে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরী হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ? উঠছে প্রশ্ন। সবশেষে বলা যায়, রাজনীতিতে কৌশল নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন তা এতটা গোপন, এতটা সুপরিকল্পিত ও এতটাই নাটকীয় হয়—তখন প্রশ্ন উঠে যায় মানুষের মনে। সত্যিই কি বিরোধী দলনেতা নিজের দলেরই ক্ষতি করছেন? সত্যিই কি সব কিছু আগে থেকেই ঠিকঠাক চিত্রনাট্য মেনে চলছে? উত্তর সময়ই দেবে। কিন্তু এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা নিঃসন্দেহে বাংলার রাজনীতিকে আরও রহস্যময় ও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।

Read More

প্রতিবাদ নয়, এ এক দায়িত্ব !

কলকাতা,১৭ এপ্রিল: আজকাল বাজারে যাওয়ার আগে হিসেব কষতে হয় —দুধের দাম বেড়েছে, চালের দাম বেড়েছে, তেল তো আকাশ ছুঁই ছুঁই।তার ওপরে GST জুড়ে জিনিসের উপর জিনিসের দাম সরকারি নিয়মেই বাড়ানো হয়েছে।একটা টুথব্রাশ কিনলেও GST, একটা কলম কিনলেও GST।এতো গেলো রাষ্ট্রের খরচের খাতা। আমরা মেনে নিই।কিন্তু এরপরে যদি দোকানদার নিজের ইচ্ছেমতো আবার এক টাকা দু’টাকা করে MRP-এর ওপরে নেয়, তাহলে সেটা তো শুধু আইনভঙ্গ নয়, চূড়ান্ত নৈতিক অপরাধ —ভোক্তাকে গরু ভেবে চামড়া তুলে নেওয়ার মতো।নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি , এক টাকার গল্প নয়, এটা ন্যায়বিচারের প্রশ্ন!প্রতিদিনের মতোই একটা সাধারণ দিন। রাত্রে বাড়ি ফেরার পথে নিকটবর্তী এক দোকানে গিয়েছিলাম দুধ কিনতে।ছোট্ট এক প্যাকেট — Amul Shakti Milky Milk, ৫০০ মিলি। দামটা প্যাকেটে স্পষ্ট লেখা — ₹৩১। অথচ দোকানদার আমার থেকে ₹৩২ নিল।আমি জিজ্ঞেস করলাম, “এক টাকা বেশি নিচ্ছেন কেন কাকু ?”প্রথমে দোকানদার বললেন, ‘দুধ তো অনেক দূর থেকে আসে, তাই এক টাকা বেশি দিতেই হবে।’ যেন দূরত্বের নামে গায়ে চাপিয়ে দিলেন অতিরিক্ত মূল্য! অথচ আমি জানি নিকটবর্তী এক জায়গায় আছে আমুলের আউটলেট, সেখান থেকেই প্রতিদিন সরবরাহ হয়। ধরা পড়তেই বললেন, “নাহলে অন্য কোম্পানির দুধ নেন”—মানে ভুলটা আমার, প্রতিবাদ করাটাই যেন অপরাধ!”বললাম, “MRP তো লেখা আছে ₹৩১।”উনি হাসলেন, বিরক্ত হলেন, বললেন, “ভালো না লাগলে অন্য কোম্পানির নিন। না হলে না নিন। আমাদের নিয়ম এরকম।”এটা শুধু একদিন না — এই দোকানে আমি বহুবার দেখেছি, কখনো বিস্কুট, কখনো সাবান, কখনো দুধ — এক টাকা, দুই টাকা করে বেশি নেয়া হয়। তখন চুপ করে থেকেছি। ভাবতাম, এক টাকা গেলে কি আসে যায়?এক টাকা বেশি দিলে কি এমন হয়?হয়তো কিছুই হয় না।হয়তো আমরা ভাঙতি নিয়ে কিছু বলি না, দোকানদার একটু বেশি রাখলেও চুপ করে থাকি।কারণ, আমরা ছোটখাটো মানুষ — কনফ্লিক্ট এড়াই, ঝামেলা এড়াই।এটা তো সরাসরি MRP-এর নিয়ম লঙ্ঘন।কিন্তু এটা তো এক ধরনের “চুপি চুপি ঠকানো” — দিনের পর দিন।একটা কথা পরিষ্কার করে বলি — আমি এক টাকার জন্য লড়ছি না, আমি লড়ছি অধিকারের জন্য।কারণ, যদি ১০০ জন প্রতিদিন এক টাকা করে ঠকে, তাহলে সেটা একটা প্যাটার্ন।আর এই প্যাটার্ন-টাই ভয়ঙ্কর — কারণ আমরা ভাবি, “ছোট জিনিস”, আর এই “ছোট জিনিস”-এর মধ্য দিয়েই আমাদের অধিকার ছোট হয়ে যায়।অনেকেই বলবে,“দেশে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে, তুমি এক টাকার জন্য এত সিরিয়াস কেন?”তাদের জন্য আমি বলবো – যে জাতি নিজের এক টাকার অধিকার রক্ষা করতে পারে না, সে জাতির কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি আসে না।প্রতিবাদ শেখে না।অসন্তোষ বোঝে না।অন্যায়কে মেনে নেওয়ার অভ্যেস গড়ে তোলে। আমি জানি, হয়তো কেউ আমল দেবে না।হয়তো আমার অভিযোগ খুব দূর যাবে না।তবুও বলছি — কারণ একটা আদর্শ তৈরি হওয়া দরকার।যে কেউ যেন দোকানে গিয়ে বলার সাহস রাখে — “ভাই, MRP-এর বেশি নেওয়া যায় না।”প্রতিদিন শত শত দোকান, হাজার হাজার ভোক্তার কাছ থেকে এক টাকা করে বেশি নেয়। এবং এই ‘এক টাকা’ গুলো একদিন কোটি টাকার ঠকানোয় পরিণত হয়।এটা সরাসরি আইনের লঙ্ঘন।এটা Section 36 of the Legal Metrology Act, 2009 অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ — যার জন্য ₹২৫,০০০ থেকে ₹১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে জেল পর্যন্ত হতে পারে।আর যদি আপনি চুপ থাকেন —তাহলে আপনি নতুন প্রজন্মকে শেখাচ্ছেন, অন্যায় মেনে নিতে।তাহলে আপনি একজন সচেতন নাগরিক নন, আপনি নিজেই নিজের অধিকার ধ্বংস করছেন।“একটা টাকা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো ঠকানোর মানসিকতা। আর এই মানসিকতা থামানো দরকার—আমার, আপনার, আমাদের সবার।”কলমে – সাহিনা খাতুন

Read More

বাংলা ভাষা, ভূমিপুত্রের অধিকার ও কর্মসংস্থান রক্ষায় মালদায় বাংলা পক্ষের তিন দফা দাবি পেশ

মালদা,১৭ এপ্রিল: বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি এবং ভূমিপুত্রদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার রক্ষার দাবিতে বরাবরের মতোই সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করল ‘বাংলা পক্ষ’। আজ পুরাতন মালদা পৌরসভা এলাকায় সংগঠনের মালদা জেলা শাখার পক্ষ থেকে পৌরপ্রধান মাননীয় কার্তিক ঘোষের কাছে একটি তিন দফা দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদলের তরফে জানানো হয়েছে, এই দাবিগুলি মূলত ভাষা, কর্মসংস্থান ও জীবিকার নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে গঠিত। তাদের মতে, বহিরাগত প্রভাবের কারণে স্থানীয় বাঙালি যুবসমাজ আজ কর্মহীনতার মুখে পড়ছে, আর বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষাও চাপে পড়েছে। তিন দফা দাবির সারমর্ম : ১. বাংলা ভাষার বাধ্যতামূলক ব্যবহার :পৌরসভার অধীনস্থ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, দোকান, সাইনবোর্ড ও বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। ২. স্থানীয় বাঙালিদের জন্য সংরক্ষণ :পৌরসভার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমস্ত ঠিকা প্রকল্প ও আউটসোর্সিংয়ের কাজে অন্তত ৯০% স্থানীয় বাঙালিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। ৩. ফুটপাত ও পার্কিং এলাকা পুনর্বিন্যাস :শহরের ফুটপাত ও পার্কিং এলাকাগুলি থেকে বহিরাগত দখলদারদের অপসারণ করে সেগুলিকে স্থানীয় ভূমিপুত্রদের মধ্যে ন্যায্য বণ্টনের দাবি তোলা হয়েছে। পৌরপ্রধানের প্রতিক্রিয়া :দাবিপত্র গ্রহণের পর মাননীয় পৌরপ্রধান কার্তিক ঘোষ জানান, তিনি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনেছেন এবং দাবি তিনটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচনা করছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী বোর্ড সভায় এই দাবিগুলি আলোচনা করে বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে বের করা হবে এবং আইন ও প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্য থেকেই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয়দের আশা, এই দাবিগুলির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা অটুট থাকবে, তেমনি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের প্রাপ্য অধিকারও রক্ষা পাবে।

Read More

মুর্শিদাবাদে দাঙ্গায় দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ও পুলিসি একশনের দাবিতে বাংলা পক্ষর মিছিল কলকাতার রাজপথে

এপ্রিল ১৫,কলকাতা: বাংলা পক্ষ দাঙ্গাবাজমুক্ত বাংলা চায়। মুর্শিদাবাদ সহ যেখানেই দাঙ্গা হবে সেখানেই পুলিসের গুলি চাই।পয়লা বৈশাখের পুণ্য লগ্নে বাংলা পক্ষ প্রতিবছর বাঙালির ব্যবসা উদযাপন করতে “টাকা মিছিল” করে। কিন্তু এ বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলা পক্ষ শপথ করছে, “দাঙ্গাবাজদের চামড়া, গুটিয়ে নেব আমরা”।এই দাবিতে কলকাতার রাজপথে মিছিল। বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।ভোটের অঙ্কে কোন সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় নয়, বাঙালির রক্তে ভোট গোনা না, আমরা চাই বাঙালির সহাবস্থানের বাংলা।বাংলা পক্ষ আশা, ভরসা, ভালোবাসার বাংলা চায়। যে বাংলায় ১০-১৫ বছরের ছেলে দাঙ্গায় যাবে না৷ পড়াশোনা করবে৷ আগামীতে চাকরি-কাজ- ব্যবসায় অধিকারের দাবিতে লড়বে।ধর্মীয় মৌলবাদ বাঙালির মধ্যে বিভাজন করে। কিন্তু বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি বাঙালিকে জোড়ে৷তাই রাজ্য দিবসে বাংলা পক্ষর শপথ, বাঙালিকে আমরা বাংলা ভাষার সূত্রে গাঁথবোই, ঐক্যবদ্ধ করবোই।মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী, সৌম্যকান্তি ঘোড়ই, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী সহ নানা নেতৃত্ব৷আবারও বাংলা পক্ষ সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়৷

Read More

ধর্মের নামে অশান্তি করলে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে : গর্গ চট্টোপাধ্যায়

৩ এপ্রিল ২০২৫, কলকাতা : আগামি ছাব্বিশ সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একদিকে আরেসেসের অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা ও অন্যদিকে জামাতি কট্টর মুসলিম মৌলবাদের উস্কানি ক্রমাগত চলছে। এই অবস্থায় যেকোনও সাধারণ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে বাংলায় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। প্রশাসন এই অবস্থায় কঠোর ও নিরপেক্ষ অবস্থান না নিলে বাংলা আরও বিপদে পড়বে। বাংলাপক্ষ’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বাংলাপক্ষ’র অবস্থান পরিষ্কার করেছে। গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্মের নামে অশান্তি করলে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাকে যারা অশান্ত করতে চাইবে তাদের কোনও প্রকার ধর্মীয় পরিচয় না দেখে কঠোর অবস্থান নিতে হবে প্রশাসনকে। কারণ এটা সভ্য বাংলা। এখানে কোনরকম অসভ্যতার ঠাঁই নাই।

Read More

শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক

০১ এপ্রিল, ২০২৫, কলকাতা: গত ৩০ মার্চ শিয়ালদহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরোনোর পথে এক ব্যক্তি এক বা একাধিক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বঙ্গপ্রহরী আপডেট্‌স নামক মিডিয়া চ্যানেলের এডিটর-ইন-চিফ বিক্রমাদিত্য রায়চৌধুরী ও তার চিত্র সাংবাদিক বোধিস্বত্ত্ব বোস ক্যানিং–শিয়ালদা লোক্যাল ট্রেনে ৫.৩০ মিনিটে স্টেশনে নেমে বের হওয়ার পথে ব্যাপারটি লক্ষ করেন এবং ঘটনাটি ভিডিয়ো করেন। শুধু তাই নয় এই নিয়ে তারা প্রতিবাদ করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও শ্লীলতাহানির শিকার মহিলাটিকে নিয়ে তারা আর পি এফ এর কাছে নিয়ে যান। একজন মহিলা আরপিএফ বিষয়টি সামাল দিতে তার সহকর্মী রজনীশ কুমারকে ডাকে। রজনীশ কুমার ঘটনাটি সঠিক পর্যবেক্ষণ না করেই শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা ও উপস্থিত জনতার ভিড়কে সরিয়ে দিতে উদ্যত হন এবং চেঁচাতে থাকেন। ফলত, শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা ও ভয় পেয়ে ভিড়ের সাথে চলে যান। এরপর রজনীশ কুমার তাদের আর.পি.এফ অফিসে নিয়ে যান। যাওয়ার পথে তিনি বিক্রমাদিত্য এবং তার সহকর্মীর সাথে ক্রমাগত খারাপ আচরণ ও বচসা করতে থাকেন। অফিসে পৌঁছানোর পর বিক্রমাদিত্য যখন ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলতে চায়, তখন অফিসারটি কথা না শুনে তাদের ধমক দেন ও অশালীন শব্দ ব্যবহার করেন। এরপর তিনি বিক্রমাদিত্যের উপর আক্রমণ করেন এবং তার চিত্র সাংবাদিকের মোবাইল ফোনটি ফেলে দেন। চিত্রসংবাদিক বোধিস্বত্ত্ব বোস আত্মরক্ষার জন্য আরপিএফের আচরণ ক্যামেরা বন্দী করছিল। বিক্রমাদিত্যকে সজোরে আঘাত করার ফলে রক্তক্ষরণ হয় এবং আঘাত প্রাপ্ত হন।বিক্রমাদিত্য রায়চৌধুরী এই বিষয়ে শিয়ালদা জিআরপির কাছে অভিযোগ করেন। নিজের কর্তব্য করতে গিয়ে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উলটে প্রতিবাদকারীকেই হেনস্থা হতে হচ্ছে। বাংলার স্টেশনে হিন্দিভাষী আরপিএফের এহেন আচরণ একবার নয়, বারবার চোখে পড়ছে। অথচ প্রশাসন নীরব। যদি এই ঘটনার বিহিত না হয়, বাংলাপক্ষ পথে নামার হুমকি দিয়েছে।

Read More