নিজস্ব সংবাদদাতা

শুভেন্দু-মমতার গোপন খেলা ? দিশাহারা বিজেপি কর্মীরা

কলকাতা,এপ্রিল ২০: ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট যত কাছে আসছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির মঞ্চে যেন এক রহস্যময় নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। গোপন সূত্রে এমন কিছু খবর উঠে এসেছে, যা জানলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।সামনে যা দেখা যাচ্ছে, তার আড়ালে নাকি চলছে এক চমকপ্রদ গোপন চুক্তি। চব্বিশের লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর, নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে এক গোপন বৈঠক হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। রাজনৈতিকভাবে একে অপরের চরম বিরোধী বলেই পরিচিত এই দুই নেতা একান্তে আলোচনা করেছেন—এমনটাই দাবি নির্ভরযোগ্য সূত্রের।এই বৈঠকে কী ঠিক হয়েছে ? দুইটি বড় পরিকল্পনা :১. শুভেন্দু অধিকারী হয়তো ভবিষ্যতে একটি নতুন দল গড়বেন। ২.না হলে, বিজেপির ভেতর থেকেই তাকে দুর্বল করার কাজ করবেন।এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য কি ? রাজ্যে বিজেপির বৃদ্ধির পথ আটকে রাখা এবং তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করা।অভদ্র ভাষা—কৌশলের অংশ ?শুভেন্দু অধিকারী ভোটের ময়দানে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন, তাতে অনেকেই চোখ কুঁচকেছেন। শিক্ষিত, ভদ্র সমাজ শুভেন্দুর এই ভাষা শুনে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু এটা কি সত্যিই মেজাজের বহিঃপ্রকাশ, না কি পরিকল্পনার অংশ?সূত্র বলছে—এটাই পরিকল্পনা! শুভেন্দুর আক্রমণের ভঙ্গি এমন রাখা হয়েছে, যাতে তিনি নিজেই সাধারণ মানুষের চোখে “নেগেটিভ” হয়ে পড়েন। ফলে যারা বিজেপির দিকে ঝুঁকছিলেন, তারাও আবার মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। মুসলিম ভোট—এককভাবে তৃণমূলের দিকে ঠেলার খেলা বাংলার প্রায় প্রতি তিন জন্যে এক জন মুসলিম ভোটার। তাদেরকে কেন্দ্র করেই নাকি আরেকটি বড় কৌশল সাজানো হয়েছে। শুভেন্দুর মুখ দিয়ে মুসলিমদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘জিহাদী’, ‘দেশদ্রোহী’ বলা হচ্ছে—যাতে সংখ্যালঘু ভোটারদের মনে ভয় ঢুকে যায় এবং তারা একযোগে তৃণমূলকেই ‘সেইফ’ অপশন হিসেবে বেছে নেয়।এ যেন মেরুকরণেরও এক নতুন পাঠ! বিজেপিকে বাইরে থেকে নয়, ভিতর থেকে ধসানো বিজেপি যেন বাইরে থেকে নয়, নিজের ঘর থেকেই ভেঙে পড়ছে—এমন চিত্র তৈরি করতেই আরও একটি চতুর খেলা। শুভেন্দু অধিকারী সারা দিন মিডিয়ায় নানা রকম জ্বালাময়ী কথা বলছেন, কিন্তু সংগঠনের বাস্তব কাজ থেকে দূরে থাকছেন। এর ফলে বিজেপির মাঠের কর্মীরা দিশাহীন হয়ে পড়ছেন, নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে—এবং দলে ক্রমেই আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা। কেন এমন করছে শুভেন্দু ?শুভেন্দু অধিকারীর নামে দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও অমিত শাহের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর ভর করে বিজেপিতে নিজের জায়গা করেছিল একুশ এর নির্বাচনের পর। ২০২৪ এ লোকসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচন থেকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর লোকসভায় বিজেপির ফল ভালো না হওয়ায় শুভেন্দুর ওপর ক্ষুদ্ধ আরএসএস। আরএসএসের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই কি বিজেপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একঘরে শুভেন্দু ? আর সেই জন্যই কি তার সম্বন্ধে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরী হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ? উঠছে প্রশ্ন। সবশেষে বলা যায়, রাজনীতিতে কৌশল নতুন কিছু নয়। কিন্তু যখন তা এতটা গোপন, এতটা সুপরিকল্পিত ও এতটাই নাটকীয় হয়—তখন প্রশ্ন উঠে যায় মানুষের মনে। সত্যিই কি বিরোধী দলনেতা নিজের দলেরই ক্ষতি করছেন? সত্যিই কি সব কিছু আগে থেকেই ঠিকঠাক চিত্রনাট্য মেনে চলছে? উত্তর সময়ই দেবে। কিন্তু এই মুহূর্তে যা ঘটছে, তা নিঃসন্দেহে বাংলার রাজনীতিকে আরও রহস্যময় ও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।

Read More

প্রতিবাদ নয়, এ এক দায়িত্ব !

কলকাতা,১৭ এপ্রিল: আজকাল বাজারে যাওয়ার আগে হিসেব কষতে হয় —দুধের দাম বেড়েছে, চালের দাম বেড়েছে, তেল তো আকাশ ছুঁই ছুঁই।তার ওপরে GST জুড়ে জিনিসের উপর জিনিসের দাম সরকারি নিয়মেই বাড়ানো হয়েছে।একটা টুথব্রাশ কিনলেও GST, একটা কলম কিনলেও GST।এতো গেলো রাষ্ট্রের খরচের খাতা। আমরা মেনে নিই।কিন্তু এরপরে যদি দোকানদার নিজের ইচ্ছেমতো আবার এক টাকা দু’টাকা করে MRP-এর ওপরে নেয়, তাহলে সেটা তো শুধু আইনভঙ্গ নয়, চূড়ান্ত নৈতিক অপরাধ —ভোক্তাকে গরু ভেবে চামড়া তুলে নেওয়ার মতো।নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি , এক টাকার গল্প নয়, এটা ন্যায়বিচারের প্রশ্ন!প্রতিদিনের মতোই একটা সাধারণ দিন। রাত্রে বাড়ি ফেরার পথে নিকটবর্তী এক দোকানে গিয়েছিলাম দুধ কিনতে।ছোট্ট এক প্যাকেট — Amul Shakti Milky Milk, ৫০০ মিলি। দামটা প্যাকেটে স্পষ্ট লেখা — ₹৩১। অথচ দোকানদার আমার থেকে ₹৩২ নিল।আমি জিজ্ঞেস করলাম, “এক টাকা বেশি নিচ্ছেন কেন কাকু ?”প্রথমে দোকানদার বললেন, ‘দুধ তো অনেক দূর থেকে আসে, তাই এক টাকা বেশি দিতেই হবে।’ যেন দূরত্বের নামে গায়ে চাপিয়ে দিলেন অতিরিক্ত মূল্য! অথচ আমি জানি নিকটবর্তী এক জায়গায় আছে আমুলের আউটলেট, সেখান থেকেই প্রতিদিন সরবরাহ হয়। ধরা পড়তেই বললেন, “নাহলে অন্য কোম্পানির দুধ নেন”—মানে ভুলটা আমার, প্রতিবাদ করাটাই যেন অপরাধ!”বললাম, “MRP তো লেখা আছে ₹৩১।”উনি হাসলেন, বিরক্ত হলেন, বললেন, “ভালো না লাগলে অন্য কোম্পানির নিন। না হলে না নিন। আমাদের নিয়ম এরকম।”এটা শুধু একদিন না — এই দোকানে আমি বহুবার দেখেছি, কখনো বিস্কুট, কখনো সাবান, কখনো দুধ — এক টাকা, দুই টাকা করে বেশি নেয়া হয়। তখন চুপ করে থেকেছি। ভাবতাম, এক টাকা গেলে কি আসে যায়?এক টাকা বেশি দিলে কি এমন হয়?হয়তো কিছুই হয় না।হয়তো আমরা ভাঙতি নিয়ে কিছু বলি না, দোকানদার একটু বেশি রাখলেও চুপ করে থাকি।কারণ, আমরা ছোটখাটো মানুষ — কনফ্লিক্ট এড়াই, ঝামেলা এড়াই।এটা তো সরাসরি MRP-এর নিয়ম লঙ্ঘন।কিন্তু এটা তো এক ধরনের “চুপি চুপি ঠকানো” — দিনের পর দিন।একটা কথা পরিষ্কার করে বলি — আমি এক টাকার জন্য লড়ছি না, আমি লড়ছি অধিকারের জন্য।কারণ, যদি ১০০ জন প্রতিদিন এক টাকা করে ঠকে, তাহলে সেটা একটা প্যাটার্ন।আর এই প্যাটার্ন-টাই ভয়ঙ্কর — কারণ আমরা ভাবি, “ছোট জিনিস”, আর এই “ছোট জিনিস”-এর মধ্য দিয়েই আমাদের অধিকার ছোট হয়ে যায়।অনেকেই বলবে,“দেশে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হচ্ছে, তুমি এক টাকার জন্য এত সিরিয়াস কেন?”তাদের জন্য আমি বলবো – যে জাতি নিজের এক টাকার অধিকার রক্ষা করতে পারে না, সে জাতির কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি আসে না।প্রতিবাদ শেখে না।অসন্তোষ বোঝে না।অন্যায়কে মেনে নেওয়ার অভ্যেস গড়ে তোলে। আমি জানি, হয়তো কেউ আমল দেবে না।হয়তো আমার অভিযোগ খুব দূর যাবে না।তবুও বলছি — কারণ একটা আদর্শ তৈরি হওয়া দরকার।যে কেউ যেন দোকানে গিয়ে বলার সাহস রাখে — “ভাই, MRP-এর বেশি নেওয়া যায় না।”প্রতিদিন শত শত দোকান, হাজার হাজার ভোক্তার কাছ থেকে এক টাকা করে বেশি নেয়। এবং এই ‘এক টাকা’ গুলো একদিন কোটি টাকার ঠকানোয় পরিণত হয়।এটা সরাসরি আইনের লঙ্ঘন।এটা Section 36 of the Legal Metrology Act, 2009 অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ — যার জন্য ₹২৫,০০০ থেকে ₹১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে জেল পর্যন্ত হতে পারে।আর যদি আপনি চুপ থাকেন —তাহলে আপনি নতুন প্রজন্মকে শেখাচ্ছেন, অন্যায় মেনে নিতে।তাহলে আপনি একজন সচেতন নাগরিক নন, আপনি নিজেই নিজের অধিকার ধ্বংস করছেন।“একটা টাকা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো ঠকানোর মানসিকতা। আর এই মানসিকতা থামানো দরকার—আমার, আপনার, আমাদের সবার।”কলমে – সাহিনা খাতুন

Read More

বাংলা ভাষা, ভূমিপুত্রের অধিকার ও কর্মসংস্থান রক্ষায় মালদায় বাংলা পক্ষের তিন দফা দাবি পেশ

মালদা,১৭ এপ্রিল: বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি এবং ভূমিপুত্রদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার রক্ষার দাবিতে বরাবরের মতোই সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করল ‘বাংলা পক্ষ’। আজ পুরাতন মালদা পৌরসভা এলাকায় সংগঠনের মালদা জেলা শাখার পক্ষ থেকে পৌরপ্রধান মাননীয় কার্তিক ঘোষের কাছে একটি তিন দফা দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদলের তরফে জানানো হয়েছে, এই দাবিগুলি মূলত ভাষা, কর্মসংস্থান ও জীবিকার নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে গঠিত। তাদের মতে, বহিরাগত প্রভাবের কারণে স্থানীয় বাঙালি যুবসমাজ আজ কর্মহীনতার মুখে পড়ছে, আর বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষাও চাপে পড়েছে। তিন দফা দাবির সারমর্ম : ১. বাংলা ভাষার বাধ্যতামূলক ব্যবহার :পৌরসভার অধীনস্থ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, দোকান, সাইনবোর্ড ও বিজ্ঞাপনে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। ২. স্থানীয় বাঙালিদের জন্য সংরক্ষণ :পৌরসভার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সমস্ত ঠিকা প্রকল্প ও আউটসোর্সিংয়ের কাজে অন্তত ৯০% স্থানীয় বাঙালিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। ৩. ফুটপাত ও পার্কিং এলাকা পুনর্বিন্যাস :শহরের ফুটপাত ও পার্কিং এলাকাগুলি থেকে বহিরাগত দখলদারদের অপসারণ করে সেগুলিকে স্থানীয় ভূমিপুত্রদের মধ্যে ন্যায্য বণ্টনের দাবি তোলা হয়েছে। পৌরপ্রধানের প্রতিক্রিয়া :দাবিপত্র গ্রহণের পর মাননীয় পৌরপ্রধান কার্তিক ঘোষ জানান, তিনি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে প্রতিনিধিদলের বক্তব্য শুনেছেন এবং দাবি তিনটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচনা করছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী বোর্ড সভায় এই দাবিগুলি আলোচনা করে বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে বের করা হবে এবং আইন ও প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্য থেকেই যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থানীয়দের আশা, এই দাবিগুলির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে যেমন বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা অটুট থাকবে, তেমনি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভূমিপুত্রদের প্রাপ্য অধিকারও রক্ষা পাবে।

Read More

মুর্শিদাবাদে দাঙ্গায় দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ও পুলিসি একশনের দাবিতে বাংলা পক্ষর মিছিল কলকাতার রাজপথে

এপ্রিল ১৫,কলকাতা: বাংলা পক্ষ দাঙ্গাবাজমুক্ত বাংলা চায়। মুর্শিদাবাদ সহ যেখানেই দাঙ্গা হবে সেখানেই পুলিসের গুলি চাই।পয়লা বৈশাখের পুণ্য লগ্নে বাংলা পক্ষ প্রতিবছর বাঙালির ব্যবসা উদযাপন করতে “টাকা মিছিল” করে। কিন্তু এ বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলা পক্ষ শপথ করছে, “দাঙ্গাবাজদের চামড়া, গুটিয়ে নেব আমরা”।এই দাবিতে কলকাতার রাজপথে মিছিল। বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।ভোটের অঙ্কে কোন সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় নয়, বাঙালির রক্তে ভোট গোনা না, আমরা চাই বাঙালির সহাবস্থানের বাংলা।বাংলা পক্ষ আশা, ভরসা, ভালোবাসার বাংলা চায়। যে বাংলায় ১০-১৫ বছরের ছেলে দাঙ্গায় যাবে না৷ পড়াশোনা করবে৷ আগামীতে চাকরি-কাজ- ব্যবসায় অধিকারের দাবিতে লড়বে।ধর্মীয় মৌলবাদ বাঙালির মধ্যে বিভাজন করে। কিন্তু বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি বাঙালিকে জোড়ে৷তাই রাজ্য দিবসে বাংলা পক্ষর শপথ, বাঙালিকে আমরা বাংলা ভাষার সূত্রে গাঁথবোই, ঐক্যবদ্ধ করবোই।মিছিলে নেতৃত্ব দেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী, সৌম্যকান্তি ঘোড়ই, শিল্পী পক্ষর অধিকর্তা প্রবাল চক্রবর্তী সহ নানা নেতৃত্ব৷আবারও বাংলা পক্ষ সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়৷

Read More

ধর্মের নামে অশান্তি করলে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে : গর্গ চট্টোপাধ্যায়

৩ এপ্রিল ২০২৫, কলকাতা : আগামি ছাব্বিশ সালের বাংলার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একদিকে আরেসেসের অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা ও অন্যদিকে জামাতি কট্টর মুসলিম মৌলবাদের উস্কানি ক্রমাগত চলছে। এই অবস্থায় যেকোনও সাধারণ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে বাংলায় দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। প্রশাসন এই অবস্থায় কঠোর ও নিরপেক্ষ অবস্থান না নিলে বাংলা আরও বিপদে পড়বে। বাংলাপক্ষ’র সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বাংলাপক্ষ’র অবস্থান পরিষ্কার করেছে। গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্মের নামে অশান্তি করলে পুলিসকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাকে যারা অশান্ত করতে চাইবে তাদের কোনও প্রকার ধর্মীয় পরিচয় না দেখে কঠোর অবস্থান নিতে হবে প্রশাসনকে। কারণ এটা সভ্য বাংলা। এখানে কোনরকম অসভ্যতার ঠাঁই নাই।

Read More

শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত সাংবাদিক

০১ এপ্রিল, ২০২৫, কলকাতা: গত ৩০ মার্চ শিয়ালদহ স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরোনোর পথে এক ব্যক্তি এক বা একাধিক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বঙ্গপ্রহরী আপডেট্‌স নামক মিডিয়া চ্যানেলের এডিটর-ইন-চিফ বিক্রমাদিত্য রায়চৌধুরী ও তার চিত্র সাংবাদিক বোধিস্বত্ত্ব বোস ক্যানিং–শিয়ালদা লোক্যাল ট্রেনে ৫.৩০ মিনিটে স্টেশনে নেমে বের হওয়ার পথে ব্যাপারটি লক্ষ করেন এবং ঘটনাটি ভিডিয়ো করেন। শুধু তাই নয় এই নিয়ে তারা প্রতিবাদ করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি ও শ্লীলতাহানির শিকার মহিলাটিকে নিয়ে তারা আর পি এফ এর কাছে নিয়ে যান। একজন মহিলা আরপিএফ বিষয়টি সামাল দিতে তার সহকর্মী রজনীশ কুমারকে ডাকে। রজনীশ কুমার ঘটনাটি সঠিক পর্যবেক্ষণ না করেই শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা ও উপস্থিত জনতার ভিড়কে সরিয়ে দিতে উদ্যত হন এবং চেঁচাতে থাকেন। ফলত, শ্লীলতাহানির শিকার মহিলা ও ভয় পেয়ে ভিড়ের সাথে চলে যান। এরপর রজনীশ কুমার তাদের আর.পি.এফ অফিসে নিয়ে যান। যাওয়ার পথে তিনি বিক্রমাদিত্য এবং তার সহকর্মীর সাথে ক্রমাগত খারাপ আচরণ ও বচসা করতে থাকেন। অফিসে পৌঁছানোর পর বিক্রমাদিত্য যখন ডিউটি অফিসারের সাথে কথা বলতে চায়, তখন অফিসারটি কথা না শুনে তাদের ধমক দেন ও অশালীন শব্দ ব্যবহার করেন। এরপর তিনি বিক্রমাদিত্যের উপর আক্রমণ করেন এবং তার চিত্র সাংবাদিকের মোবাইল ফোনটি ফেলে দেন। চিত্রসংবাদিক বোধিস্বত্ত্ব বোস আত্মরক্ষার জন্য আরপিএফের আচরণ ক্যামেরা বন্দী করছিল। বিক্রমাদিত্যকে সজোরে আঘাত করার ফলে রক্তক্ষরণ হয় এবং আঘাত প্রাপ্ত হন।বিক্রমাদিত্য রায়চৌধুরী এই বিষয়ে শিয়ালদা জিআরপির কাছে অভিযোগ করেন। নিজের কর্তব্য করতে গিয়ে বা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে উলটে প্রতিবাদকারীকেই হেনস্থা হতে হচ্ছে। বাংলার স্টেশনে হিন্দিভাষী আরপিএফের এহেন আচরণ একবার নয়, বারবার চোখে পড়ছে। অথচ প্রশাসন নীরব। যদি এই ঘটনার বিহিত না হয়, বাংলাপক্ষ পথে নামার হুমকি দিয়েছে।

Read More

ভুয়ো ভোটার কার্ড বাতিলের দাবিতে ও শিলিগুড়ির ফুটপাত সহ মহানন্দার চর থেকে বহিরাগত উচ্ছেদের দাবিতে বাংলা পক্ষর সভা শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে

শিলিগুড়ি,৩০ মার্চ: শিলিগুড়ির মাটি, চাকরি-কাজ-ব্যবসা দখল হয়ে গেছে। ভূমিপুত্রদের বঞ্চিত করে ফুটপাত থেকে বড় চাকরি ও কাজ সব দখল করছে বিহার-ইউপির লোকজন। শিলিগুড়িতে কয়েক লাখ এমন বহিরাগত আছে যাদের দু রাজ্যে ভোটার কার্ড। এমনকি ওরা মহানন্দার চর দখল করে খাটাল খুলেছে, পাকা বাড়ি বানিয়েছে।ভুয়ো ভোটার ধরার দাবিতে এবং যাদের দু রাজ্যে ভোটার কার্ড তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম মাঠে সভা করলো বাংলা পক্ষ।সভার উদ্যোক্তা শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা ও জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য রজত ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায় ও অন্যান্যরা। গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিলিগুড়ির মাটিতে বাগডোগরায় বিহার দিবসে “জ্যায় বিহার, জ্যায় বিহার” করে স্লোগান দিয়ে বাঙালিকে চমকাতে মিছিল করে ওরা। বিহারে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করে বিজেপি? উত্তর হল- করে না৷ কিন্তু বাংলায় ওরা বিহার দিবস করে৷ তাছাড়া শিলিগুড়িতে ক্রাইম করছে ওরা মানে বহিরাগতরা। ভুয়ো ভোটার কার্ডে ছেয়ে গেছে শিলিগুড়ি। তাই ওদের ভুয়ো ভোটার কার্ড বাতিল করতে হবে।” কৌশিক মাইতি বলেন, “মহানন্দ নদী শিলিগুড়ির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহানন্দার চর আসলে বিহার হয়ে গেছে। খাটাল, পাকা বাড়ি সব করেছে। পুরো শিলিগুড়ি বহিরাগতদের দখলে। বাঙালি, রাজবংশী ছেলে-মেয়েদের কাজ নেই। সব কিছুতে বিহার-ইউপির লোকজন৷ শিলিগুড়ির চাকরি ও কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই। মহানন্দার চর ও ফুটপাত থেকে বহিরাগতদের উচ্ছেদ করতে হবে।” রজত ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি- আর এস এস বাঙালি ও রাজবংশীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। কিন্তু বাংলা পক্ষ বাঙালি, রাজবংশী সহ প্রতিটা ভূমিপুত্রর স্বার্থে লড়ছে। জলপাইগুড়ির দোমোহনিতে দ্বিতীয় AIIMS, শিলিগুড়িতে মেট্রো এবং NJP কে কেন্দ্র করে লোকাল ট্রেনের দাবিতে লড়ছে বাংলা পক্ষ।”

Read More

বাংলা গান গাইলেন না: আক্ষেপ চিরঞ্জিতের

২৪ মার্চ, ২০২৫,কলকাতা : বলিউড এবং বিসিসিআই হিন্দি আগ্রাসনের পুরোধা, একথা আবারও প্রমাণ হল। ২২ মার্চ আইপিএল এর উদ্বোধন হল কলকাতায়। উদ্বোধনী গান গাইলেন বাঙালি বলিউডি গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। অনুষ্ঠানে শ্রেয়ার গানের তালিকায় ছিল ‘যুবা’, ‘মা তুঝে সালাম’, ‘রং দে বাসন্তী’, ‘ঘুমার’, ‘ঢোল বাজে’র মতো একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি গান। তেলেগু গানেরও ছোঁয়া পাওয়া গেল। বাংলার রাজধানী কলকাতায় উদ্বোধন হল, বাঙালি গায়িকা গান গাইলেন অথচ বাংলা গান হল না। বাংলাপক্ষ বারবার অভিযোগ করে বলিউড ও ক্রিকেট হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের পথিকৃৎ তা আবারও প্রমাণিত হল। এবার শুধু বাংলাপক্ষই নয় আপামর সাধারণ বাঙালির পক্ষ থেকেও উঠে এলো বিতর্ক। বাংলার বলিষ্ঠ অভিনেতা চিরঞ্জিত আক্ষেপ করে বললেন ‘ বাংলায় উদ্বোধন হল, গায়িকা নিজেও বাঙালি, একটা বাংলা গান গাইলেন না।’শ্রেয়া ঘোষাল একজন গায়িকা মাত্র। তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে গান করেন। সুতরাং কর্তৃপক্ষের কাছ যা আদেশ হয়েছে উনি তাই গেয়েছেন। এতে উনি দোষী নন। আসলে ভারতে হিন্দিকে অলিখিত ভাবে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার পুরানো পন্থা।

Read More

বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে ও রোহিঙ্গা ঢোকা বন্ধ করতে রাজারহাটে বাংলা পক্ষর বিএসএফ দপ্তর অভিযান

২২ মার্চ, ২০২৫, কলকাতা: আজ বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে রাজারহাটে বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের সদর দপ্তরে বাংলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে ডেপুটেশন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মূলত বিজেপি দাবি করে আসছে বাংলায় বিপুল পরিমাণে অবৈধ অনুপ্রবেশ হচ্ছে, মুসলমান বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গারা এই বাংলায় প্রচুর পরিমাণে প্রবেশ করে জনবিন্যাসের বদল ঘটাচ্ছে, ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়ছে। তাহলে কি বিজেপির মতে বিএসএফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ব্যর্থ? এই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতেই ও অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবিতে আজ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের দপ্তরে অভিযান করে বাংলা পক্ষ। গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন ” সীমান্তের দায়িত্বে রয়েছে বিএস এফ, যা আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। এই বিপুল পরিমাণে নিয়মিত অনুপ্রবেশের দায় বিএসএফ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এড়াতে পারেনা।” বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় ও সাংগঠনিক সম্পাদক তথা শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি বিএসএফের ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। ডেপুটেশনের পর কৌশিক মাইতি বলেন ” ডিআইজি জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে বর্ডারে নিরাপত্তা সম্পূর্ণভাবে সুনিশ্চিত। অন্তত এই বছর কোন বেআইনি অনুপ্রবেশকারী নেই সে অর্থে এবং এবছর একটাও রোহিঙ্গা প্রবেশ করেনি এবং তিনি এটাও বলেছেন যে বিগত কয়েক বছরেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সংখ্যা অত্যন্তই নগণ্য। সংবাদ মাধ্যমের হাতে সঠিক তথ‍্য তিনি তুলে দিতে পারবেন বলেই আমাদের জানিয়েছেন।”গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ভারতীয় আধাসেনাকে কে সম্মান করি, তাই তাদের তথ্যকে বিশ্বাস করছি। এটা বলতেই হয় বিজেপি তাহলে মিথ্যাচার করছে।” কৌশিক মাইতি বলেন দিনের শেষে বাংলার সীমান্ত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতেই হবে। বাংলা পক্ষর স্পষ্ট দাবি, বাংলার সীমান্তে কোনরকম বেআইনি অনুপ্রবেশ যেন না হয়। আমরা চাই বাংলার সীমান্ত সুরক্ষিত থাকুক সেটা বাংলাদেশ সীমান্ত হোক বা নেপাল সীমান্ত।এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা শহরাঞ্চল জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, অভিজিৎ দে, হুমায়ুন মোল্লা সহ বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা।

Read More

শিলিগুড়ি পৌরনিগমে সাইনবোর্ড বাংলায়

১৯ মার্চ, ২০২৫, শিলিগুড়ি: পাঁচ বছর ধরে বাংলাপক্ষ’র নিরন্তর স্মারকলিপি প্রদান ও আন্দোলনের ফলে শিলিগুড়ি পৌরনিগম শিলিগুড়ি শহরের সর্বত্র বাংলা ভাষায় সাইনবোর্ড লেখার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাধ্য হল। গত ১৬ই মার্চ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌরনিগম ঘোষণা করে, শিলিগুড়ি পৌরনিগমের অন্তর্গত সর্বত্র জনসাধারণ ও ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সবরকম পরিচয় ফলক অর্থাৎ সাইনবোর্ড, বিজ্ঞপ্তিলট বা হোর্ডিং এবং চিহ্ন বা সাইন এজ অন্য যে কোন ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক। এই নির্দেশনামা সকল বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, দোকান, কোম্পানি, শপিংমল, অফিস, রেস্তোঁরা, হোটেল, হাসপাতাল এবং রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে প্রযোজ্য হবে বলে নিগম জানায়। শিলিগুড়ি পৌর নিগম জানিয়েছে সকল নগরবাসীদের কাছে বাংলা ভাষার ঐতিহ্য বহাল রাখা এবং সকলের অন্তর্ভূক্তির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। বাংলাপক্ষ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাপক্ষ জানিয়েছে এই সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটাই দেখার বিষয়। “গত ১১ বছরে বাংলায় রেলের বরাদ্দ ১৭% থেকে কমিয়ে সাড়ে পাঁচ শতাংশ করা হয়েছে” রাজ্যসভায় ঋতব্রত১৯ মার্চ, কলকাতা: গত ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বাংলায় রেলের বাৎসরিক বরাদ্দ প্রায় ১৭ শতাংশ, থেকে কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ শতাংশের মতো।” এভাবেই বাংলার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সভা সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রের মোদী শাসিত বিজেপি সরকার দেশের অবিজেপি শাসিত রাজ্যগূলোকে রেলের বরাদ্দ অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দিয়েছে। বাংলায় ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে গিয়ে বিজেপি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “আমরা বুলেট ট্রেনের বিরোধী নই। কিন্তু যেভাবে গোটা দেশে বাণিজ্য বিস্তারের জন্য ডেডিকেটেড রেল ফ্রেট করিডোর তৈরির কাজ পেছনে ফেলে রেখে বুলেট ট্রেনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তার বিরোধী আমরা। বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় 200 কোটি টাকা। অথচ ডেডিকেটেড রেল ট্রেড করিডোর তৈরির জন্য প্রতি কিলোমিটারে খরচ মাত্র ২৫ কোটি টাকা। কেন ফ্রেট করিডোর তৈরিতে তাহলে অগ্রাধিকার দেবে না রেল মন্ত্রক?”রেল মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন করেন “আমরা জানতে চাই রাজ্য সরকারের তরফে যাবতীয় জমি অধিগ্রহণ সমস্যা মিটিয়ে জমি রেলের হাতে তুলে দেওয়া সত্ত্বেও কেন বিহারের শোননগর থেকে বাংলার ডানকুনি পর্যন্ত ফ্রেট করিডরের কাজ গত ১২ বছর ধরে আটকে পড়ে রয়েছে? কেন এই কাজ শুরু করা গেল না? এই ফ্রেট করিডোর তৈরি হলে সাধারণ মানুষ এবং কৃষকরা তাদের পণ্য সহজে পরিবহন করতে পারতেন এবং তার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আরো কমানো সম্ভব হত।”

Read More