কলকাতাঃ ৭ সেপ্টেম্বরঃ ৯ বছর পর রাজ্যে আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। মোট ৩৫৭২৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য। পরীক্ষা হবে দুই ধাপে। আজ রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম দফার নবম-দশম বিভাগের পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,১৯,৯১৯ জন। তার পরের সপ্তাহে, ১৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ধাপের একাদশ-দ্বাদশ বিভাগের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২,৪৬,০০০ জন। প্রথম ধাপের পরীক্ষা হচ্ছে ৬৩৬টি কেন্দ্রে। দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে ৪৭৮ট কেন্দ্রে।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি হবে। মহিলা প্রার্থীদের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে যেখানে মহিলা কর্মীরা তল্লাশি চালাবেন। পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন করা যাবে না। শুধু স্বচ্ছ ফাইলের মধ্যে অ্যাডমিট কার্ড, পরিচয়পত্র, কলম এবং স্বচ্ছ জলের বোতল নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রশ্নপত্র সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সিল করা খামে কেন্দ্রে পৌঁছবে এবং ঠিক দুপুর ১২টায় তা খোলা হবে। এরপর পরীক্ষা শুরু হলে আর কোনও প্রার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ওএমআর শিটের ১ থেকে ৫ নম্বর স্থানে সঠিকভাবে পূরণ না করলে উত্তরপত্রে বাতিল হয়ে যাবে। তবে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের কার্বন কপি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয়েছে যে, পাশাপাশি বসা দুই প্রার্থীর প্রশ্নপত্র এক হবে না।
পরীক্ষা শুরুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পরীক্ষার প্রটোকল সংক্রান্ত একাধিক গাইডলাইন ঘোষণা করেছেন। পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টের রায় বহাল রেখে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক নিয়োগ রদ করে দেয়। এরপর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন।
এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গা বিশেষত আসানসোল, দুর্গাপুর ও কলকাতা থেকে অভিযোগ বহিরাগত রাজ্যের পরীক্ষার্থী প্রায় ৪০ শতাংশ। বাংলাপক্ষ’র দাবি একজনও যেন ভূমিপুত্র চাকরি থেকে বঞ্চিত না হয়। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? যে রাজ্যে রাজ্যের সরকারি ভাষা তেরোটি সেই রাজ্যে অন্যরাজ্য থেকে ব্যাপক হারে পরীক্ষার্থী ঢুকবে স্বাভাবিক। ভূমিপুত্র সংরক্ষণ ছাড়া এই অনুপ্রবেশ আটকানো সম্ভব নয়। ভারত একটি বড় দেশ। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরীক্ষার্থী আসবে এবং এ রাজ্য থেকে পরীক্ষার্থী যাবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই রাজ্যের ভাষা বাধ্যতামূলক পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ৮৬ শতাংশ মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বললেও এখানে বাংলা বাধ্যতামূলক নয়। ফলে অন্যরাজ্যের তুলনায় বাংলার রাজ্য সরকারের পরীক্ষায় বহিরাগতদের সংখ্যা চোখে পড়ার মত।
বাংলাপক্ষ দাবি করেছে, এই রাজ্যের একজনও চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক এবং বাংলার তরুণ-তরুণীরা যেন শিক্ষকতার চাকরি থেকে বহিরাগতদের দ্বারা বঞ্চিত না হয়। এই মর্মে তারা রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে মেল করেছে।
রাজ্যে সুষ্ঠু ভাবে দুর্নীতিমুক্ত ভাবে স্কুল সার্ভিস পরীক্ষা সফল হোক এটাই সকলের কাম্য। বিরোধীরা ভুলবার্তা ও গুজব ছড়িয়ে এই পরীক্ষাকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। তাকে সাধারণ মানুষ ব্যর্থ করবে।
রাজ্যের এস এস সি পরীক্ষায় চোখে পড়ার মত সংখ্যায় বহিরাগত
