রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে SIR বিষয়ে বাংলা পক্ষর ডেপুটেশন

Share the News

কলকাতা, ৪ নভেম্বর ২০২৫: পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরু হয়েছে, শাসক বিরোধীদের নানান দাবি ও প্রচারে বাংলার রাজনীতি এখন উত্তাল। এই পরিস্থিতিতে রাজ‍্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ডেপুটেশন দিলো ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ।
আজ বিকেলে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ‍্যায়ের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস‍্যরা কলকাতায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে জমায়েত করেন। সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস‍্য অরিন্দম চ‍্যাটার্জী, মহঃ সাহিন, কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম‍্য বেরা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি নির্দিষ্ট দাবি লিখিত ভাবে সহকারী নির্বাচনী আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দাবিগুলি হল-

১) বাংলার ভোটার তালিকায় থাকা বহিরাগত ভুয়ো ভোটার, যাদের দুই রাজ্যে ভোটার কার্ড তাদের SIR প্রক্রিয়ায় বাংলার ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এবং সেই অপরাধীদের নাম ও পশ্চিমবঙ্গে দেখানো ঠিকানা প্রকাশ্যে আনতে হবে ।

২) ঘটি হিন্দু বাঙালি, ঘটি মুসলমান বাঙালি এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে আগত উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালির এক জনেরও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া চলবে না ।

৩) ইন্দো-নেপাল চুক্তির অপব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে অবৈধ ভাবে বাংলার ভোটার লিস্টে তোলা প্রতিটি ব্যক্তির নাম ও তার সন্তান সন্ততিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে(বিহারের SIR এর অনুরূপ)।

বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ‍্যায় বলেন ” আজ কেন্দ্রীয় সরকারের SIR চক্রান্তে আজ বাংলার মাটিতে জগৎ শেঠের সন্তানরা বাংলার ভূমিপুত্র আর বাবা লোকনাথের সন্তানরা, হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুরের সন্তানরা বাংলায় বহিরাগত? বাংলা পক্ষ চায় বাংলার ভোটার তালিকা থেকে অবৈধ ও ভুয়ো নাম বাদ যাক। তাই ডুয়াল ভোটার কার্ড বিষয়ে কমিশনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে, অন‍্য রাজ‍্যের কার্ড থাকলে বাংলার ভোটার কার্ড বাতিল করতে হবে। দুই রাজ্যে ভোটার কার্ড বানানো ক্রিমিনালদের বিরুদ্ধে বাংলা পক্ষ ফৌজদারি মামলার ব্যবস্থা করবে।
ভারত-নেপাল চুক্তির অপব‍্যবহার করে যারা অন‍্যরাষ্ট্র থেকে এসে এখানকার ভোটার হয়ে গেছে, তাদের নাম বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে দেশভাগের বলি কোন হিন্দু বাঙালির নাম বাদ দেওয়া যাবে না। এমন করলে বাংলা পক্ষ চুপ থাকবে না। আগুন জ্বলবে।”

ডেপুটেশনের পর বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য তথা সাংগঠনিক সম্পাদক মাইতি বললেন “নির্বাচন কমিশনের তথ‍্য বলছে CAA র মাধ‍্যমে মাত্র ১০ জন নাগরিকত্ব পেয়েছে। তাহলে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু মতুয়াদের কি হবে? নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন CAA তে আবেদন করলেই ভোটার লিস্টে নাম উঠবে না, এটা মিথ্যা। নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট লাগবে। শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের সাথে প্রতারণা করছে, CAA আবেদন করে কোন লাভ নেই।” তিনি স্পষ্ট ভাষাতেই বিজেপির দ্বিচারিতার বিরুদ্ধে সরব হন এবং ধর্মীয় হি‌ংসার কারণে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসা সকল উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালিদের ভোটাধিকার রক্ষার দাবি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *