শিলিগুড়ি,৩০ মার্চ: শিলিগুড়ির মাটি, চাকরি-কাজ-ব্যবসা দখল হয়ে গেছে। ভূমিপুত্রদের বঞ্চিত করে ফুটপাত থেকে বড় চাকরি ও কাজ সব দখল করছে বিহার-ইউপির লোকজন। শিলিগুড়িতে কয়েক লাখ এমন বহিরাগত আছে যাদের দু রাজ্যে ভোটার কার্ড। এমনকি ওরা মহানন্দার চর দখল করে খাটাল খুলেছে, পাকা বাড়ি বানিয়েছে।
ভুয়ো ভোটার ধরার দাবিতে এবং যাদের দু রাজ্যে ভোটার কার্ড তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ শিলিগুড়ির ডাবগ্রাম মাঠে সভা করলো বাংলা পক্ষ।
সভার উদ্যোক্তা শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা ও জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায়। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য রজত ভট্টাচার্য, জেলা সম্পাদক গিরিধারী রায় ও অন্যান্যরা।
গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শিলিগুড়ির মাটিতে বাগডোগরায় বিহার দিবসে “জ্যায় বিহার, জ্যায় বিহার” করে স্লোগান দিয়ে বাঙালিকে চমকাতে মিছিল করে ওরা। বিহারে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করে বিজেপি? উত্তর হল- করে না৷ কিন্তু বাংলায় ওরা বিহার দিবস করে৷ তাছাড়া শিলিগুড়িতে ক্রাইম করছে ওরা মানে বহিরাগতরা। ভুয়ো ভোটার কার্ডে ছেয়ে গেছে শিলিগুড়ি। তাই ওদের ভুয়ো ভোটার কার্ড বাতিল করতে হবে।”
কৌশিক মাইতি বলেন, “মহানন্দ নদী শিলিগুড়ির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহানন্দার চর আসলে বিহার হয়ে গেছে। খাটাল, পাকা বাড়ি সব করেছে। পুরো শিলিগুড়ি বহিরাগতদের দখলে। বাঙালি, রাজবংশী ছেলে-মেয়েদের কাজ নেই। সব কিছুতে বিহার-ইউপির লোকজন৷ শিলিগুড়ির চাকরি ও কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই। মহানন্দার চর ও ফুটপাত থেকে বহিরাগতদের উচ্ছেদ করতে হবে।”
রজত ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপি- আর এস এস বাঙালি ও রাজবংশীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে। কিন্তু বাংলা পক্ষ বাঙালি, রাজবংশী সহ প্রতিটা ভূমিপুত্রর স্বার্থে লড়ছে। জলপাইগুড়ির দোমোহনিতে দ্বিতীয় AIIMS, শিলিগুড়িতে মেট্রো এবং NJP কে কেন্দ্র করে লোকাল ট্রেনের দাবিতে লড়ছে বাংলা পক্ষ।”
