১৩ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: গতকাল বাজেট অধিবেশনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন যে অনলাইনে ভোটার লিস্টের নাম তোলার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক বিহার থেকে বহিরাগত ভোটার ঢোকানো হচ্ছে। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার লিস্টে এত সংখ্যক ভোটার বিশেষ রাজ্য থেকে ঢোকানো বিজেপির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ বলেই তিনি মনে করেন।
প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রী কি বাংলা পক্ষর দাবিতেই শিলমোহর দিলেন ?
বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছে পার্শ্ববর্তী বিহার, ঝাড়খণ্ড, ইউপির অনেকের এরাজ্যেও ভোটার কার্ড আছে। এরাই বাংলার ভোটের সময় বিজেপির পক্ষে এরাজ্যে ভোট দেয় আবার এই ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড ব্যবহার করে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, গতিধারা,কন্যাশ্রীর মত প্রকল্পে ভাগ বসায়। এভাবেই এরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পায়, সবুজসাথীর সাইকেল পায় আবার আধাসেনায় রাজ্য কোটায় চাকরিও পায়। বাংলা পক্ষ দ্বৈত ভোটারকার্ডধারীদের চিহ্নিত করে বাংলার ভোটার কার্ড বাতিলের দাবি করছে দীর্ঘদিন।
ভোটার সংখ্যা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা বিজেপির লাভ হচ্ছে রাজনৈতিক ভাবে, সেটা সদ্য সমাপ্ত দিল্লী বিধানসভা বা মহারাষ্ট্রের ভোটে প্রতিফলিত। দিল্লীতে শেষ পাঁচ মাসে চার লক্ষ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছিল যা দিল্লীর মোট ভোটার সংখ্যার প্রায় ৪ শতাংশ, দিল্লীতে বিজেপির থেকে আপের ভোট শতাংশের পার্থক্য দুই শতাংশ মাত্র। এই তথ্যেই পরিষ্কার কোথায় কারচুপি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে এই বৃদ্ধির সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ।
বাংলাতেও এই একই পদ্ধতিতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে দিল্লীর শাসক, বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন বাংলা স্বাধীনতার মাটি, এখানে এসব করা যাবে না, প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
