৯ ফেব্রুয়ারি,কলকাতা: কলকাতায় বড়বাজারের প্রবেশ মুখ গিরিশ পার্কে ‘মাছ-ভাত’ উৎসব পালন করল বাংলা পক্ষ। রাস্তায় বসেই বিশাল ১৫ কেজি ওজনের কাতলা মাছ কাটা হয় । শুধু একটি মাছ নয়,আরো প্রচুর মাছ রাস্তাতেই কাটা হয়। শুটকি মাছও রান্না হয় বাংলা পক্ষর তরফে। বাংলা পক্ষর আয়োজনে মাছ-ভাত খেলো হাজারও বাঙালি।
বাংলা পক্ষর ‘মাছ-ভাত’ উৎসব থেকে তীব্র আক্রমণ শানানো হয় বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত এবং আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাকে । সম্প্রতি বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত কলকাতা পুরসভায় খোলা বাজারে মাছ মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। যুক্তি দিয়েছিলেন মাছের গন্ধে গা ঘিনঘিন করে। মাছ মাংস থেকে পরিবেশ দূষণ ছড়ায়।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সারা ভারতে আমিষ খাবার নিষিদ্ধ করার ডাক দেন। এরই প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ এদিন ‘মাছ-ভাত’ উৎসবের ডাক দেয়।

বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান,”আজ গিরিশ পার্কে মাছ-ভাত উৎসব পালন করল বাংলা পক্ষ, আগামী দিনে সারা বড় বাজার জুড়ে মাছ-ভাত উৎসব পালন হবে। বাঙালি আজ গুজরাটে গিয়ে, মধ্যপ্রদেশে গিয়ে, রাজস্থানে গিয়ে বলতে পারবে ওরা ওখানে কি খাবে ? তা নিয়ে মতামত দিতে পারবে ? তাই বাঙালিও বহিরাগতদের কথায় মাছ খাওয়া এবং বিক্রি বন্ধ করবে না। কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের সমস্যা হলে তিনি তার নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে পারেন।”
বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি হুংকার দিয়ে বলেছেন, “কলকাতার বিজেপি কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত বা আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বাংলার সংস্কৃতির বিরোধী মন্তব্য করেছেন। সেটার পালটা হিসেবেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
এদিনের বাংলা পক্ষর ‘মাছ-ভাত’ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর শীর্ষ পরিষদ সদস্য মনোজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, মনন মন্ডল, সম্রাট কর, অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, আব্দুল লতিফ, সৌম্য কান্তি ঘোরই এবং মহম্মদ সাহিন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক অক্ষয় বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তর চব্বিশ পরগণা শহরাঞ্চলের সম্পাদক পিন্টু রায় , বাঁকুড়ার জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য কুমার নাথ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলা সম্পাদক কুশনাভ মন্ডল,নদিয়ার জেলা সম্পাদক মধুসূদন ঘোষ, পুরুলিয়ার জেলা সম্পাদক আজিম শেখ ও বাংলা পক্ষর আরো অনেক সদস্য।