
কলকাতা ফুটবল লীগে (CFL) প্রতিটা দলে ৫ জন নয়, কমপক্ষে ৯ জন ভূমিপুত্র ফুটবলারের দাবিতে IFA এর সামনে বাংলা পক্ষর বিক্ষোভ
২২ মে,কলকাতা : সম্প্রতি The Indian Football Association (W.B.) নিয়ম করেছে যে ক্যালকাটা ফুটবল লীগে প্রতিটা দলে ৫ জন বাংলার ফুটবলার খেলাতে হবে।বাংলা পক্ষর দাবি – কলকাতা ফুটবল লীগে (CFL) প্রতিটা দলে ৫ জন নয়, কমপক্ষে ৯ জন বাংলার ভূমিপুত্র ফুটবলার চাই। বরং বলা ভালো ২ জনের বেশি বহিরাগত খেলানো যাবে না।এছাড়া অনেকে ভিন রাজ্যের ফুটবলার ঠিকানা জালিয়াতি করে বা আধার কার্ড জালিয়াতি করে বাংলার ভূমিপুত্র ফুটবলার হিসাবে খেলে।আধার কার্ড জালিয়াতি করলে সেই ফুটবলারকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং সেই ক্লাবকে ব্যান করতে হবে। এই দাবি নিয়েই আজ IFA অফিসের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী করলো ও ডেপুটেশন দিল বাংলা পক্ষ। নেতৃত্ব দেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়৷ সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাইরের রাজ্যের ফুটবলার খেলালে এখানকার ফুটবলাররা ভালো খেলা শিখবে। এগুলো হাস্যকর যুক্তি। গত ৩০ বছর ধরে একই যুক্তি শুনছি এবং এভাবেই বাইরের ফুটবলার খেলানো হচ্ছে। এতে বাঙালির ফুটবলের উন্নতি হয়নি, বরং অবনতি হচ্ছে। বাঙালি ফুটবলাররা চান্স পাচ্ছে না৷ যখন শুধুমাত্র বাংলার ফুটবলাররাই খেলতো তখন বাংলা প্রায় প্রতিবার সন্তোষ ট্রফি জিততো এবং ভারতীয় টিমে কমপক্ষে ৭-৮ জন বাঙালি ফুটবলার খেলতো৷ বর্তমানে ISL এ বাঙালি বঞ্চিত, কলকাতা ডার্বিতে বাঙালি নেই। এরপর কি CFL এও বাঙালি থাকবে না? বাঙালি ফুটবলাররা চান্স না পেলে খেলবে কেন? বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে এবং বাঙালি তথা ভূমিপুত্র ফুটবলার তুলে আনতে IFA কে সদর্থক ভূমিকা নিতে হবে।” সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন, “ক্রীড়াক্ষেত্রে ডোমিসাইল দুর্নীতি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা ক্রিকেট হোক বা ফুটবল- সর্বত্রই এক সমস্যা। আধার কার্ড জালিয়াতি করে বা ঠিকানা জালিয়াতি করে বাংলার ফুটবলার হিসাবে খেলছে ভিন রাজ্যের ছেলেরা। IFA কর্তাদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ফুটবলারদের স্কুল সার্টিফিকেট যাচাই করতে হবে এবং SDO দের ইস্যু করা ডোমিসাইল সার্টিফিকেট চাই। বাংলার ছেলেমেয়েদের জায়গায় ঠিকানা জালিয়াতি করে বাইরের ছেলেমেয়েদের খেলা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। বাংলার ক্রিকেটেও এই সমস্যা চূড়ান্ত। সেখানেও আমরা গত ৭ বছর লড়ছি।” শীর্ষ পরিষদ সদস্য অরিন্দম চ্যাটার্জী বলেন, “আমরা জানি কলকাতা ময়দান দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে গেছে। বাইরের প্লেয়ার নিয়ে আসে যাতে চুক্তি ভ্যালুর থেকে কম টাকা প্লেয়ারদের দিয়ে সেই টাকা দুর্নীতি করা যায়। একটা চক্র কাজ করছে যারা টাকা নিয়ে বাইরের রাজ্যের বা বাইরের রাষ্ট্রের ফুটবলার খেলাচ্ছে টাকার বিনিময়ে। বাংলার ফুটবলের স্বার্থে বাঙালি, সাঁওতাল, লেপচা সহ ভূমিপুত্র ফুটবলার খেলাতে হবে।